ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে অপহরণের পর শিশু উদ্ধার, আটক ১

aaaaaaসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও :::

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ের জালালাবাদের উত্তর পালাকাটা গ্রামের হাফেজ মনজুর আলমের পুত্র স্থানীয় নূরানী মাদ্রাসা পড়–য়া নুর নছিম (৯) কে অপহরণ করে তারই গৃহশিক্ষক কাউছার। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কৌশলে গৃহশিক্ষককে আটক করে স্থানীয় জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ মে দুপুর ১২টায়। পরে অপহরণের মূল হোতাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করলে সে অপহরণের মূল ঘটনাটি পুলিশকে জানালে তার কথামত ঐদিন রাত ১২টায় কক্সবাজার সদরের খুরুলিয়া বাজার সংলগ্ন এক ব্যাচেলর বাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। অপহৃত শিশুর চাচাত ভাই মোবারক জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তার ভাই নুর নছিম (৯) মাইজ পাড়া নূরানী মাদ্রাসায় যায়। দুপুরে খাবার খেতে বাড়ী ফেরার পথে এক সময়ের গৃহ শিক্ষক কাউছার ও তার অপর এক সহযোগীর মাধ্যমে মোটর সাইকেল যোগে কৌশলে নূর নছিমকে খরুলিয়ার ঐ বাসায় নিয়ে যায়। পরে মোবাইলের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করলে কৌশলে টাকা দেওয়ার ভান করে কাউছারকে জনতা আটক করে। কাউছার ঘটনাটি অস্বীকার করলেও কিন্তু ২ লক্ষ টাকা তার হাতে দিলে ছেলেটিকে পাওয়া যাবে বলে নিজে স্বীকার করে। সন্দেহজনক হওয়ায় জালালাবাদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মৌলানা সেলিম উল্লাহ ঈদগাঁও পুলিশের নিকট লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে নিয়ে জনতা আটক করা কাউছারকে তাদের হাতে তুলে দেন। এসময় ব্যাপক জিজ্ঞাসা করলে নুর নছিমের সন্ধান দিলে তৎক্ষনাৎ রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা বর্ণিত স্থান ঘেরাও করলে কাউছার তার অপর সহযোগী তারেককে ডাকাডাকির এক পর্যায়ে দরজা খুলে দেয় অপহরণে জড়িত সহযোগিরা। ঐ বাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। পুরো অভিযানে নেতৃত্ব দেন পুলিশের এএসআই ফিরোজ আহমদ। ঘটনা সম্পর্কে আইসির সাথে যোগাযোগ করা হলে পুরো ঘটনা সত্য বলে জানান এবং ঘটনায় জড়িত অপরাপরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।

পাঠকের মতামত: