ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজস্ব ক্ষতি জেলা প্রশাসনের

চকরিয়া বানিয়ারছড়া স্টেশনে অবৈধ কাঁচাবাজারে লাখ টাকার বাণিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::  চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া স্টেশনের পশ্চিমে ব্যক্তিগতভাবে গড়ে তোলা একটি অবৈধ বাজার থেকে প্রতিমাসে লাখ টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০০৪ সালে চকরিয়া-মগনামা সড়কের পাশে বানিয়ারছড়া স্টেশনের অদুরে অনুমোদন কাঁচাবাজারটি গেল ১৬বছর ধরে বহাল তবিয়তে থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন অথবা ইউনিয়ন পরিষদ বাজারটি বন্ধ কিংবা সরকারিখাতে অর্ন্তভুক্ত করতে কোন ধরণের উদ্যোগ নিতে পারেনি। উল্টো প্রশাসনের নিস্কৃতার সুযোগে কতিপয় চক্র বাজারে অলিখিত ইজারার ভিত্তিতে একাধিক দোকান বসিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জিন্মি করে দিব্যি হাতিয়ে নিচ্ছেন অবৈধ টাকা।

অভিযোগ উঠেছে, সরকারি দলের মদদপুষ্ট স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে বাজার থেকে ইজারার নাম করে প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করছে। ফলে সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব আয় থেকে। বর্তমানে বরইতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রশিদ আহমদের ছেলে জয়নাল আবেদিনের নেতৃত্বে একটি চক্র বাজারটি নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিদিন বাজার থেকে টোল আদায়ের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন দাবি করেছেন, ২০০৪ সালের দিকে বানিয়ারছড়া স্টেশনের পশ্চিমে মগনামা সড়কের পাশে সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে অবৈধ কাঁচাবাজাটি গড়ে তুলেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। প্রায় ১৬ বছরের ব্যবধানে বর্তমানে বাজারের পরিধি অনেকাংশে বেড়েছে। শতাধিক স্থায়ী দোকানপাটও গড়ে উঠেছে বাজারে। পাশাপাশি প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা বাজারটিতে মৌসুমি ফল, হাঁস-মুরগি, শাক-শবজির দোকান গড়ে উঠেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সড়ক লাগোয়া বাজারটি যেন চলছে এক প্রকার দখলদারীত্বের রাজত্ব। যে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই সড়ক ও ফুটপাত দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলছেন। হাতের নাগালে প্রয়োজনীয় সবধরণের পণ্য সস্তায় পাওয়ায় ক্রেতারাও এসব দোকান থেকে কেনা কাটা করছেন। এ অবস্থার কারণে প্রতিদিনই বাজার লাগোয়া সড়কে জনচলাচলের ফুটপাতে দোকান থাকায় প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।

বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য জানিয়েছেন, বানিয়ারছড়া স্টেশনের এই বাজারটি সম্পুর্ণ অবৈধ। ২০০৪ সালে কতিপয় মহল রাতারাতি সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে বাজারটি গড়ে তুলেন। প্রায় ১৬ বছরের ব্যবধানে বর্তমানে বাজারের পরিধি অনেকাংশে বেড়েছে। শতাধিক স্থায়ী দোকানপাটও গড়ে উঠেছে বাজারে। পাশাপাশি প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা বাজারটিতে মৌসুমি ফল, হাঁস-মুরগি, শাক-শবজির দোকান গড়ে উঠেছে। সরকারি অনুমোদন না থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন অথবা ইউনিয়ন পরিষদ বাজারটি বন্ধ কিংবা সরকারিখাতে অর্ন্তভুক্ত করতে কোন ধরণের উদ্যোগ নিতে পারেনি। এই সুযোগে কতিপয় চক্র বাজারে অলিখিত ইজারার ভিত্তিতে একাধিক দোকান বসিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জিন্মি করে দিব্যি হাতিয়ে নিচ্ছেন অবৈধ টাকা।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার বলেন, উপজেলার যে কোন স্থানে বাজার বসাতে হলে জেলা প্রশাসন অথবা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদন থাকতে হবে। কিন্তু বানিয়ারছড়া স্টেশনের এই বাজারটি সরকারি কোন বালামে লিপিবদ্ধ নেই। অথচ এই বাজার থেকে টোল আদায়ের নামে প্রতিমাসে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, জনস্বার্থে এই বাজারটি জেলা প্রশাসনের অধীনে অথবা ইউনিয়ন পরিষদের কাছে অর্ন্তভুক্ত করতে বেশ কয়েকবছর আগে আমি তৎকালীণ চকরিয়া উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তার কাছে বলেছিলাম। কিন্তু ওইসময় তিনি বাজারটি উপজেলা প্রশাসনের হাট-বাজার ফাইলে সংযুক্ত করবে বলে কথাও দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তা আর হয়নি। তবে আমিও চাই বাজারটি সরকারি দপ্তরের অধীনে থাকুক। এতে সরকার যেমন বাজার থেকে রাজস্ব পাবে, তেমনি সরকারি তরফে বাজারটির আধুনিকায়ন উন্নয়ন হবে। বিষয়টি নতুন করে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টিগোচর করা হবে।

 

পাঠকের মতামত: