সুযোগ সুবিধা ছাড়াই কক্সবাজারে নামে বেনামে গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোটেল। মৌসুম বুঝে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে হোটেল মালিকরা এমন অভিযোগ পর্যটকদের। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে পর্যটকদের জন্য তেমন বিশেষ কিছু করতে পারছেন না তারা। এদিকে, পর্যটন করপোরেশন বলছে, আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গড়ে তোলা হবে এক্সক্লুসিভ জোন।
ফেনিল ঢেউ আছড়ে পড়ছে কক্সবাজারের বালুকাময় সৈকতে। পাশেই সবুজ পাহাড়। সাগর পাড়ের সত্যিকারের মনোরম পরিবেশ খুঁজে বছর জুড়ে হাজার হাজার পর্যটক ছুটে আসেন বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতের এই শহরে। কিন্তু শুধুমাত্র সমুদ্র সৈকত আর হোটেল ছাড়া যেন পর্যটকদের দেখার কিছুই নেই।
তাই সুযোগ-সুবিধা ছাড়া নামে-বেনামে গড়ে ওঠা হোটেলগুলো মৌসুম বুঝে আদায় করছে অতিরিক্ত টাকা। ফলে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় কক্সবাজার ভ্রমণের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে পর্যটকরা। আর জরাজীর্ণ তিন মোটেল নিয়ে নীরব ভূমিকায় রয়েছে পর্যটন করপোরেশন।
পর্যটকরা বলেন, ‘মান ভালো বলে ২ হাজার টাকার হোটেল ৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। সিজনে আসলে যে রুমের ভাড়া ৭ হাজার সেটা ১২ হাজার হয়ে যায়। এ কারণে অনেকে এখানে আসতে চায়না’
প্রশাসনিক জটিলতার কারণে পর্যটকদের জন্য কিছুই করা যাচ্ছেনা বলে দাবি হোটেল মালিক সমিতির এ নেতা।
কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির সহসভাপতি সাখায়াত হোসাইন, ‘ পর্যটকদের বিনোদনের জন্যে অনুষ্ঠান করার চিন্তা ভাবনা করলেও প্রশাসনিক জটিলতায় তা সম্ভব হয়না। কয়েকটা টেবিল ঘুরতে হয় একটা অনুমতির জন্যে’।
পর্যটন করপোরেশনের ম্যানেজার জানালেন, আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হবে এক্সক্লুসিভ জোন।
কক্সবাজার পর্যটন করপোরেশন ইউনিট ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘যে সব জায়গা খালি আছে সে সব জায়গাতে সব সুবিধা সহ এক্সক্লুসিভ জোন তৈরি করা হবে। পর্যটকদের দিন থেকে রাত সেবা দেয়ার জন্যে সব সুবিধা থাকবে।’ সৈকতের এ শহরে প্রতি বছর ১০ লাখের বেশি বিনোদন প্রেমীর আগমন ঘটে।
পাঠকের মতামত: