ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মহেশখালীর শাপলাপুর এক ইউনিয়নে প্রার্থী ৮৭ জন

মাহবুব রোকন, কক্সবাজার :: মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের নির্বাচন আগামী ১২ ডিসেম্বর। মহেশখালীর এ একটি ইউনিয়নের নির্বাচনকে ঘিরে মহেশখালীতে সাধারণ লোকজনের মাঝে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে। মানুষের মাঝে এখন আলোচনার মূল বিষয় শাপলাপুরের ইউপি নির্বাচন। ইতোমধ্যে এ নির্বাচনকে ঘিরে একজন প্রার্থীর প্রার্থী হওয়ার বৈধতা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটির আজ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে গতকাল এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবার চেয়ারম্যান পদে ১৬ প্রার্থীসহ এ ইউনিয়নে মোট প্রার্থী হয়েছেন ৮৭ জন। গতকাল সকাল থেকে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের কাজ শুরু করেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাচন অফিস। উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মোঃ জুলকার নাঈম প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন। এখানে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন হিসেবে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন শাপলাপুরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক। তবে বিভিন্ন কারণে এ নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়ার বৈধতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে মামলা করেছেন একটি পক্ষ। আজ মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানাগেছে। এছাড়া এবার শাপলাপুরে চেয়ারম্যান পদে প্রতীক হিসেবে আনারস পেয়েছেন সালাহউদ্দিন হেলালী কমল। এ প্রতীকটির প্রতি সব প্রার্থীর আগ্রহ থাকায় কেউ কাউকে ছাড় না দেওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত লাটারির মাধ্যমে প্রতীকটির বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়। শেষের লটারি জিতে প্রতীক হিসেবে আনারস বরাদ্দ পান কমল। তাছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ দিদারুল ইসলাম পেয়েছেন দোয়াত কলম, মনির আহমদ -কাপ পিরিচ, নুরুল হক -ব্যাটারি, আব্দুল গফুর -গিটার, নুরুলহুদা -রজনীগন্ধা ফুল, গিয়াস উদ্দীন সিকদার -টেলিফোন, আব্দুল খালেক চৌধুরী -নৌকা ওসমান ছরওয়ার -রেডিও, মোঃ সাঈদুল ইসলাম চৌধুরী -অটো রিকসা, মোঃ রফিকুল ইসলাম -মোটর সাইকেল, একেএম ইলিয়াছ টেপ রেকর্ডার, বদর উদ্দীন -টেবিল ফ্যান, মোঃ আলম -দুটি পাতা, মোঃ শাহজাহান ফারুকী -চশমা ও সোহেল রানা -ঘোড়া মার্কা পেয়েছেন।
এক নম্বর ব্লক তথা ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারী আসনে জুবাইদা খানম পেয়েছেন বই, নুর বানু হেলিকপ্টার, দিলরুবা দিলু -তালগাছ, আনোয়ারা বেগম -কলম ও আমেনা বেগম -সূর্যমূখিফুল। দুই নম্বর ব্লক ৪,৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মনোয়ারা বেগম -তালগাছ, শাহিন সোলতানা মিনা -বই, আনোয়ারা সোলতানা -সূর্যমুখী ফুল ও শাহেদা বেগম -হেলিকপ্টার। তিন নম্বর ব্লক তথা ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আজেরা বেগম -বই, পাখারাজা বেগম -তালগাছ, হাসিনা আক্তার -ক্যামেরা, আয়েশা ছিদ্দিকা সাথি -সূর্যমুখী ফুল ও সুফিয়া খাতুন পেয়েছেন কলম প্রতীক।

সাধারণ সদস্য পদে এক নম্বর ওয়ার্ডে শাহা আলম -তালা, মোঃ আবু বক্কর- (প্রতীক নেননি), মোনতাসির মামুন -মোরগ, ইসমাইল হোসাইন -আপেল, মোঃকবির -ফুটবল, দিল মোহাম্মদ -টিউবওয়েল। দুই নম্বর ওয়ার্ডে মোঃ আব্দু সালাম -মোরগ, মোঃ ইলিয়াছ -তালা, মোঃ সরওয়ার আলম -বৈদ্যুতিক পাখা, গোলাম কাদের -ফুটবল, সেকান্দর মিয়া -অপেল, মোঃ রিদুয়ান কাদের -ভ্যানগাড়ি, আবুল কালাম -টিউবওয়েল। তিন নম্বর ওয়ার্ডে সলিম উল্লাহ -তালা, ওসমান গণি -মোরগ, মোঃ রশিদ -ফুটবল, শাহাব উদ্দীন -টিউবওয়েল, আনোয়ার হোছাইন -আপেল, বদিউল আলম (প্রতীক নেননি), চার নম্বর ওয়ার্ডে মোঃ সরওয়ার কামাল -তালা, ফরিদুল আলম -ফুটবল, মোঃ রশিদ মিয়া -মোরগ, মোঃ খলিল -ফ্যান, মোঃ হোসাইন-আপেল, শাহ আলম -টিউবওয়েল। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে মোক্তার আহমদ -ফুটবল, আব্দুল কাদের -টিউবওয়েল, সুমন শীল -ঘুড়ি, মোঃ নুরুল আলম -আপেল, জাকের হোসেন -তালা, মোঃ হোছন -মোরগ, মোঃ শফিউল আলম -ফ্যান, জাফর আলম ভ্যানগাড়ি, নুরুল কাদের -ক্রিকেট ব্যাট। ছয় নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল কাদের -মোরগ, নেজাম উদ্দীন -তালা, বজল আহমদ -ফুটবল মার্কা, জসিম উদ্দীন -বৈদ্যুতিক পাকা, মোঃ নাজিম উদ্দীন -টিউবওয়েল, আব্দুল হক -আপেল। সাত নম্বর ওয়ার্ডে মোঃ আমান উল্লাহ -ফুটবল, মোঃ হোছন -তালা, রশিদ আহমদ -টিউবওয়েল, আনোয়ার পাশা -মোরগ মার্কা, ফরিদুল আলম -বৈদ্যুতিক, আব্দুল করিম -আপেল। আট নম্বর ওয়ার্ডে আলী আকবর -মোরগ, আনু মিয়া -টিউবওয়েল, নুরুল বকসু -তালা মার্কা, মোঃ নুরুল আমিন -আপেল, শফিউল আলম -বৈদ্যুতিক পাকা, জালাল আহমদ -ফুটবল। নয় নম্বর ওয়ার্ডে আমির হামজা আপেল, নুরুল আমিন -টিউবওয়েল, নাজির হোসেন -ফুটবল, জাহাঙ্গীর আলম -মোরগ মার্কা পেয়েছেন।

এদিকে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় পুরুদমে প্রচারণা শুরু করেছেন। তবে অনেকেই প্রচারণার প্রথম দিন থেকে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে শোডাউন ও প্রচারণা চাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জামিরুল ইসলাম জানিয়েছেন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

স্থানীয় ভোটাররা বলছেন শেষ পর্যন্ত আব্দুল খালেক চৌধুরীর প্রার্থিতা অটুট থাকলে এখানে চেয়ারম্যান পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আব্দুল খালেক চৌধুরী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাংবাদিক সালাহউদ্দিন হেলালী কমলের মধ্যে।

পাঠকের মতামত: