ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

শিক্ষার্থীর মেধাকে প্রস্ফূটিত করার দায়িত্ব শিক্ষকের -এডিসি আনোয়ারুল নাছের

ািাাাসোয়েব সাঈদ, রামু :::

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আনোয়ারুল নাছের বলেছেন, অতীতে বিদ্যালয় ভবনগুলো কাঁচা ছিলো, আর শিক্ষক ছিলো পাকা। আর এখনকার চিত্র ঠিক উল্টো। এভাবে চলতে পারে না। শিক্ষার্থীদের মেধাকে প্রস্ফূটিত করার দায়িত্ব শিক্ষকের। সেই দায়িত্ব আরো যথাযথভাবে পালন করতে হবে। সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। বিনামূল্যে ও যথাসময়ে বই বিতরণ সহ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করার লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষকদেরও আন্তরিক হতে হবে।

রামু উপজেলার দক্ষিন মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চাইল্যাতলী একে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা’র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল বৃহষ্পতিবার (২৪ মার্চ) বিকাল তিনটায় বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আজকের কক্সবাজার সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আবুল কালাম আজাদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে এলাকায় শিক্ষা প্রসারে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। অনগ্রসর জনপদে শিক্ষার প্রসারে আবুল কালাম আজাদের নাম মানুষের মাঝে আজীবন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

চাইল্যাতলী একে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী এডভোকেট আবুল আবুল মনসুর চৌধুরী, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিনা কাজী, রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর, কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী এডভোকেট আবুল আবুল মনসুর চৌধুরী বলেন, বাঙ্গালীরা বাঘের মতো ধরে আর ছেড়ে দেয় পাখির মতো। কিন্তু চাইল্যাতলী এ,কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবুল কালাম আজাদ বিদ্যালয়টিকে শুরুতে যেমন বাঘের মতো ধরেছিলেন। এখনো বাঘের মতো আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। যে কারনে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সকল পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। তিনি বলেন, উদ্যোমী যুবক আবুল কালাম আজাদ এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে কেবল চাইল্যাতলী বা দক্ষিন মিঠাছড়ির মানুষকে নয়, পুরো রামুবাসীকে গৌরবান্বিত করেছেন। এখন এলাকাবাসির উচিত এ বিদ্যালয়টিকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে আবুল কালাম আজাদকে সম্মানিত করা। কারণ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলেই এলাকা আলোকিত হয় না। অভিভাবকদের প্রচেষ্টাও সুশিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফিরোজ আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন, প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিন। অনুষ্ঠানে রামু প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ, পানের ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন আহমদ, নিজের পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌলানা আমান উল্লাহ, ইউপি সদস্য মো. ওসমান, দক্ষিন মিঠাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জামাল হোছাইন চৌধুরী প্রমূখ। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের হাতে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অতিথিদের উপস্থিতিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে সকল অতিথিবৃন্দ স্ব-স্ব উদ্যোগ বিদ্যালয়টির উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইয়াছমিন আকতার, আবু বক্কর ছিদ্দিক, মো. সিরাজুল ইসলাম, জয়সেন ধর, রিদুয়ানুল হক, আবদুর রহিম, এরশাদ উল্লাহ, সাবিনা ইয়াছমিন, সাফিয়া আকতার সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তুরের জনতা উপস্থিত ছিলেন।

 ####################

 রামুতে ব্যবসায়ি ছিনতাইয়ের শিকার ॥ আটক ২

সোয়েব সাঈদ, রামু :::

রামুতে এক ব্যবসায়ি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। ছিনতাইকারিরা ওই ব্যবসায়িকে মারধর এবং মোটর সাইকেল ভাংচুর করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, রাজারকুল ঘোনারপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. রফিক ও আবদু শুক্কুরের ছেলে কাউসার। বুধবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে সাতটায় রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নে রামু-মরিচ্যা সড়কের পাঞ্জেখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রামু থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ি হাজ্বী সাহেদ সরওয়ার। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, হাজ্বী সাহেদ সরওয়ার রামু সেনানিবাসে ইট, বালি, সিমেন্ট, পাথর সরবরাহ করে আসছেন। ওইদিন সন্ধ্যায় সেনানিবাসস্থ ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে ১৫/১৬ জন উঠতি যুবক তার গাড়ির গতিরোধ করে মারধর করে সর্বস্ব লুট করে। এসময় আর্তচিৎকার দেয়ায় হামলাকারিরা তার মোটর সাইকেলটি ভাংচুর করে। এতে তাঁর ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানিয়েছেন, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

 #################

 রামু ফজল আম্বিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর মাদক, ইভটিজিং সহ অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধে ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা রাখতে হবে

সোয়েব সাঈদ, রামু :::

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেছেন, মাদকের কারনে কক্সবাজার জেলাবাসীর সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। গুটিকয়েক ইয়াবা ব্যবসায়ির কারনে এমন সম্মানহানি কিছুতেই হতে দেয়া যাবে না। তাই মাদকের বিরুদ্ধে সর্বস্তুরে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, মাদক, ইভটিজিং সহ অপরাধমূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। কুমিল্লায় কলেজ ছাত্রী তনুকে ধর্ষণের পর নির্মম হত্যার মতো ঘটনা যেন আর না ঘটে। এখন নারীদের নিরাপত্তায় পুলিশ আরো বেশী সজাগ থাকবে। কেবল পুলিশ নয়, সর্বক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা দেয়া সব মানুষেরও দায়িত্ব।

গতকাল বৃহষ্পতিবার (২৪ মার্চ) সকাল ১১ টায় রামুর ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব ফজল আম্বিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে মাদক, ইভটিজিং, অপহরণ, নারী নির্যাতন সহ অপরাধমূলক কর্মকান্ড বন্ধে রামু থানা আয়োজিত স্কুল ক্যাম্পেইনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাগো নারী উন্নয়ন সংস্থার পোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সুব্রত বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আলহাজ্ব ফজল আম্বিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমান উল্লাহ, রামু প্রেস ক্লাব সভাপতি নুরুল ইসলাম সেলিম, রামু থানার উপ-পরিদর্শক স্টালিন বড়–য়া ও মোহাম্মদ বাবুল, রামু প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর আরো বলেন, ছাত্রীদের যদি উত্যক্ত করে তাহলে পুলিশ তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেবে। এ জন্য বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পুলিশের ফোন নাম্বার এবং অভিযোগ করার জন্য ফরম দেয়া হচ্ছে।

বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালে পুলিশ প্রশাসনের সৌজন্যে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের চকলেট বিতরণ করা হয়।

পাঠকের মতামত: