ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় কলেজ ছাত্রের রহস্যজনক আত্মহত্যা, ২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব বাইম্যাখালীস্থ ভাড়া বাসায় কলেজ ছাত্র মিজানের রহস্যজনক আত্মহত্যার ঘটনার ৪দিন পর বাড়ির মালিকের স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গতকাল ১৯ অক্টোবর চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন কলেজ ছাত্র মিজানের পিতা আশেক এলাহি (৫৫)।

যার মামলা নং সিআর ২৫২৬/২৩ইং। ধারা ৩০২/৩৪ দন্ডবিধি। আদালতের বিজ্ঞ বিচারিক হাকিম মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে মিজানের মৃত্যুর ঘটনায় কোন ইউডি মামলা ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পেকুয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় আসামী করা হয়েছে বাড়ির মালিক প্রবাসী মুজিবুর রহমানের স্ত্রী বেবী আক্তার (৩৮) ও ছেলে মোঃ রায়হান (২১)কে। এরা বর্তমানে পেকুয়া সদরের পূর্ব বাইম্যাখালী গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া মামলায় আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদি দাবি করেছেন, আসামীগণ হত্যাকারী, জুলুমবাজ, অত্যাচারী লোক হয়। তাহারা দেশের প্রচলিত আইন কানুন মানে না । তার ছেলে মিজানুর রহমান পেকুয়া বাজারে এস.ডি সিটি সেন্টারস্থ ফারুক জোন স্টাইল ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে দীর্ঘদিন যাবৎ চাকুরী করে আসছিল। সেই সুবাদে আসামীগণের বাড়িতে বাসা ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করতেন। আমার ছেলে মিজানুর রহমান আসামীগণের সাথে অজ্ঞাত বিষয়ে আমার ছেলে মিজানুর রহমানকে মারধরসহ হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।

উক্ত বিষয়ে আমার ছেলে মিজানুর রহমান গত ১৫/১০/২০২৩ ইংরেজী তারিখে দুপুর ১২ টার সময় বাড়িতে এসে হুমকির বিষয়টি পরিবারকে জানায়। ঘটনার তারিখ গত ১৫/১০/২০২৩ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল ভাড়া বাসায় আসলে আসামীগণসহ আরো ৫/৬ জন অজ্ঞাতনামা লোক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলে মিজানুর রহমান (২৫) কে হত্যা করার পরিকল্পনা করতঃ ওই দিন রাত ৭-৯ ঘটিকার সময় মিজানুর রহমানকে আসামীগণ হত্যা করে কৌশলে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে রেখে এবং ভাড়া বাসার কক্ষের দরজা-জানালা খোলা রেখে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে আসামীগণ বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে পেকুয়া থানাকে অবহিত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমার ছেলেকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে নামান। পরে পুলিশ উপস্থিত লোকজনের সম্মুখে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মিজানের মরদেহ থানায় নিয়া যায়।

মামলার বাদি বলেন, আমার ছেলের শরীরে আসামীদের নির্যাতনের দৃশ্যমান চিহ্ন রহেছে। পেকুয়া থানা পুলিশ আমার ছেলে মিজানুর রহমানের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে ময়না তদন্তও করেছ।

পেকুয়া থানার ওসি ওমর হায়দার জানান, কলেজ ছাত্র মিজান আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

পাঠকের মতামত: