ইমাম খাইর, কক্সবাজার :: সংঘাত নয়, আমরা সমঝোতায় বিশ্বাসী। সেভাবে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। যুদ্ধে কোন সমাধান নাই। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তা আমরা দেখেছি।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ইনানীর পাটুয়ারটেকস্থ বঙ্গোপসাগরে আন্তর্জাতিক নৌশক্তি প্রদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সকাল ১১ টা বেজে ২২ মিনিটে নৌবাহিনীসহ সবাইকে স্বাগত জানিয়ে ভাষণ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নৌমহড়ায় যেসব দেশ যোগদান করেছে তাদের প্রতিও জ্ঞাপন করেন তিনি।
১৫ আগস্ট কালো রাতে নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের সকল সদস্য ও বীর শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে শহীদদের কথা স্মরণকালে কিছুটা আবেগাপ্লুত হন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে শক্তিশালী দেশে রূপান্তর করতে উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু। সব দেশের সাথে সুসম্পর্ক রেখে আমরা দেশ পরিচালনা করছি। এগিয়ে যাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘সীমানা ছাড়িয়ে বন্ধুত্ব’ প্রতিপাদ্যে এই প্রদর্শনী আয়োজন করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
অনুষ্ঠানে ভাষণ শেষে ইনানী পাটুয়ারটেক সৈকতে নবনির্মিত নেভি জেটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নৌবাহিনীর সদর দপ্তর জানিয়েছে, মহড়ায় বাংলাদেশসহ ২৮ দেশের ৪৩টি যুদ্ধজাহাজ, ২টি বিএন এমপিএ, ৪টি বিএন হেলিকপ্টার অংশ নেয়।
যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, মিশর, নাইজেরিয়া, সুদান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, তিমুর-লেস্তে থেকে নৌ প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। মহড়ায় ইরান, ওমান, ফিলিস্তিন ও সৌদি আরবের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২০১৭ সালের নভেম্বরে কক্সবাজারে ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়াম বহুপাক্ষিক মেরিটাইম অনুসন্ধান ও উদ্ধার মহড়ার আয়োজন করেছিল। এরপর গত ১২ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর যৌথ ব্যবস্থাপনায় ঢাকা ও কক্সবাজারে ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠকের মতামত: