ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রামুতে জনতার সহায়তায় মদ ভর্তি সিএনজি অটোরিক্সা আটক

রামু প্রতিনিধি
রামুতে ছোলাই মদ সহ একটি সিএনজি অটোরিক্সা আটক করেছে জনতা। পরে রামু থানা পুলিশের হাতে তা সোপর্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। বুধবার, ১২ জুলাই রাত ৯ টার দিকে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পাহাড়িয়া পাড়া এলাকায় ছোলাই মদ ভর্তি গাড়িটি আটক করা হয়। এতে জব্দকৃত মদের পরিমান আনুমানিক ৬০ লিটার। স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার ও রুবেলের নেতৃত্বে এলাকাবাসী কৌশলে এ গাড়িটি আটক করতে সক্ষম হন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে রামু থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে মদসহ গাড়িটি থানায় নিয়ে যান।
দেলোয়ার ও রুবেল জানান- দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি পরিবার ওই এলাকায় বাংলা মদ ও ইয়াবার রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার রাতে মদ বহনকারি সিএনজি অটোরিক্সা (নং কক্সবাজার থ ১১-৩৭০৭) পাহাড়িয়া পাড়া এলাকায় কুলছুমা আকতারের বাড়ির সামনে পৌঁছলে জনতা গাড়িটি ধরে ফেলে। এসময় গাড়ির চালক এবং পেছনের সিটে বসা ৩ জন মহিলা পালিয়ে যান। এরা হলেন- মাদকের মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকা সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী কুলছুমা আকতার (২২), মৃত কামাল উদ্দিনের স্ত্রী দিলারা বেগম (২৪) ও সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪৬)।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন- ১ মাস পূর্বে বিপুল বাংলামদ সহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে আটক হন কুলছুমা আকতারের স্বামী সাহাব উদ্দিন। ওইসময় ভ্রাম্যমান আদালত সাহাব উদ্দিনকে ১ বছরের কারাদন্ড দেয়। বর্তমান ওই মামলায় সাহাব উদ্দিন কারাগারে থাকলেও তার স্ত্রী কুলছুমা বেগম নির্বিঘেœ মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ওই অভিযানে রুবেলের সহযোগিতায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে সাহাব উদ্দিনকে আটক করেছিলো। এ কারণে সাহাব উদ্দিনের পরিবার রুবেলের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
রামু থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির উদ্দিন জানান- আনুমানিক ৬০ লিটার বাংলা মদসহ একটি সিএনজি গাড়ি জনতার সহায়তায় জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

পাঠকের মতামত: