ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পেকুয়ায় সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত-৭, আটক-১

atokপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় সংঘর্ষে মহিলাসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৭জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ঠান্ডারপাড়া এলাকায়। আহতরা হলেন ওই এলাকা বেলাল উদ্দিনের স্ত্রী খোরশিদা বেগম (২৮), শাহজামালের স্ত্রী হাছিনা আক্তার (৩৬), মেয়ে পেকুয়া মডেল স্কুলের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী নিশু আক্তার (১৩), মৃত.মহিউদ্দিনের স্ত্রী হাছিনা বেগম (৫০), ছেলে বেলাল উদ্দিন (৪০), মো.রাসেলের স্ত্রী হালিমা বেগম (২৬) ও ইউসুপ আলীর ছেলে রবিউল আলম (২৮)। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

দুপুরে পেকুয়া থানা পুলিশ পেকুয়া কলেজ গেইট চৌমুহনীতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত গুরাঘোনা এলাকার পুতুন আলীর ছেলে মো.মুসাকে আটক করে। মুসা উজানটিয়া ইউনিয়ন সৈনিকলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে। আহতদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম রয়েছে।

জানা গেছে উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচুরা ঠান্ডারপাড়া এলাকায় পাউবোর মালিকানাধীন ৪৩নং স্লুইচ গেইট এর নিয়ন্ত্রন নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধ দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রায় ২০বছর ধরে ওই স্লুইচ গেইট রক্ষনাবেক্ষন করে আসছেন ঠান্ডারপাড়া এলাকার মহিউদ্দিনের পরিবার। সম্প্রতি স্লুইচ গেইটটি নিয়ন্ত্রনে নিতে চায় প্রতিবেশি ইউসুপ আলীর ছেলে দিদারুল ইসলাম। ওইদিন তার নেতৃত্বে নাছির, এনাম, ইদ্রিস, ওসমানসহ বহিরাগত ১০-১৫জনের দুর্বৃত্ত স্লুইচ গেইটে জাল বসাতে যান। এতে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।

আহত বেলাল উদ্দিন জানায় আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মাহিন্দ্র যোগে পেকুয়া হাসপাতালে আসার পথে ঠান্ডারপাড়া এলাকায় ফের হামলা চালায়। এ সময় কুপিয়ে আমিসহ আরো কয়েকজনকে মারাত্বক জখম করে তারা।

পেকুয়া মডেল স্কুলের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী নিশু আক্তার জানায় আমি স্কুলে যাচ্ছিলাম। আমাকে দেখে ওই দুর্বৃত্তরা মারধর করে খালে বই-খাতা ফেলে দেয়। এ ব্যাপারে অপরপক্ষের দিদারুল ইসলাম জানায় তারা জোর করে স্লুইচ গেইটে জাল বসানোর চেষ্টা করে। আমি গিয়ে বাধা দিয়েছি। মামলায় ফাঁসানোর জন্য নিজেরা নিজেদের আঘাত করেছে। আমরা কাউকে মারধর কিংবা আঘাত করেনি। এগুলো তাদের সাজানো।

উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এম.শহিদুল ইসলাম জানায় স্লুইচ গেইট সরকারি। পাউবোর কাছ থেকে কোন পক্ষ অনুমতি নেয়নি। দু’পক্ষ আমার কাছে এসেছিল। অনুমতি না নেয়া পর্যন্ত দু’পক্ষকে জাল না বসানোর জন্য বলেছি। কিন্তু এক পক্ষ তা না মেনে জোর করে জাল বসাতে গেলে মারামারি হয়। শুনেছি হাসপাতালে আহতদের নিয়ে যাওয়ার পথে ফের হামলা চালিয়েছে তারা। পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুঁইয়া জানিয়েছেন হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখিছি। এক জনকে আটক করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা রেকর্ড় করা হবে।

 

পাঠকের মতামত: