সোয়েব সাঈদ, রামু ::
কক্সবাজারের রামুতে জুয়া খেলায় বাঁধা দেয়ার জেরে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যাকান্ডের শিকার এনামুল হক (২৪) রামু উপজেলার জোরিয়ানালা ইউনিয়নের নন্দাখালী মুরাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ হাসেমের ছেলে। আজ বৃহষ্পতিবার সকাল আটটায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান এনামুল হক। আগেরদিন (বুধবার) সকাল সাড়ে ৯টায় এলাকার কতিপয় জুয়াড়ি চক্র পরিকল্পিতভাবে তাকে মারধর করে বলে জানিয়েছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় পুলিশ জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে। নিহত এনামুল হক কক্সবাজার সিটি কলেজের অনার্স পড়–য়া ছাত্র এবং আজ বৃহস্পতিবার জীবিকার তাগিদে ওমানের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হওয়ার কথা ছিলো।
নিহত এনামুল হকের বাবা মোহাম্মদ হাসেম জানিয়েছেন, বুধবার (২৩ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় এনামুল হক বাড়ি থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলযোগে জোয়ারিয়ানালা বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পাহাড়ি ঝোপের মধ্যে দূর্বত্তরা তার ছেলেকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ও মাথায় লাটি দিয়ে আঘাত করে। এতে রক্তাক্ত ও মুমূর্ষ অবস্থায় এনামুল হক কে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও পওে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, এলাকায় একটি চক্র জুয়া ও মাদকের আসর বসাতো। ৬ মাসপূর্বে তার ছেলে এনামুল হক জুয়ার আসর বন্ধের অনুরোধ জানালে জুয়াড়ি চক্রের এক সদস্যের সাথে মারাধরের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদে বিচারও চলমান রয়েছে। কিন্তু বিচার না মেনে জুয়াড়ি চক্রটি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে।
হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে বৃহষ্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যান রামু থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুকিবুল। তিনি জানিয়েছেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই এলাকার হাম্মদ আলীর ছেলে আবদুল খালেককে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স হামলায় এনামুল হকের মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তুচ্ছ ঘটনার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
পাঠকের মতামত: