ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভাবিকে খুন

পেকুয়া প্রতিনিধি ::  কক্সবাজারের পেকুয়ায় বসতঘরের সীমানা বিরোধের জেরে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দেবর আলী আহমদ হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভাবিকে খুন করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহতের নাম কোহিনুর আক্তার (৪০)। তিনি পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মাতবর পাড়া এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী আমির হোসেনের স্ত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেল তিনটার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মাতবর পাড়া এলাকার এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দেবর আলী আহমদ (৩৫) মৃত পেঠান আলীর ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

নিহত কোহিনূর আক্তারের মেয়ে রোকেয়া বেগম বলেন, “আমার চাচা আলী আহমদ দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বসতঘরের সীমানার উপর দেয়াল তুলে ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন কিন্তু তাতে আমার মা বাধা দিয়ে আসছিলেন। এর জেরে চাচা আমার মাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দেয়াল নির্মাণ করে বাড়ির ছাদের কাজ করছিলেন আমার চাচা আলী আহমদ। আমাদের বাড়ির ছাদের সাথে তাদের বাড়ির ছাদ লাগিয়ে দেয়ায় আমার মায়ের সাথে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে আমার চাচা আলী আহমদ আমার মাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ছাদের উপরেই মেরে ফেলেন।”

নিহত কোহিনূর আক্তারের মা আছিয়া বেগম বলেন, “খুনি আলী আহমদ এর আগেও আমার মেয়েকে ভয় দেখাতে এসিড নিক্ষেপ করেছিল। সর্বশেষ আজ আমার মেয়েকে বাড়ির ছাদের উপর হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।”

এসময় তিনি তার মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন।

পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, “গৃহবধূ কোহিনুরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আঘাতের ধরন দেখে মনে হয়েছে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পেকুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুকনুজ্জামান বলেন, “সুরতহালে নিহতের মাথায় ও বুকে ভারী বস্তুর আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। আঘাতজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা তদন্ত করছি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।”

এদিকে, নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। স্থানীয়রা এ ঘটনার জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

পাঠকের মতামত: