ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রামু রাবার বাগানের জমি জবর-দখলের মহোৎসব, ঘটনাস্থলে ইউএনও

সোয়েব সাঈদ, রামু :: বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন পরিচালিত রাবার বাগানের ১০ একর জবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে ভূমিদস্যুরা। জবর দখলের উদ্দেশ্যে বাগানে সম্প্রতি সৃজিত কয়েক হাজার রাবার গাছের চারা কেটে দেয়া হয়েছে। একের পর এক জবর-দখলের ঘটনায় বাগানে রাবার উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

জবর দখল ও চারা গাছ কেটে দেয়ার খবর পেয়ে শনিবার, ১১ জুন দুপুরে ঘটনাস্থলে যান রামু উপজেলা নির্বাহি অফিসার প্রণয় চাকমা, রামু থানার ওসি আনোয়ারুল হোসাইন, ওসি (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী ও রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক নন্দী গোপাল রায়।

রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক নন্দী গোপাল রায় জানান- সম্প্রতি বাগানের ৫০ একর জমিতে রাবার গাছের রোপনের কাজ শুরু হয়। বাগানের মিতারছড়া এলাকায় একটি ভূমিগ্রাসী চক্র কয়েকদিন ধরে বাগানে সৃজিত ১ হাজারের বেশী চারা গাছ কেটে দেয় এবং এসব পাহাড়ি জমি জবর-দখলের উদ্দেশ্য প্লাস্টিকের ছাউনী দিয়ে কয়েকটি ঘর তৈরীর কাজ শুরু করে। চক্রটি বাগানের গাড়ি চলাচল বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ওই স্থানে চলাচলের রাস্তাটিও কেটে দেয়। সর্বশেষ চারা রোপনে জড়িত শ্রমিকদের মারধরের হুমকী দিলে বাগান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও থানাকে অবহিত করে।
এরই প্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা, ওসি আনোয়ারুল হোসাইনসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাগানের পাহাড়ি জমি দখলের চেষ্টা, বিপুল পরিমান চারা গাছ কেটে দেয়া, চলাচলের রাস্তুা কেটে বিচ্ছিন্ন করার সত্যতা পান। এসময় জবর-দখলকারি চক্রের সদস্যদের সাথে ইউএনও প্রণয় চাকমার বাক-বিতন্ডা সৃষ্টি হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা জানান- জবর-দখলের যারা চেষ্টা চালিয়ে তাদের সাথে প্রাথমিক সমাধানের চেষ্টা চলছে। রবিবার থেকে সেখানে বাগান কর্তৃপক্ষ চারা রোপন করবে। এছাড়া বাগানের ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে যারা বসতি গড়েছে তাদের বসবাসের বিষয়ও সমাধান করা হবে।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন জানান- সরকারি সম্পদ বিনষ্ট ও সরকারি কাজে বাঁধা দেয়া হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি রাবার বাগানের সরকারি জমি জবর-দখল থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক নন্দী গোপাল রায় আরো জানান- কয়েকদিন ধরে বাগানের ১ হাজারের বেশী চারা কেটে দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ রোপন করা হয়েছিলো। চলাচলের সড়কও কেটে দেয়া হয়েছে। এতে বাগানের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

পাঠকের মতামত: