ঢাকা,বুধবার, ৮ মে ২০২৪

পেকুয়ায় বানের পানিতে ভেসে ৩ শিশু, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১

পেকুয়া প্রতিনিধি ::  কক্সবাজারের পেকুয়ায় মাছ ধরতে গিয়ে বানের পানিতে ভেসে গিয়ে ৩ শিশু এবং ভেজা গ্যারেজে টমটম (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে ১ ব্যক্তি মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকালে বাড়ির পাশে মাছের ঘেরে ভেসে যাওয়া ৩ শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। এসময় দুই ভাইবোন একে অপরের হাত ধরা ছিল বলে উদ্ধারকারীরা জানায়। উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড ফেরাসিঙ্গা পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

অপরদিকে, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ভেজা গ্যারেজে টমটম (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার নাম আলী হোছাইন (৫৫) বলে জানা গেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সিকদারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভেসে যাওয়া ৩ শিশু হলো ওই এলাকার নুরুল আলমের কন্যা তৌহিদা বেগম (১০) ও তার ভাই আমির হোছাইন (৫), একই এলাকার ছাবের আহমদের কন্যা হুমায়রা বেগম (০৮)।

হুমায়রা বেগম নিহত অপর দুই ভাইবোনের ফুফাতোবোন।

নিহতের স্বজনরা জানান, দুপুরের দিকে তৌহিদা, আমির ও হুমায়রা মিলে বানের পানিতে আরো শিশুদের সাথে মাছ ধরতে যায়। পরে সন্ধ্যায় তারা বাড়িতে ফিরে না আসলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।

আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে বাড়ির পাশেই একটি মাছের ঘেরে তাদের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ৩ ভাইবোনের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। একই পরিবারে ৩ শিশু নিহতের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম বলেন, “উজানটিয়ার সবগুলো লবণ মাঠ, মাছের ঘের এখন পানিতে একাকার। বানের পানিতে অনেক মানুষকে মাছ ধরতে দেখা গেছে। নিহত ৩ শিশু সম্ভবত মাছ ধরা দেখতে গিয়ে স্রোতে ভেসে যায়। পরে ঘেরের পানিতে তাদের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।”

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, “নিখোঁজ তিন শিশুর লাশ ঘেরের পানি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের জন্য তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

অপরদিকে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়ায় একটি ভেজা গ্যারেজে টমটম (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আলী হোছাইন নিহত হন।

নিহতের ছেলে শওকতুল ইসলাম জানান, আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বিদ্যুৎ এলে স্থানীয় জিগার উদ্দিনের মালিকানাধীন টমটম গ্যারেজে টমটম (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) চার্জ দিতে গেলে সকেট লাগানোর পর টমটমে হাত দেয়া মাত্রই তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আক্রান্ত হন। ধারণা করা হচ্ছে ভেজা থাকায় পুরো টমটমটি বিদ্যুতায়িত হয়। পরে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেয়া হলে হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

পাঠকের মতামত: