ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রে লবন মজুদ, ঠাই হয়নি দুর্গতদের

পেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় প্রায় এক হাজার মে.টন লবন মজুদ করেছে এক সাবেক ইউপি সদস্য। ঘুর্নিঝড় রোয়ানুর আঘাতে উপকুলে জ্বলোচ্ছাসের পুর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। এ সময় উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এলাকার শতশত লোকজন জীবন বাচাতে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পশ্চিম উজানটিয়া প্রিজম সাইক্লোন শেল্টারে ছুটে আসেন। এদিকে প্রিজম শেল্টারের দ্বিতীয় তলায় প্রায় এক হাজার মে.টন লবন মজুদ করা হয়েছে। স্থানীয় উজানটিয়া ইউপির সাবেক সদস্য জামাল হোসাইন তার দু’ভাই আলতাফ হোসেন ও মো.হোসেনসহ আরো কয়েকজন মিলে ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে লবন মজুদ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় শফিউল আলম, এনামুল হক, রুবেল, আব্দুল আজিজ জানিয়েছেন জামাল মেম্বারের নেতৃত্বে ঘুর্নিঝড়ের দিন সকালে প্রিজম শেল্টারে বিপুল পরিমান লবন মজুদ করে। মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে এসে জায়গা না পেয়ে ফিরে গেছে। সাইক্লোন শেল্টারের দ্বিতীয় তলায় লবন মজুদ করায় লবন থেকে পানি নিঃসরিত হয়েছে। ওই সময় লবনের পানি ও কাদা মিশ্রিত হয়ে পরো শেল্টার পিচ্ছিল হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ছিদ্দিক আহমদ জানায় প্রিজম শেণ্টারটি পশ্চিম উজানটিয়ায় একমাত্র আশ্রয় কেন্দ্র। ওইদিন জামাল মেম্বার ও তার ভাইরা জনস্বার্থ বিঘিœত করে শেল্টারে লবন মজুদ করেছে। লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। লবনের পানি প্রিজম শেল্টারের দ্বিতীয় তলার ছাদ চুষে নিয়েছে। এতে কোটি কোটি টাকার মুল্যবান জনগনের একমাত্র শেল্টারটি চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানায় প্রিজম শেল্টারে পানিযুক্ত লবন মজুদকরা হয়েছে। আমি নিশ্চিত বিল্ডিংটি লবনে ঘ্রাস করে ফেলেছে। বিষয়টি আমি পরে জেনেছি। আমি জামাল মেম্বারকে তাৎক্ষনিক শেল্টার থেকে লবন সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছি। ইউএনও মো.মারুফুর রশিদ খান জানায় বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এদিকে সাহায্য সন্থা ইউনিসেফ এর একটি প্রতিনিধি টিম গতকাল সোমবার দুপুরে উজানটিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম উজানটিয়া প্রিজম শেল্টার পরিদর্শনের জন্য যান। সুত্র জানিয়েছেন স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে তারা ওইদিন শেল্টারের সার্বিক অবস্থা নিরপনের জন্য ওই স্থানে যান। সাবেক ইউপি সদস্য জামাল হোসাইন লবন মজুদের সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন এসব লবন দরিদ্র মানুষের। আমার লবন নয়। শেল্টারের তদারকির দায়িত্বও আমার নেই। তবে তার ভাই মো.হোসেন লবন মজুদ করেছেন বলে জানান।

পাঠকের মতামত: