মহেশখালী প্রতিনিধি :: মহেশখালী টু কক্সবাজার নৌপথে ৩ ঘন্টার ব্যাবধানে ২ টি নৌ দূর্ঘটনায় ১ জন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দূর্ঘটনা এড়াতে ফেরী সার্ভিস চালুর দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহলের।
গত ২০ ই সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে একটি যাত্রীবাহী গাম বোট ও সাড়ে ৬ টায় যাত্রীবাহী একটি স্পীড বোট দূর্ঘটনায় পতিত হয়।
এতে পতিত হওয়া গাম বোটের একজন যাত্রী নিখোঁজ হয়।
জানা যায়, ২০ ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় কক্সবাজার হতে বশির মাঝির একটি গাম বোট মহেশখালী আসার পথে বাঁকখালী পৌঁছলে একটি ফিশিং বোট উক্ত যাত্রীবাহী গাম বোটটিকে ধাক্কা দেয়। এসময় গাম বোটের ৩ জন যাত্রী বোট থেকে পানিতে পড়ে যায়। তবে তাৎক্ষণিক ২ জন যাত্রীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হলেও আশরাফুল মোহাম্মদ তোফেল (২৩) নামের একজন যাত্রীকে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরও উদ্ধার করা যায়নি। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ মহেশখালী জেটিঘাট হতে কয়েকটি স্পীড বোট ও গাম বোট নিখোঁজ ছেলেটিকে উদ্ধারের জন্য সাগরে পাঠান বলে জানান মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান।
নিখোঁজ তোফেল মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের সিপাহীর পাড়া গ্রামের মৃত ছালেহ আহমেদ প্রকাশ নাগুর পুত্র বলে জানা যায়। সে চট্টগ্রাম কলেজে অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র।
এদিকে উদ্ধারকাজে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন নিখোঁজ তোফেলের পরিবার। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তোফেল আহমদের মরদেহ উদ্ধারে আমাদের উদ্ধার তৎপরতা চলমান রয়েছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসন ও কোস্ট গার্ডকে বিষয়টি অবগত করেছেন বলেও জানান তিনি।
একই দিন উক্ত দূর্ঘটনার সাড়ে ৩ ঘন্টা পূর্বে তথা বিকাল ০৩:০০ টায় যাত্রীবাহী একটি স্পীড বোট কক্সবাজার হতে মহেশখালী আসার পথে
মহেশখালী-কক্সবাজার নৌ চ্যানেলের মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছলে উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে স্পীড বোটটির তলা ফেটে যায়। যার কারণে বোটের ফাটা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে বোটটি পানিতে ঢুবে যায়।
দূর্ঘটনায় পতিত হওয়া স্পীড বোটের একজন যাত্রী -কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা বসন্ত দে জানান, ২০ ই সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩ টায় কক্সবাজার হতে যাত্রীবাহী একটি স্পীড বোট মহেশখালী আসার পথে নৌ চ্যানেলের মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছলে উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে স্পীড বোটের তলা ফেটে যায়। এসময় যাত্রীরা কান্না কাটি শুরু করে দেয়। ফাটা জায়গা দিয়ে পানি ঢুকে স্পীড বোটটি ঢুবে যায়। সেখানে ৩ মাসের একজন শিশু এবং ৯ জন যাত্রী ছিল। তন্মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা। এসময় নৌ চ্যানেলে চলাচলরত ফিশিং বোট ও অন্যান্য বোটের সহায়তায় সবাইকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
মহেশখালী টু কক্সবাজার নৌপথে এসব দূর্ঘটনার কারণ হিসেবে লাইফ জ্যাকেটের ব্যাবহার না করা, লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ বোট চালক, নিয়মের অধিক যাত্রী বহন সহ নানান অনিয়মকে দেখছেন সচেতন মহল। পাশাপাশি এধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে মাননীয় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিকের কাছে উক্ত নৌপথে ফেরি সার্ভিস চালুর দাবীও জানান তারা।
পাঠকের মতামত: