ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় নিহত উকিল আহমদের পরিবারকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ চেয়ারম্যানের!

12144705_889534974455838_5989135785643671443_nপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় টইটং ইউনিয়নের বটতলি এলাকার নিহত উকিল আহমদের পরিবারকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে খোদ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গত দু’বছর আগে সন্ত্রাসীরা দিন দুপুরে নিজ বাড়িতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে টইটংয়ের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রবীন ওই সংগঠককে। ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে টইটং ইউপির ১নং ওয়ার্ড়ের সাবেক সদস্য আব্দুল জলিল বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় একটি মামলা রুজু করে।

 এদিকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উকিল আহমদের ছেলে উপজেলা যুবলীগের সদস্য আব্দুল জলিল মেম্বারের সাথে টইটং ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে দ্বন্ধ চলছিল। উকিল আহমদ হত্যা কান্ডের মামলায় বাদি জাহেদকেও আসামি করে। এরপর দ্বন্ধ প্রকট আকার ধারন করে দু’জনের মধ্যে। ওই মামলায় ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক দীর্ঘদিন ধরে আতœগোপনে ছিলেন।

 গত ইউপি নির্বাচনে জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী টইটং থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জানাগেছে সম্প্রতি পুর্বের বিরোধের জের ধরে বটতলি এলাকায় উকিল আহমদের পরিবারকে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী।

 স্থানীয়সুত্রে জানা গেছে বটতলি এলাকায় উকিল আহমদ পরিবার পরিজন নিয়ে গত ৬০বছর আগে থেকে বসবাস করে আসছিলেন। উকিল আহমদের স্ত্রী দিলুয়ারা বেগম ওই ভিটা তার পৈত্রিক থেকে প্রাপ্ত হন। উকিল আহমদ বারবাকিয়া থেকে বটতলি এলাকায় ঘর-জামাই হিসেবে যান সে সময় থেকে। সরকারের পিএফ সম্পত্তি হলেও পরবর্তীতে উক্ত জায়গা নিলাম হয়ে যায়। তবে স্থানীয় পন্ডিতপাড়ার সমাজ সেবক মৃত.নুরুল ইসলাম প্রকাশ নাবালক মিয়া ওই জায়গা নিজেই উকিল আহমদের নামে দলিল সৃজনে সহায়তা করেন। নাবালক মিয়া চেয়ারম্যান জাহেদের পিতা। উকিল আহমদ নাবালক মিয়ার বাড়িতে থাকতেন। এ সুবাধে দু’পরিবারের মধ্যে অত্যন্ত সৌহর্দপুন্য সম্পর্ক ছিল যুগযুগ ধরে।

 জানাগেছে গত ২০১২সাল থেকে জলিল মেম্বারের সাথে নাবালক মিয়ার ছেলে জাহেদের সাথে বিরোধ তীব্রতর হয়। যার ফলে উকিল আহমদের বসতভিটা চেয়ারম্যানের পিতার দাবি করে। এনিয়ে একাধিকবার শালিষ বিচারও হয়। তবে কাগজপত্রে ওই জায়গা উকিল আহমদের বলে প্রতিয়মান হয়।

 উকিল আহমদের স্ত্রী দিলুয়ারা বেগম জানায় গত মঙ্গলবার সকালে বসতভিটায় বাঁেশর ঘেরা দিতে কাজ করছিলাম। এ সময় হঠাৎ পরিষদের চৌকিদার নুরুল ইসলাম এসে কাজ না করতে নিষেধ করেন। আব্দুল জলিল মেম্বারের স্ত্রী হাছিনা বেগম জানায় চেয়ারম্যান মুঠোফোনে সরাসরি আমাকে ফোন দিয়ে বাড়িভিটা ছেড়ে চলে যেতে নিদের্শ দেন। ভিটায় তিনি নাকি পুকুর করবেন। আব্দুল জলিল মেম্বার জানায় কাগজপত্রে ওই জায়গা চেয়ারম্যানের প্রমান হলে আমরা স্বেচ্ছায় ভিটা ছেড়ে চলে যাব। কিন্তু চেয়ারম্যান জোর করে বসতভিটা দখল নেয়ার চেষ্টা করছে।

 নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন জলিলের সাথে স্থানীয় আব্দু রহমানের সাথে বিরোধ চলছে। আব্দুর রহমান মুলত অভিযোগ দিয়েছে। ভোটের আগে আব্দু রহমানের বাড়ি ভাংচুর করে জলিল। তার অভিযোগের ভিত্তিতে আপাতত কাজ না করার জন্য নিষেধ করেছি। ভিটা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়ার বিষয়টি তিনি সরাসরি অস্বীকার করেছেন।

পাঠকের মতামত: