ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মহেশখালী পৌর নির্বাচনে লড়াই হবে মকসুদ ও সরওয়ার

মহেশখালী প্রতিনিধি :: করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে দুইবার পিছিয়ে যাওয়া মহেশখালীর একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর।

মহেশখালী পৌরসভায় মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ২৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ মোট ৪২ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা আসনে মোট ২৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৪ জন হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মকসুদ মিয়া (নৌকা), সাবেক মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার আজম (নারিকেল গাছ), মহেশখালীর সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমজাদ হোসেন (মোবাইল ফোন), মেয়র মকসুদ মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা আকতার (পানির জগ)।

পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৭ জন, সংরক্ষিত আসনে নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১ প্রার্থী। এখানে মোট প্রার্থী ৪২ জন। মহেশখালী পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৪শ ৩০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৭শ ৯৯ জন এবং নারী ভোটার ৯ হাজার ৬শ ৩১ জন।

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে ও ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহেশখালী পৌরসভায় পূর্বের মতো এবারের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী ঘরানার দুই হেভিওয়েট প্রার্থী বর্তমান মেয়র মকসুদ মিয়া ও সাবেক মেয়র সরওয়ার আজমের মধ্যে। পৌরসভা গঠিত হওয়ার পূর্ব থেকে যুগ যুগ ধরে এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পরিবারের মধ্যে অনেকটা সীমাবদ্ধ থাকে উপজেলা সদরের ইউনিয়ন বা পৌরসভার নির্বাচন।

পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিপূর্বে বহুবার সংঘাত, সংঘর্ষ হয়েছে। সর্বশেষ গেল নির্বাচনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মেয়র প্রার্থী সরোয়ার আজমের সমর্থক আব্দু শুক্কুর নামের একজন নিহত হয়েছিলেন। এবারও শঙ্কায় রয়েছেন ভোটাররা। অবশ্য নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তারা হার্ডলাইনে আছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য তারা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহফুজুর রহমান চকরিয়া নিউজকে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মতে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে আছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলকার নাইম। তিনি জানান, মহেশখালীতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে মহেশখালী নির্বাচন কমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সবাইকে আচরণবিধি মেনে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দেন তিনি।

পাঠকের মতামত: