সুজাউদ্দিন রুবেল, কক্সবাজার :: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে পর্যটকের ভিড় হলেই সাগরে ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। সচেতন মহলের দাবি, পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোর চরম দায়িত্বহীনতা এর জন্য দায়ী। তবে জনবল ও উদ্ধার সরঞ্জাম সংকটের কথা স্বীকার করে দ্রুত পর্যটকদের সমুদ্রস্নান নিরাপত্তায় লাইফগার্ড কর্মী বাড়ানোসহ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। যার ৬টি পয়েন্টে সবসময় থাকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকদের আনাগোনা। আর এই পয়েন্টগুলোতে সৈকতের লোনাজলে মাতোয়ারা থাকে ভ্রমণপিপাসুরা।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল ও ভাটার সময় সৈকতের গোসল করতে নেমে বার বার ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা। কিন্তু এক্ষেত্রে পর্যটকদের নিরাপত্তায় কোনো ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি জেলা প্রশাসন, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড সংস্থাগুলো। সচেতন মহলের দাবি; শুধুমাত্র সতর্ক পতাকা উত্তোলন, মাইকিং ও অল্প সংখ্যক লাইফ গার্ড কর্মী দিয়ে দায় সারছেন তারা।
তবে পর্যটকদের সচেতনতার পাশাপাশি জনবল ও উদ্ধার সরঞ্জাম সংকট রয়েছে স্বীকার করে দ্রুত পর্যটকদের নিরাপত্তায় লাইফ গার্ড কর্মী বাড়ানোসহ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানালেন ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বী বলেন, ‘কাউকে উদ্ধার করে যে হাসপাতালে নিয়ে যাবো তার কোনো ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি পর্যাপ্ত লাইফগার্ড ও উদ্ধার সমগ্রীর স্বল্পতা রয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘লাইফগার্ড যা রয়েছে সেটা আমার কাছে মনে হচ্ছে পর্যাপ্ত নয়। ফায়ার সার্ভিসের কোনো একটি ইউনিটকে এখানে নিয়োজিত করা যায় কিনা, সেটা সরকারকে জানাবো।’
বেসরকারি লাইফ গার্ড সংস্থা সি-সেইভ’র দেয়া তথ্য মতে, গত ৪ বছরে সৈকতে গোসলে নেমে মৃত্যু হয়েছে ২২ জন পর্যটকের আর উদ্ধার করা হয়েছে ২৬৭ জনকে। এরমধ্যে গত দু’মাসে ইউল্যাব ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
পাঠকের মতামত: