ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনভুক্ত হতে উদ্বুদ্ধকরণ প্রচারণা

Cox-Sumari-Picপ্রেস বিজ্ঞপ্তি :

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিক শুমারীর ডাটাবেজ তৈরীর শেষ দিন কাল ১৪ জুন। গত ২ জুন থেকে জেলায় শুরু হয়েছে ডাটাবেজ তৈরীর কাজ। শুরুর দিকে একটু কম সাড়া মেললেও শেষ পর্যায়ে এসে ব্যাপক সাড়া পড়েছে রোহিঙ্গাদের মাঝে। কক্সবাজারসহ দেশের ৬ জেলায় একযোগে এ কাজ চলছে। এ পর্যন্ত এক লাখের কাছাকাছি লোকের ডাটা নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। যেখানে রোহিঙ্গারা নিজেদের নাম, মিয়ানমার থাকাকালে নিজেদের ঠিকানা, সেখান থেকে আসার কারণ এবং বাংলাদেশে অবস্থানের তথ্যসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডাটা দিচ্ছে সংশ্লিষ্টকর্মীদের। সবমিলিয়ে বর্তমান সরকারের ‘অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা নাগরিক শুমারী’ কর্মসুচি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের দরবারে একটি মাইল ফলক হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ দিকে বিগত দশদিন ধরে চলে আসা ডাটাবেজ তৈরীর কাজে পরিসংখ্যান অফিসের নিয়োগকৃত মাঠকর্মীদের সহয়োগিতা দিয়ে যাচ্ছে আরাকানী রোহিঙ্গা শরণার্থী কল্যাণ পরিষদ। তারা অধিকাংশ রোহিঙ্গা পল্লীতে গিয়ে নিবন্ধনভুক্ত হওয়ার সুফল তুলে ধরে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে। তুলে ধরেছে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সব দিক দিয়ে সুরক্ষিত করার কথা।
১২ জুন রবিবার কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা শুকনাছড়ি, চরপাড়া, হিমছড়ি নারিকেল বাগান, বাংলাবাজার, আদর্শগ্রাম এলাকায় উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসব সভায় আরাকানি রোহিঙ্গা শরণার্থী কল্যাণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাস্টার আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এনামুল হক, সাদ্দাম, আকতার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় তারা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সরবরাহকৃত ‘আমিও মানুষ আমার আছে নিজের পরিচয়, শুমারিতে নাম লেখালে দূর হবে সব ভয়’, বাংলাদেশে থাকতে হলে নিরাপদ-নির্ভয়, শুমারিতে নাম লিখিয়ে কাটাবো সংশয়’, শিক্ষা স্বাস্থ্য নিরাপত্ত্বা এই শুমারির মূল কথা’ ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত প্রচারপত্র বিলি করেন।
এছাড়াও সংগঠনটির নেতারা উদ্বুদ্ধকরণ সভায় বলেছেন, নিবন্ধন না থাকায় সব দিক থেকে তারা বঞ্চিত। কোন জায়গায় মূল্যায়ন নাই। বিনা চিকিৎসা অনেক লোক মারা যাচ্ছে। চলাফেরা করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত বৈদেশিক নাগরিক আইনে তাদের লোকজন আটক হচ্ছে। শুমারীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে অনেক জটিলতার অবসান ঘটবে এবং রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে সম্ভাবনার পথ খুলে যাবে।

পাঠকের মতামত: