ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া-পেকুয়া আসন: আ.লীগের সালাহউদ্দিনসহ ৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল, সৈয়দ ইবরাহিমসহ বৈধ ৮

নিজস্ব সংবাদদাতা, চকরিয়া :: ঋণ খেলাপি হওয়ায় কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান। আজ রবিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রার্থী বাছাই কার্যক্রম চলে। এ সময় ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ও পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে লড়তে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে কক্সবাজার-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন ১৩ জন। মনোনয়নপত্র জমাদানকারীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় পার্টির ( জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ, জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী হোসনে আরা, ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তি যোদ্ধ আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম, শফিকুল ইসলাম, কমর উদ্দিন, তানভির আহমদ সিদ্দিকী তুহিন, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলিয়াছ। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী কমর উদ্দিন আরমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলিয়াছ, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ দুটি ব্যাংকে ঋণ খেলাপি হওয়ায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ১% সমর্থন সূচক তালিকা সংযুক্ত না করায় শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলিয়াছ এবং সমর্থনকারীদের সত্যাসত্য তথ্য যাচাইয়ে গরমিল পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী কমর উদ্দিন আরমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গত ২৩ নভেম্বর মাননীয় আদালত ঋণখেলাপির তালিকা থেকে আমাকে বাদ দেয়ার আদেশ দেন। সে হিসেবে আমি ঋণ খেলাপি নেই। অথচ ক্রেডিট ইনফরমেশন রিপোর্টে (সিআইবি) আমাকে খেলাপি দেখিয়ে বাতিল করা হলো। এটা অন্যায্যতা। আমি আপিল করবো।’

পাঠকের মতামত: