ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

কক্সবাজারের নতুন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : কক্সবাজারের নতুন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে আবদুল্লাহ আল মামুন-কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বুধবার ২৮ ডিসেম্বর আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত ৮৭৩ নম্বর স্মারকে জারীকৃত এক প্রজ্ঞাপনে বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন সহ ৫ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে দেশের বিভিন্ন বিচারালয়ে পদায়ন করা হয়। নতুন পদায়ন করা বিচারকদের আগামী ৩ জানুয়ারির মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিতে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

কক্সবাজারের নতুন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) হিসাবে নিয়োগ পাওয়া আবদুল্লাহ আল মামুন বর্তমানে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এর আদি নিবাস চট্টগ্রামের মিররসরাই উপজেলায়। একজন মেধাবী বিচারক হিসাবে বিভিন্ন কর্মস্থলে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করা বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন চট্টগ্রাম শহরের মেহের-আফজাল হাইস্কুল থেকে এসএসসি, চট্টগ্রাম নৌবাহিনী কলেজ থেকে এইসএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এলএলবি (অনার্স), এলএলএম করেছেন ১০ম ব্যাচে। আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন থেকে ৩য় ব্যাচে উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বিচার বিভাগের একজন নবীন কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন।

বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে খাগড়াছড়ি ও ফেনী জেলার ম্যাজিস্ট্রেসীতে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (প্রশাসন) হিসাবে জুডিসিয়াল এডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে বান্দরবান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে বরগুনা জেলা জজশীপে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সর্বশেষ তিনি কক্সবাজার জেলা জজশীপ এর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এখানে দায়িত্ব পালনকালে মাদক মামলায় দেশে প্রথম মৃত্যুদন্ডের রায় দেন। যা দেশের বিচার বিভাগের জন্য একটা ইতিহাস। পরিশ্রমী বিচারক হিসাবে পরিচিত আবদুল্লাহ আল মামুন ১৯৯০ সালে কক্সবাজারের মহেশখালীতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর খাইরুল আমিন হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন ঘটনার ৩২ বছর পর।

কক্সবাজার বিচার বিভাগের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর শীর্ষ পদে বুধবার পদায়ন হওয়া বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বেশ কিছু আলোচিত হত্যা মামলা, মাদক ও অস্ত্র মামলার রায় দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন বিচার অঙ্গনে।

প্রসংগত, গত ৪ অক্টোবর কক্সবাজারের সদ্য বিদায়ী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী-কে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার পদে পদায়ন করা হয়। তিনি গত ২০ অক্টোবর কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর দায়িত্ব কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী-কে বুঝিয়ে দিয়ে কক্সবাজার কর্মস্থল থেকে বিদায় নেন।

কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশেক এলাহী শাহজাহান নুরী জানান, তখন কক্সবাজারের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) রাজিব কুমার বিশ্বাস ভারতে প্রশিক্ষণে ছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরে এসিজিএম রাজিব কুমার বিশ্বাস গত ৩০ অক্টোবর থেকে কক্সবাজারের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

পাঠকের মতামত: