এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদী থেকে সেলোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণের হিড়িক পড়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে অভিযানে নেমেছেন উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালত। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো.তানভীর হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানে বালু উত্তোলণের অপরাধে তিনটি মামলায় দেড়লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।
বৃহস্পতিবার আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন বালু পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে একটি সেলোমেশিন ও বিপুল পরিমাণ পাইপ জব্দের পর গুড়িয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পেশকার মিলন কান্তি দাশ।
আদালতের পেশকার ও চকরিয়া উপজেলা ভুমি অফিসের কর্মকর্তা মিলন কান্তি দাশ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে কতিপয় মহল চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর নামার চিরিঙ্গা, সাহারবিল, পূর্ববড় ভেওলা, বিএমচর, বেতুয়া বাজার, কৈয়ারবিল ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে কতিপয় মহল নির্দেশ অমান্য করে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখেন। এরই প্রেক্ষিতে তিনধরে অভিযানে নেমেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত।
জানতে চাইলে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.তানভীর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিলেন। এ অবস্থার কারণে সরকার বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অবশ্য সম্প্রতি সময়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে জড়িতদের তাগাদা দেওয়া হয়। এরপরও মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি বলেন, অভিযানের সময় বালু পয়েন্ট থেকে ১টি মেশিন ও বেশকিছু পাইপ জব্দ করে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তবে অভিযানের সময় বালু উত্তোলনে জড়িত অসাধু ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়।
সহকারি কমিশনার ভুমি বলেন, আগেরদিন বুধবার মাতামুহুরী নদীর বেতুয়াবাজার এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলণের পর মজুদ করার অভিযোগে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ ধারার আলোকে দুইটি মামলায় ১ লাখ দুই হাজার টাকা এবং মঙ্গলবার উপজেলার সুরাজপুর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে একটি মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: