ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থের বিনিময়ে বহিরাগতদের নিয়োগের অভিযোগ

সালাম কাকলী: কক্সবাজার জেলার সাগর ও নদী ঘেরা মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে স্থাপিত হওয়া কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে সংশ্লিষ্টরা অর্থের বিনিময়ে লোক নিয়োগ দিচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বহিরাগত ও স্থানীয় ডজন খানেক লোকের নেতেত্বে কয়েকটি সিন্ডিকেক লোক নিয়োগ নামে শ্রমিকদের কাছ থেকে ১৫ হাজার, সুপার ভাইজার থেকে ৫০ হাজার ও সিক্যুরিটি গার্ড থেকে ৭০ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে চাকুরী দিচ্ছে বহিরাগত লোকজনকে। ফলে স্থানীয়রা এই উৎকোচ দিতে ব্যর্থ হওয়া তারা চাকুরী পাচ্ছেনা। এতে মাতারবাড়ীর অধিংশ ঘরে ঘরে চলছে নিরবে দুর্ভিক্ষ।

মাতারবাড়ীতে ১২ শত মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প করার জন্য ২০১৪ সালে লবণ ও চিংড়ী চাষ যোগ্য ১৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করে জাপানি সংস্থা জাইক্যা। ২০১৫ইং সাল থেকে উক্ত প্রকল্পে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে কয়লা বিদ্যুতে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য চলছে নিধনজজ্ঞ। গত ৪ বছর ধরে ঐ এলাকার মালিক, দালাল, লবণ শ্রমিক, লবণ ব্যবসায়ী, চিংড়ী ব্যবসায়ী, চিংড়ী আহরণকারী ও চিংড়ী ঘোনার শ্রমিক সহ বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত প্রায় ৭ হাজার লোক বেকার হয়ে পড়েছে। তারা কর্মসংস্থান হারিয়ে এখন রিজিকের সন্ধানে চট্টগ্রামে জাহাজ কাটাসহ বিভিন্ন স্থানে দলে দলে এলাকা ত্যাগ করছে। মাতারবাড়ীর এ সব লোকজনের কর্মসংস্থানের জন্য জন প্রতিনিধি, রাজনীতিবীদ ও সচেতন মহল এগিয়ে না আসায় বহিরাগতদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে দালালরা বহিরাগত লোকজনদেরকে চাকুরী দিচ্ছে। ফলে মাতারবাড়ীর অধিকাংশ পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে বুক ফাটা আর্তনাথ। এদিকে মাতারবাড়ীর সাইরার ডেইল বাজারের এক চায়ের দোকানদার মাওলানা কাইছার জানান, গত ১৮ এপ্রিল শতাধিক বহিরাগত লোকজনকে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কার্ড নিয়ে ঢুকতে দেখেছি। এসব লোকজন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রবেশ আগে তার দোকানে খাওয়া-দাওয়া করেছে। এ সংবাদটি আমাদের এ প্রতিনিধি সালাম কাকলী মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানালে, তিনি তৎক্ষনিক ভাবে মোটো ফোনে কয়রা বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেন। অন্যদিকে সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব বশির আহমদ জানান, এখন মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে চলছে লুটপাটের মহোৎসব। মুদ্দা কথা মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে বর্তমানে ৩ জাহার লোক কর্মরত রয়েছে। কিন্তু এসব লোকজনের মধ্যে মাত্র ৩ শতাধিক লোক মাতারবাড়ীর রয়েছে। তাও শ্রমিক।

পাঠকের মতামত: