তদন্তকারী দলের সামনে নতজানু ডিসি ফুড
কক্সবাজারে প্রায় ২০ কোটি টাকার চাল ক্রয়ে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে শাস্তি মূলক বদলি (ওএসডি) হওয়া কক্সবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (চলতি দায়িত্ব) মো. তানভীর হোসেন এর দুর্নীতি তদন্তে কক্সবাজার আসা তদন্তকারী দলকে শত শত লোকজন স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক সুকুমার চন্দ্র রায় এর নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটিকে গত বুধবার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে এই স্বাক্ষ্য দেন। ওই দিন সকালে তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ জানাতে রামু, উখিয়া, চকরিয়া ও কক্সবাজার থেকে শত শত কৃষক, মিল মালিক, ব্যবসায়ীরা জড়ো হন। পরে ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষে তদন্ত কমিটির কাছে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে ৪ জন তথ্য সম্বলিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বক্তব্যদাতারা হলেন যথাক্রমে অভিযোগকারী কক্সবাজার সচেতন নাগরিক আন্দোলনের সদস্য সচিব রাশেদুল মজিদ, কক্সবাজার জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও জেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ কমিটির সদস্য রশিদ আহমদ, রামু মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার কৃষিবিদ মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ ও মিল মালিকদের পক্ষে জনতা অটো রাইচ মিলের মালিক নুরুল আকতার। এ সময় অভিযুক্ত খাদ্য কর্মকর্তা তানভীর হোসেন তদন্ত দলের সামনে উপস্থিত ছিলেন। তদন্তকারী কর্মকর্তাকে স্বাক্ষ্য দেয়ার সময় তানভীর হোসেন নতজানু অবস্থায় বসেছিলেন।
তদন্ত কার্যক্রম চলাকালে চাল ক্রয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রায় এক বছর পর তদন্ত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাক্ষ্যদাতারা। ক্ষতিগ্রস্থরা মনে করছেন, অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনাটি এক বছর হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই ক্রয়কৃত নি¤œমানের চালসহ অনেক আলামতই নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বঞ্চিত কৃষকরা। এদিকে ওই খাদ্য কর্মকর্তা কৌশলে নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সচেতন নাগরিক আন্দোলনের সদস্য সচিব রাশেদুল মজিদ বলেন, কক্সবাজার জেলার কৃষকদের কাছ থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকার ধান ক্রয় করে তা মিলিং এর মাধ্যমে সরকারের চাল ক্রয়ের কথা থাকলেও কয়েকজন খাদ্য কর্মকর্তা প্রায় ৭ কোটি টাকা লুটে নিয়েছেন। এছাড়া কৃষকদের কাছ থেকে কোন ধানও ক্রয় করা হয়নি। যার কারণে দুই হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি চাল সংগ্রহ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে সরকার। জনস্বার্থে এসব ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গেল বছর কয়েক দফা অভিযোগ করা হয়েছিল উর্ধ্বতন মহলে। কিন্তু ১০ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তদন্ত কার্যক্রম শুরু হলো।
জেলা কৃষকলীগ ও জেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ কমিটির সদস্য রশিদ আহমদ বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে খাদ্য কর্মকর্তারা সরকারের ভতূর্কি দেয়া ধান কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করেনি। এতে একদিকে কৃষকরা বঞ্চিত হয়েছে। অন্যদিকে সরকারের উদ্দেশ্য বিফলে গেছে। আমরা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এসব বিষয় অবহিত করেছি।
রামু মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সভাপতি ও রামু কৃষক আন্দোলনের নেতা মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে এক ছটাক ধানও ক্রয় না করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন কয়েকজন খাদ্য কর্মকর্তা। দুর্নীতিবাজ খাদ্য কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের দাবীতে রামুতে হাজার হাজার কৃষক মানববন্ধন ও সভা করেছে। এসব কৃষক তদন্ত দলকে স্বাক্ষী দিতে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ওই দুর্নীতিবাজ খাদ্য কর্মকর্তাদের বিচার না হলে তারা আবারো রাজপথে নামবে বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন।
মিল মালিকদের পক্ষে কক্সবাজারের লিংকরোডের জনতা রাইচ মিলের মালিক নুরুল আকতার বলেন, ‘সাবেক জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর হোসেন নানাভাবে হয়রানী করে আমার কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এমনকি আরো ঘুষ নিতে আমার পে-অর্ডার আটকে আমাকে হয়রাণী করেছেন। পরে আমি জেলা প্রশাসক ও চট্রগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে পে-অর্ডার উদ্ধার করেছি। এভাবে ওই খাদ্য কর্মকর্তা কক্সবাজারে কোটি কোটি টাকা লুট ও ঘুষ আদায় করেছেন। আমরা বিষয়গুলো তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছি।
এর আগে গত মধ্য অক্টোবরে কক্সবাজারে প্রায় ২০ কোটি টাকার চাল ক্রয়ে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে শাস্তি মূলক বদলি হিসেবে তাকে ওএসডি করে খাদ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু এরপরও নানা তালবাহানায় তিনি তিন মাস ধরে কক্সবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের পদ আটকে ছিলেন। অবশেষে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে তিনি অনেকটা গোপনেই কক্সবাজার ছেড়ে যান। যোগদানের মাত্র সাড়ে তিন মাসের মাথায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে এ খাদ্য কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। চাকরিতে সদ্য যোগ দেয়া এ কর্মকর্তাকে যোগ্য না হলেও শুণ্যতা পূরণে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদে পদায়ন করে গত ২৬ জুন কক্সবাজার পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁর অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে কক্সবাজারে ৮৪৯২ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ২১৬৩ মেট্রিক টন চাল ক্রয় অবশিষ্ট রেখেই ক্রয় কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ কমিটির সভাপতি মো. আলী হোসেন। গত ২ সেপ্টেম্বর জেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ কমিটির সভায় সংগ্রহ নীতিমালা লঙ্ঘন করে চাল ক্রয়ের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত মতে, জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ কমিটির সভাপতি মো. আলী হোসেন অবশিষ্ট ২১৬৩ মেট্রিক টন চাল অন্য জেলা থেকে ক্রয়ের জন্য নীতিমালা শিথিল করতে খাদ্য অধিদপ্তরে চিঠি লিখেন। কিন্তু তা অনুমোদন করা হয়নি। এ অবস্থায় ক্রয় করা ৬৩২৯ মেট্রিক টন চাল ক্রয়ে সংগ্রহ নীতিমালা লঙ্ঘন করে প্রায় ৬ কোটি ৯৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তানভীর হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে উঠা সিন্ডিকেটটির বিরুদ্ধে। ‘কোটিপতি ডিসিফুড’ হিসেবে নিজেকে পরিচয়দানকারী এ কর্মকর্তা চাল ক্রয়ের দুর্নীতির টাকায় প্রতি সপ্তাহেই বিমানে ঢাকা আসা-যাওয়া করতেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলায় বোরো (আতপ) চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের আওতায় মোট ৮ হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত ১ আগষ্ট থেকে চাল ক্রয় শুরু হয়। কিন্তু সরকারের চাল ক্রয়ে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নেন স্বয়ং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তানভীর হোসেনের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট। গত ১০ আগষ্ট থেকে জেলায় খাদ্যশস্য সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে তথ্য ভিত্তিক ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক সকালের কক্সবাজার। এর প্রেক্ষিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ কমিটির সভাপতি মো. আলী হোসেন তা তদন্তের নির্দেশ দেন। এর মধ্যে গত ১৯ আগষ্ট বুধবার বিকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট সোহাগ চন্দ্র সাহা রামু খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে ৪৩ মেট্রিক টন চালসহ দুটি ট্রাক জব্দ করে। সরকারের সংগ্রহ নীতিমালা লঙ্ঘন করে উত্তরাঞ্চল থেকে নি¤œমানের এসব চাল প্রতি কেজি ১৯/২০ টাকা দরে ক্রয় করে তা প্রতি কেজি ৩১ টাকা দরে খাদ্য গুদামে সরবরাহের জন্য আনা হয়েছিল। এভাবে রামু খাদ্য গুদামে ২০৬০ মেট্রিক টন চাল মজুদ করা হয়েছে। আর জেলার ৬টি খাদ্য গুদামে ক্রয় করা হয়েছে ৬৩২৯ মেট্রিক টন চাল। নি¤œমানের কম দামের এসব চাল বেশি মূল্যে ক্রয় দেখিয়ে প্রায় ৬ কোটি ৯৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা লোপাট করেছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তানভীর হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে উঠা সিন্ডিকেটটি।
সূত্র জানিয়েছে, বোরো (আতপ) চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের আওতায় কক্সবাজার জেলায় ৮ হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৫৩৩ মেট্রিক টন, চকরিয়ায় ৩৫০ মেট্রিক টন, পেকুয়ায় ৩৫৪ মেট্রিক টন, মহেশখালীতে ২০৯ মেট্রিক টন, রামুতে ৩০৭৬ মেট্রিক টন, উখিয়ায় ৩৪৭২ মেট্রিক টন ও টেকনাফে ৪৯৮ মেট্রিক টন। এসব চাল সরবরাহের জন্য কক্সবাজার জেলার ২২ জন রাইচ মিল মালিকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় কক্সবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। গত ১ আগষ্ট থেকে নির্ধারিত পরিমান চাল সংগ্রহ শুরু হয়। কিন্তু জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তানভীর হোসেন ও অফিস সহকারী রোকসানার যোগসাজসে সংশ্লিষ্ট উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য পরিদর্শক, কক্সবাজারের শীর্ষ কালোবাজারি তাজরেজা ফ্লাওয়ার মিলের ম্যানেজার, শহরের চাউলবাজারের এসবি এন্টারপ্রাইজের বুলবুল ও উখিয়ার আবদুর রহিমের সাথে সিন্ডিকেট করে খাদ্য গুদাম গুলোতে ময়মনসিংহ, বগুড়া, গাইবান্ধাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আনা নি¤œমানের কম দামের চাল মজুদ করা হয়। এসব বিষয়ে দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকায় তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশের পর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য শস্যসংগ্রহ কমিটির সভাপতি মো. আলী হোসেন তা তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু খাদ্য বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসকের নির্দেশের তোয়াক্কা না করে নীতিমালা লঙ্ঘনের মাধ্যমে খাদ্য গুদাম গুলোতে দেদারছে নি¤œমানের চাল মজুদ অব্যাহত রাখে। ১৯ আগষ্ট বিকালে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট সোহাগ চন্দ্র সাহা রামু খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে ৪৩ মেট্রিক টন চালসহ দুটি ট্রাক জব্দ করে। চট্রগ্রাম আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আনিসুজ্জামানও রামু খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করে নানাবিধ জটিলতায় সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে জানিয়ে লক্ষ্যমাত্রার অবশিষ্ট বরাদ্দ বিভাগে সমর্পনের কথা বলেন।
সূত্র জানিয়েছে, গত ১৯ আগষ্ট নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট সোহাগ চন্দ্র সাহা ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৬৬২৭ ট্রাকে ২৩০০০ কেজি (৪৬০ বস্তা) এবং যশোর-ট-১১-২৬৮৮ ট্রাকে ২০০০০ কেজি (৪০০ বস্তা) চাল ভর্তি দু’টি গাড়ি জব্দ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে গাড়ির চালক ও হেলপাররা জানান, রামু খাদ্য গুদামের জন্য জনৈক ব্যক্তি (নাম জানে না কিন্তু মোবাইল নং দেয়া হয়েছে -০১৭৯৬৪৯১৭৩৯ এবং ০১৮১৯৭৪৯৪২৮) গাইবান্ধা থেকে ২৩ মেট্রিক টন ও ময়মনসিংহ থেকে ২০ মেট্রিক টন চাল নিয়ে আসেন। জব্দকৃত চালের বস্তাগুলোতে ‘খাদ্য অধিদপ্তরের জন্য-উৎপাদন এপ্রিল/২০১৫, নীট ওজন ৫০ কেজি, ষ্টার আলকায়েদ জুট মিলস লিঃ’ এবং মা-মনি অটো রাইচ মিল, গর্জনিয়া বাজার, রামু, ২০১৫’ নামে সীলমোহরযুক্ত লেখা রয়েছে। ওই সময় ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৬৬২৭ গাড়ির চালক আবিদুরের নামে জব্দকৃত চালের একটি চালানও জব্দ করা হয়। চালানটিতে লেখা রয়েছে, ‘মেসার্স এম.বি. ট্রেডার্স, ডি.বি.রোড, গাইবান্ধা। ড্রাইভার-আবিদুল, শাহজাহানপুর বগুড়া, ট্রাক মালিক-মো. সাইফুল ইসলাম, শাহজাহানপুর বগুড়া। চালের পরিমান ২৩০০০ কেজি, ট্রাক ভাড়া-৩৭৯৫০ টাকা।’ এসব চালের প্রতি কেজি মূল্য দেখানো হয়েছে ২০ (বিশ) টাকা। এছাড়া কক্সবাজার সচেতন নাগরিক আন্দোলনের সদস্য সচিব রাশেদুল মজিদ এবং কৃষকদের পক্ষে রামু মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিভিন্ন দফতর অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত করছে।
পাঠকের মতামত: