ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পেকুয়ায় যমুনা অয়েলের একজনের লাইসেন্সে অবৈধভাবে তেল বিক্রি করছে অন্যজন!

পেকুয়া প্রতিনিধি :: কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলায় রাষ্ট্রয়ত্ব মালিকানাধীন যমুনা অয়েল কোম্পানি লি: এর লাইসেন্সধারী এক ডিলারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে যুমনা অয়েল কোম্পানির লাইসেন্সধারী ওই ডিলার অতিরিক্ত দামে জ্বালানী তেল বিক্রি ও ভোক্তাদের ওজনে কম দেওয়াসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির জড়িয়ে পড়লেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, পেকুয়া বাজারের সোহেল স্টোর নামের দোকানের মালিক ছরওয়ার দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে যমুনা অয়েল কোম্পানীর লাইসেন্সভুক্ত ডিলার হিসেবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। পেকুয়া বাজারে অবস্থিত সোহেল স্টোরে জ্বালালী তেলের সাথে হরেক রকমের মালামালও বিক্রি করা হচ্ছে। সোহেল স্টোরের মালিক ছরওয়ারের বাড়ি উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নে।

অপরদিকে যমুনা অয়েল কোম্পানির পেকুয়া বাজারস্থ ডিলার ছরওয়ারকে ম্যানেজ করে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা বাজারে মো: জাহাঙ্গীর আলম তার দোকানের সামনে মেসার্স সোহেল স্টোরের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে গত ৫/৬ বছর ধরে অবৈধভাবে জ্বালানী তেল বিক্রি করছে। লাইসেন্স হচ্ছে পেকুয়া বাজারের সোহেল স্টোরের মালিক ছরওয়ারের নামে। আর ভিন্ন ইউনিয়ন টইটং বাজারের ধনিয়াকাটা বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম নিজেকে সোহেল স্টোরের মালিক পরিচয় সাইনবোর্ড টাঙিয়ে অবৈধভাবে যমুনা অয়েল কোম্পানির তেল বিক্রি করছে। একজনের নামে লাইসেন্স নিয়ে ভিন্ন জন ডিলার পরিচয়ে জ্বালানী তেল বিক্রির নিয়ম না থাকলেও সেটি মানছেনা পেকুয়া বাজারের সোহেল স্টোরের মালিক ছরওয়ার।

এ বিষয়ে জানার জন্য পেকুয়া বাজারস্থ সোহেল স্টোরের মালিক ও যমুনা অয়েল কোম্পানি লি: এর ডিলার ছরওয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার নামে যমুনা অয়েল কোম্পানির ডিলারশীপের লাইসেন্স রয়েছে। লাইসেন্স মোতাবেক আমি সব জায়গায় জ্বালানী তেল বিক্রি করতে পারি। নিজের ডিলারশীপের লাইসেন্সে ভিন্ন ব্যক্তি সাইনবোর্ড টাঙিয়ে তেল বিক্রি করার কারণ জানতে চাইলে তিনি কোন ধরনের সদুত্তর দিতে পারেনি।

পেকুয়া বাজারের সোহেল স্টোরের মালিক ছরওয়ারের নামে যমুনা অয়েলের ডিলারশীপ লাইসেন্স ব্যবহার করে অবৈধভাবে জ্বালানী তেল বিক্রির বিষয়ে জানতে উপজেলার ধনিয়াকাটা বাজারের ব্যবসায়ী মো: জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে ২১ নভেম্বর বিকালে ফোন করা হলে তার ছেলে আবদুল্লাহ রিসিব করেন। এসময় আবদুল্লাহ এ প্রতিবেদককে বলেন, পেকুয়া বাজারের সোহেল স্টোরের নামে তার পিতা জ্বালানী তেল বিক্রি করছেন। তার পিতার নামে যমুনা অয়েল কোম্পানির লাইসেন্স নাই।

 

পাঠকের মতামত: