কক্সবাজার প্রতিনিধি ::
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অবস্থা খুব নাজুক হয়ে পড়েছে। জোয়ারের পানি বাড়লে যেকোন মুহুর্তে পুরো মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করলে দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়া খ্যাত মাতারবাড়ি ইউনিয়নে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তাই দ্রুত বেড়ীবাঁধ নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আবেদন করেছেন মাতারবাড়ির চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি আবেদনে বলেন ইউনিয়নের সাইট পাড়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭০ নং ফোল্ডারের বেড়ীবাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। প্রায় ৩ কিলোমিটার ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ দিয়ে বঙ্গোপসাগরের পানি প্রবেশ করে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ইতোমধ্যে সাইট পাড়া এলাকায় অনেক বসতবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। মাতারবাড়ি ইউনিয়ন বঙ্গোপসাগরের মোহনায় হওয়ায় যেকোন মুহুর্তে ব্যাপকভাবে প্লাবিত হতে পারে। ইতোমধ্যে নয়াপাড়াস্থ বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে প্রায় ১৫টি বসবাড়ি ও গোয়াল ঘর ভেসে গেছে। আরো ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা রয়েছে ঐ এলাকার একটি মসজিদসহ শতাধীক ঘরবাড়ি। গত রমজানের ঈদের পর ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঐ এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে কাজ করার কথা থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ তা না করায় ঐ এলাকার ভাঙ্গনের এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ আরো জানিয়েছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড আর কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা শুধু মুখে আশ্বাস দিয়ে আসছে। পানি নিস্কাসনের সকল স্লুইচ গেইট কোলপাওয়ার কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়ে বর্ষা মৌসুমে পানি ঢুকিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে মাতারবাড়ি ইউনিয়নকে। এ ছাড়া মাতারবাড়ি পশ্চিমে সাগরের চ্যানেল থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনের কারণে দীর্ঘ চরটি বিলীন হয়ে গেছে। ফলে সাগরের বিশাল ঢেউ আচড়ে পড়ছে বেড়ীবাঁধের উপর। যার ফলে বেড়ীবাঁধ রক্ষা করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বেরিয়ে যাওয়া কাদা মাঠি, বালি ও ময়লা-আবর্জনা, কুহেলিয়া নদীতে পড়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কোহেলিয়া নদী ধীরে ধীরে মাতারবাড়ির ভুপৃষ্ট থেকে প্রায় সমান হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি ও বাড়ি ঘরে ব্যবহারের বর্জ্য কোহেলিয়া নদীতে পড়তে না পারায় রাস্তা-ঘাট আবর্জনায় ভরপুর হয়ে যাচ্ছে। চেয়ারম্যান আরো বলেন, জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দ্বিতীয় টুঙ্গিপাড়ার এখন বেহাল দশা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর অগোচরেই এই এলাকার মানুষকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছেন সংশ্লিষ্টরা। তিনি আরেক বার মাতারবাড়ি সফর করলে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে।
প্রকাশ:
২০১৯-০৮-০৯ ১৫:২৬:১৬
আপডেট:২০১৯-০৮-০৯ ১৫:২৬:১৬
- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের কমিটি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি
- চকরিয়ায় দিনব্যাপী জেন্ডার সমতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- চকরিয়ায় সাংবাদিক পরিচয়ে ওসির কাছ থেকে মোবাইলে চাঁদাদাবি, যুবক গ্রেফতার
- কেউ দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা”
- শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চকরিয়া উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- চকরিয়ায় মালুমঘাট হারবাং বমুতে খ্রীষ্টানদের শুভ বড়দিনের উৎসব উদযাপন
- নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবের স্ব-ঘোষিত কমিটি সাংবাদিকরা মানে না
- চকরিয়ায় ডাকাতি,মলম পার্টি,গরু চোর ও নাশকতা মামলার ৭ আসামী গ্রেপ্তার
- হাইওয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় চকরিয়া মহাসড়কে বাড়ছে ছিনতাই
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবের অবৈধ কমিটির অবৈধ নির্বাচন
- নব্য দোসরদের কারণে সাংবাদিকরা কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য পদ পাচ্ছে না
- পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-আহতের পরিবারকে সরকারি অনুদান
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদী ফেনী থেকে গ্রেফতার
- ঈদগাঁওতে চেয়ারম্যান জনি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবের স্ব-ঘোষিত কমিটি সাংবাদিকরা মানে না
- সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী ও দায়িত্বশীল সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- মেদাকচ্ছপিয়ায় পিপলস ফোরাম সাধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
- কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের জটিলতা নিরসনে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়ে স্মারকলিপি
- নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির সেক্রেটারীসহ ২জনকে কুপিয়ে জখম
- চকরিয়ায় ডাকাতি,মলম পার্টি,গরু চোর ও নাশকতা মামলার ৭ আসামী গ্রেপ্তার
পাঠকের মতামত: