ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পেকুয়া সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় পাহারায় দুই ছাগল!

ssssপেকুয়া প্রতিনিধি :::

১৯ মে সকাল সাড়ে ১১টা। ঘটনাস্থল পেকুয়া উপজেলা সমবায় কাযালয়। তালাবদ্ধ অফিস সমবায় অফিস। অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ কর্মস্থলে নেই! অফিসের কর্তারা না থাকলেও কি? অফিস কক্ষের দরজার সামনে দুইটি ছাগল দাঁড়িয়ে আছে। ছাগল দুইটি দেখে উপজেলা পরিষদের আসা লোকজন বলাবলি করেন এই ভাবে, সমবায় কার্যালয় থাকলেও ছাগল দুইটি সরকারী ওই অফিসের দরজা পাহারা দিচ্ছে। এ নিয়ে এলাকায় হাস্যেরসের সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়রা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ দিন সরেজমিনে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সমবায় অফিসের কার্যালয়ে সামনের অবস্থান করলেও খোঁজ মেলেনি এ অফিসের কর্তাবাবুদের। উপজেলা পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন, প্রায় সময় পেকুয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ওসমান গনি কর্মস্থলে ‘জেলা অফিসে কাজ আছে’ অজুহাতে অনুপস্থিত থাকেন। আর এ অফিসে কম্পিউটার অপারেটর রিমন সেন ও সহকারী সমবায় পরিদর্শক দিদারুল ইসলাম কর্মরত থাকলেও তারাও নিয়মিত কর্মস্থলে আসেনা। তারা নিয়মিত কর্মস্থলে না আসলেও প্রতি মাসের শেষে সরকারী কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন। প্রতি মাসে হাতেগুনা কয়েক দিন এ অফিসের কর্মরত-কর্মচারীরা অফিসে আসলেও তা আবার সরকারী অফিসের সময়ের পরে আসে। এ অফিসের কেউ দুপুর ১২টার পূর্বে অফিসে আসেনা। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থায় চললেও কক্সবাজার জেলা সমবায় কার্যালয় পেকুয়ার সমবায় কার্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ‘রহস্যজনক কারনে’ কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

 অনুসন্ধানে জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার বাসা কক্সবাজার জেলা সদরে। তাই তিনি নিয়মিত পেকুয়ায় এসে অফিস করেনা। শুধু পেকুয়া উপজেলায় কোন সরকারী গুরুত্বপূর্ন সভা-কর্মশালা ও বেতন উত্তোলন করতে আসেন। এছাড়াও সমবায় কর্মকর্তা ওসমান গণি দীর্ঘদিন ধরে পেকুয়া উপজেলায় কর্মরত থাকার সুবাধে সমবায় কার্যালয়কে নানান ধরনের অনিয়ম দূর্নীতির আঁখড়ায় পরিণত করেছে।

 এ ব্যাপারে জানার জন্য পেকুয়া উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ওসমান গনির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 তবে কক্সবাজার জেলা সমবায় কর্মকর্তা বখতেয়ার আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

################

 পেকুয়ায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়েও ছেলের পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানী!

পেকুয়া প্রতিনিধি ে

পেকুয়া উপজেলায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার পরও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ তুলেছেন ছেলে পক্ষের পরিবার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী এলাকার টেকপাড়া গ্রামে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ওই এলাকার জনৈক ব্যক্তিদ্বয়ের ছেলে ও মেয়ের দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল নানা বাকবিতন্ডা। ছেলে ও মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের কথাটি ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার শালিসী বৈঠকও হয়েছে। এরপরও উভয় পক্ষকে সমঝোতায় আনতে পারেনি শালিষকাররা।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক মাস পূর্বে গোঁয়াখালী এলাকার টেকপাড়া গ্রামের আকতার হোসেনের মেয়ে শারমিন আকতার সাথে একই এলাকার নুরুল হকের পুত্র মুফিজুর রহমানের এর সাথে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। দুই জনই নিকটতম প্রতিবেশী। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের কিছু দিন যেতে না যেতেই প্রেমিকের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে প্রেমিকা শারমিন। প্রেমিকার বিয়ের প্রস্তাবে অপরাগতা স্বীকার করেন প্রেমিক মুফিজুর রহমান। অপরদিকে শারমিনের সাথে তার পিতা-মাতার সাথে চলছে মান-অভিমান। সব মিলিয়ে সে নিজে গত ১১মার্চ বিষ পানে আতœহত্যার চেষ্টা চালায়। স্থানীয়রা সেমময় শারমিনকে উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এদিকে প্রেমিক মুফিজুর রহমানের পিতা নুরল হক জানান, বিষপানের বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে শারমিনের পরিবার যৌন হররানী ও অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে আমার ছেলে মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে স্থাণীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে তা অবহিত করে। আর এনিয়ে ছেলে ও মেয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে দফায় দফায় শালিষী বৈঠক করেছে স্থানীয়রা। বিয়ের প্রস্তাবে আমরা উভয় পক্ষ রাজী হই।

এছাড়াও গত ১৭এপ্রিল বিয়ে উপলক্ষে উভয়ের সম্মতিক্রমে লেনা-দেনা বিষয়ে একটি বিয়ের লিখিত খসড়া ফর্দ্দ করা হয়। গত ১১ই মে বিয়ের দিনক্ষণও টিক করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহলের ইন্দনে সববিষয় অস্বীকার করে মেয়ের পরিবারের লোকজন আশ্রয় নেয় আদালতে। অবশেষে দুই মাস পর অর্থাৎ বিয়ের আগের দিন গত ১০মে শারমিন আকতার বাদী হয়ে মফিজুর রহমান ও তার মাতা-পিতার নাম উল্লেখ করে ৩জনকে আসমী করে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। যার সিপি মামলা নং ৬২৯/১৬ইং। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে পেকুয়া থানা ওসি বরাবরে প্রেরণ করছে। এদিকে ভুক্তভোগী অসহায় পরিবার সাজানো মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সুষ্ট তদন্তেরর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সহায়তা কামনা করছেন।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোঃ মোস্তাফিজ ভূইয়া জানান, সুষ্ট ও নিরপেক্ষ তন্তর মাধ্যমে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: