ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

রামুতে পেঁপেসহ ৫ শতাধিক ফলজ-বনজ গাছ কেটে দিলো দুর্বৃত্তরা

সোয়েব সাঈদ ॥  কক্সবাজারের রামুতে সামাজিক বনায়নের জমিতে রোপনকৃত বিপুল ফলবান পেঁপেসহ ৫ শতাধিক ফলজ-বনজ গাছ রাঁতের আধাঁরে কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ভিলেজারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় হতাশ ও বিষ্মিত হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সাংবাদিক এম আবদুল্লাহ আলম মামুন। তিনি জানিয়েছেন-ওই এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে কৃষকরা বিষাক্ত তামাক চাষে ব্যাপক আগ্রহী হলে তিনি বিকল্প হিসেবে পেঁপেসহ ফলজ-বনজ গাছের মিশ্র বাগান গড়ে তুলেন। ২ বছরের ব্যবধানে বাগানে তিনি সফলতাও পান। এ কারণে এলাকায় ২০ জনের অধিক কৃষক বর্তমানে তার মতো ফলজ ও বনজ গাছের মিশ্র বাগান গড়ে তুলেছেন।
কিন্তু তাঁর এ সফলতায় ইর্ষান্বিত হয়ে এলাকার কতিপয় কুচক্রী ব্যক্তি রাতের আধাঁরে পরিকল্পিতভাবে বাগানে তান্ডব চালিয়েছে। দুর্বৃত্তরা এক রাতেই তার বাগানের ফলবান ৩ শতাধিক পেঁপে, শতাধিক আকাশমনি, ৫০টি করে গামারী ও লেবু গাছ সম্পূর্ণভাবে কেটে দিয়েছে। এছাড়াও পাশর্^বর্তী পুকুরে চাষকৃত বিপুল মাছও চুরি করে নিয়ে যায় তারা।
বৃহষ্পতিবার (৫ নভেম্বর) সকালে বাগানের পাহারাদার আবু বক্কর নিত্যদিনের মতো বাগানে গেলে এ তান্ডব দেখতে পান। বিষয়টি জানাজানি হলে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ স্থানীয় লোকজন বাগানে এ তান্ডবলীলা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কৃষক এম আবদুল্লাহ আলম মামুন আরো জানান-২০০৩ সাল থেকে তিনি সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী হিসেবে বাগান রক্ষণাবেক্ষণ করে সরকারী বন শিল্পের উন্নয়নে অবদান রেখে আসছেন। বাগানের গাছ কাটার পর থেকে ন্যাড়া থাকা বাগানে তিনি মিশ্র বাগান গড়ে তুলেন। যা বন বিভাগ ও স্থানীয়দের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। কিন্তু কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে বাগানের সব গাছ কেটে দেয়ায় তিনি এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। জীবনে সব সহায় সম্বল ও শ্রম দিয়ে তিনি তিলতিল করে এ বাগান গড়ে তুলেছিলেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে বন বিভাগ ও পুলিশ প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামশুল আলম আলম জানিয়েছেন-তিনি বিষয়টি জেনেছেন। এভাবে বাগানে তান্ডব চালানো নজিরবিহীন ঘটনা। একটি বাগান গড়ে তোলা অনেক কষ্টের। প্রতিটি গাছের সাথে কৃষকের স্বপ্ন জড়িয়ে থাকে। যারা এতবড় নির্মম ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরী।
বন বিভাগের বাঁঘখালী বিট কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিন জানিয়েছেন- ঘটনাটি দুঃখজনক। বাগান মালিক মামুনের সাথে ফোনে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ জন্য তিনি সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: