ঢাকা,শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মহেশখালীতে ৪৩ জলদস্যু অস্ত্র-গোলাবারুদসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ::

সুন্দরবনের মতো কক্সবাজারেও র‍্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ শুরু করেছেন জলদস্যুরা। আজ কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপকূলীয় এলাকার ৬টি জলদস্যু বাহিনীর ৪৩ জন সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এসময় তারা ১টি অত্যাধুনিক এসএমজিসহ ৯৪টি অস্ত্র এবং ৭ হাজার ৬৩৭ গোলাবারুদ জমা দিয়েছেন।

মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আজ শনিবার দুপুরে র‍্যাব আয়োজিত জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান কামালের হাতে অস্ত্র জমা দেন কক্সবাজার উপকূলের জলদস্যুরা।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেন, সরকার সুন্দরবনের জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করিয়ে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরকে নিরাপদ করেছে। এইবার প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে র‍্যাব কক্সবাজারের মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ কাজ শুরু করেছে। মহেশখালীতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ায় এই অঞ্চল নিরাপদ করার জন্য এই আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় আসতে চাওয়া জলদস্যু ও মহেশখালীর অস্ত্রের কারিগরদের স্বাগত জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সরকার সহযোগিতা করবে। আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের মামলার ধ্রুত জামিনের ব্যাপারে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। তবে হত্যা ও ধর্ষণ মামলার আসামিদের আইনি কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ অন্য নেতারা।

এ সময় মহেশখালীর আন্জু বাহিনীর ১০ জন সদস্য ২৪টি অস্ত্র ও ৩৪৫টি গোলাবারুদ নিয়ে, রমিজ বাহিনীর ২ জন সদস্য ৮টি অস্ত্র ও ১২০টি গোলাবারুদ নিয়ে, নুরুল আলম ওরফে কালাবদা বাহিনীর ৬ জন একটি এসএমজিসহ ২৩টি অস্ত্র ও ৩৩৩টি গোলাবারুদ নিয়ে, জালাল বাহিনীর ১৫ জন ২৯টি অস্ত্র ও ৬৭৯৮টি গোলাবারুদ নিয়ে, আইয়ুব বাহিনীর ৯ জন ৯টি অস্ত্র ও ৩৭ টি গোলাবারুদ নিয়ে এবং আলাউদ্দিন বাহিনীর ১ জন সদস্য ১টি অস্ত্র ৪টি গোলাবারুদ সহ আত্মসমর্পণ করেন।

পাঠকের মতামত: