ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রেমের টানে ইতালির তরুণী এবার রামুতে

কক্সবাজার প্রতিনিধি :: ভাষা-সংস্কৃতির ভেদাভেদ ভুলে রুনেক্স বড়ুয়া (২৮) নামে এক যুবককে বিয়ে করে সুদুর ইতালী থেকে বাংলাদেশে এসেছেন রুবের টা (২৩) নামে এক ইতালীয়ান তরুণী। ৯ নভেম্বর. বুধবার ইতালির সার্দেনিয়া শহর থেকে কক্সবাজারের রামু উপজেলার হাইটুপি গ্রামে বাড়িতে আসেন তিনি। রুনেক্স একই এলাকার ফ্রান্স প্রবাসী বিকাশ বড়ুয়ার ছেলে। তার আদিবাড়ি উখিয়া উপজেলার রাজাপালংয়ের সীলের ছড়া এলাকায়। এদিকে বিদেশি বধূকে দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় করছেন।

জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে ইতালিতে যান রুনেক্স। সেখানে কর্মসূত্রে পরিচয় হয় ওই তরুণীর সঙ্গে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় প্রেমের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। তারা জানান, অনার্স পাসের পর ইতালি চলে যান রুনেক্স। সেখানে তিনি ওই তরুণীর সঙ্গে একটি আবাসিক হোটেলে কাজ করতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরেই রুবের টা বাংলাদেশে এসেছেন। এ মাসেই পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হবে।

রুনেক্স বড়ুয়া বলেন, ‘একটি হোটেলের রিসিপশনে কাজ করতাম। সেখানে পরিচয় হয় রুবের টার সঙ্গে। তারপর প্রেমের শুরু। এখন আমরা দেশে এসেছি বিয়ে করতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সে (রুবের টা) আমার পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে। আমার পরিবারও তাকে গ্রহণ করেছে।’

ইতালিয়ান তরুণী রুবের টা বলেন, ‘মানুষের জীবন একটা। জীবনের সঙ্গীও একটা হওয়া উচিত। আমার সমাজে সেটা নেই। আমি বিশ্বাস করি, রুনেক্স আমার জীবনে একমাত্র সঙ্গী হয়ে থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওকে পেয়ে আমি দারুণ খুশি। তার পরিবারের সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সামনের দিনগুলো যেন এরকমই কাটে সেই প্রার্থনা করি।’

রুনেক্সের ভাই শাওন বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা আনন্দিত। ভাই-বৌদির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।’ তিনি জানান, ভাষাগত কিছু সমস্যা থাকলেও সবকিছুতেই মানিয়ে নিচ্ছেন রুবের টা, পরেছেন বাঙালি পোশাকও। বাংলাদেশে এসে ভাইয়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ নানা জায়গায়। এলাকার লোকজন আজ সকাল থেকে তাকে দেখার জন্য তাদের বাড়িতে ভিড় করছে।

রুনেক্সের মা সুমি বড়ুয়া বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন ছিল ঘরে বিদেশি বউ আনবো। সেটাই বাস্তবে রূপ পাচ্ছে। আমরা তাকে নিয়ে আমি খুব খুশি। তাদের ধুমধাম করে বিয়ে দেবো।’

পাঠকের মতামত: