ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

সাঁকো নির্মাণ নিয়ে দুই পক্ষের যুদ্ধ!

pekua-dc-newপেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় সরকারি ছরায় একটি সাঁকো নির্মাণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রীতিমত যুদ্ধ চলছে! এ নিয়ে বিচার-সালিশ তারপর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্র্ষ সর্বশেষ পাল্টাপাল্টি মামলা পর্যন্ত গড়িয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটছে পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বটতলী মালঘারা গ্রামে।

স্থানীয় ও দুপরে লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই এলাকার মোহাম্মদ হোছাইন গং ও একই এলাকার রফিক গং এর মধ্যে বাঁশের সাঁকো নিয়ে এ যুদ্ধ চলছে।

স্থানীয়রা জানান, মোহাম্মদ হোছাইন বাবুল বাস করেন বটতলী ছরার এপারে আর রফিকের ছেলে নুজরুল ইসলাম বাস করেন ছরার অপরপাড়ে। নুরশুল ইসলাম নিজের ভিটার জায়গার অংশে সাঁকু নির্মাণ না করে মোহাম্মাদ হোছাইন বাবুলের জায়গার উপর দিয়ে সাঁকু নির্মাণ করতে গেলে বাঁধে যত বিপত্তি।

মোহাম্মদ হোছাইন বাবুলের অভিযোগ, রফিকের ছেলে নুরুল ইসলাম তার নিজস্ব ভিটায় সাঁকু নির্মাণের জায়গা থাকলেও অবৈধভাবে জোরপূর্বক তার ভিটার এসে গাছ কেটে সাঁকু নির্মাণের চেষ্টা চালায়। এসময় তারা বাঁধা দিলে তার মা ভাই ও বাড়ির মেয়েদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে রফিক গং এর লোকজন। এসময় তারা তাদের বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে । এমনকি এঘটনায় উল্টো তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে তাদেরকে ভিটেবড়ি ছাড়া করা হয়েছে।

অপরদিকে নুরুল ইসলামের অভিযোগ, মোহাম্মদ হোছাইন প্রকাশ বাবুল সহ তার ভাইরা মিলে তার দীর্ঘদিনের বসতভিটা দখল করে নেয়ার পাঁয়তারা শুরু করে। একপর্যায়ে তারা লোকজন নিয়ে আমাদের জমি দখল করতে এলে আমরা বাঁধা দেই। এসময় তারা এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে আমার পিতাকে আহত করে এবং আমার তিন হাজার দুইশত টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়।

এলাকার লোকজন বলছেন, অভিযোগ যাই হোক দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে এবং এতে বৃদ্ধা সহ দুপক্ষের লোকজনই আহত হয়েছেন। এঘটনায় প্রথমে রফিকের ছেলে নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদ হোছাইন বাবুল ও তার ভাই আহমদ হোছাইন কালু সহ তাদের ৭০ বছরের বৃদ্ধা মা আম্বিয়া খাতুনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে বৃদ্ধা আম্বিয়া খাতুন বাদী হয়ে রফিক, নুরুল ইসলাম, আহমদ উল্লাহসহ ৭ জনকে আসামি করে চকরিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সামান্য একটি সাঁকু নির্মাণ নিয়ে দুপক্ষ রীতিমত যুদ্ধ ঘোষণা করছে। দুপক্ষই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে অনেক মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে। আমি দুপক্ষকে অনেক শান্ত করার চেষ্টা করেও থামাতে পারিনি। এখনো দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুপক্ষই মারামারি, মামলা মোকাদ্দমায় জড়িয়ে এখন ভিটেবড়ি ছাড়া হয়ে গেছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পাঠকের মতামত: