বিশেষ প্রতিবেদক :
মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী ও দেশের প্রখ্যাত পরিবেশ বিজ্ঞানী আলহাজ প্রফেসর ড. আনসারুল করিম বলেছেন, বিগত চার বছর ধরে বর্তমান সাংসদের কাছে জনগণ কিছুই পায়নি। চরম বঞ্চিত হয়েছে। সাংসদের রোষানলে পড়ে খোদ প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতারাই নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বলতে গেলে বর্তমানে মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নেই। ক্ষমতায় আছে আওয়ামীগের সাইনবোর্ডধারী একটি বিদ্বেষী চক্র। জনগণ তথা প্রকৃত আওয়ামী পরিবার এটার পরিবর্তন চায়। তাই এই আসনের জনগণের ভাগ্যোন্নয়ন এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেব।
শনিবার (৯ জুন) কক্সবাজার শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের বিশিষ্ট জনদের সাথে আসন্ন সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় ও ইফতাল মাহফিলের আয়োজন করেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী ও দেশের প্রখ্যাত পরিবেশ বিজ্ঞানী আলহাজ প্রফেসর ড. আনসারুল করিম। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।
মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনটি বিএনপি জামায়াতের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পরবর্তীতে এই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ঠিকমত কেউ দাঁড়াতেও পারেননি। কিন্তু ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে লড়ে সেই দুর্ভেদ্য দুর্গ ভেঙ্গে দেন ড. আনসারুল করিম। প্রতিকূল পরিবেশেও ৮৬ হাজার ভোট আদায়ে সক্ষম হন তিনি। তিনি (আনসারুল করিম) এবারের নির্বাচনে অংশ নিলে দলমত নির্বিশেষে সর্বাধিক ভোট আদায়ে সক্ষম হবেন বলে দাবী করেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এজন্য নেতাকর্মীরা তাকে (আনসারুল করিম) মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ড. আনছারুল করিম বলেন, ‘গত চার বছরে একদিনের জন্যও এলাকায় গিয়ে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করিনি। কারণ রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে ক্ষমতা উপভোগ করা আমার নীতি নৈতিকতায় নেই। তবে সব সময় সুখ-দুঃখে নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নিয়েছি। জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি এবং করে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন নির্বাচনের আগ মুহুর্ত। আপনাদের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে এসেছি। ঈদের পর থেকেই গণসংযোগ শুরু হবে। আপনারা আমার পাশে থাকলে ইনশাআল্লাহ নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করতে পারবো।’
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. মোস্তাক আহমেদ। সঞ্চালনা করেন বৃহত্তর গোরকঘাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন মহেশখালী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান সরওয়ার আজম বিএ, সাবেক এমপি ইছহাক মিয়ার ছেলে ও মহেশখালী উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি অধ্যাপক সরওয়ার কামাল, অ্যাড. আব্দুর রশিদ, জেলা শ্রমিকলীগ নেতা কুতুবদিয়ার কৃতি সন্তান মনোয়ারুল ইসলাম মুকুল, বড় মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ সিরাজ মিয়া পাশা, মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, জেলা যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন, কুতুবদিয়ার অধ্যাপক শফিউল করিম, বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম, কুতুবজোম আওয়ামী লীগ নেতা মাষ্টার ফরিদুল আলম, ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান, ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহির সিকদার, হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা অধ্যাপক এহেসান আলী, কুতুবদিয়া উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউল মোর্শেদ, লেমশীখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিক সিকদার, মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ছালেহ আহমেদ, মাতারবাড়ি যুবলীগ নেতা আব্দুস সাত্তার, শ্রমিকলীগ নেতা ফরিদুল আলম, মহেশখালী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাছ উদ্দিন প্রমুখ।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- মহেশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমজাদ হোছাইন, মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোর্শেদ, আব্দুল হামিদ মেম্বার, মহেশখালী পৌর আওয়ামী লীগের ৩ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আলম, ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, ৮ ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শাকের আলম, ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি জামাল মাষ্টার, ৭নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, মো. ইকবাল, ফিরোজ আলম, মাহাবুল আলম, মুজিবসেনা ঐক্যলীগের মাহাবু, মৎস্যজীবী লীগের মো. মিজান, অরবিন্দু দে, আবু তৈয়ব, ছৈয়দুল ইসলাম, আমজাদ, মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন, মনিরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা শাহীন, নেছারুল হক প্রমুখ।
এছাড়াও সাংবাদিক, বিভিন্ন পেশাজীবী, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: