ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

মহেশখালীতে ১০হাজার একর পাহাড়ি বনভূমি অবৈধ দখলে

aaaaaএম.রমজান আলী মহেশখালী ::

মহেশখালী উপজেলার প্রায় ১০ হাজার একর সংরক্ষিত পাহাড়ি বনভূমি স্থানীয় লোকজন অবৈধ ভাবে দখলে নিয়ে বাড়িঘর তৈরী, পানের বরজ চাষ সহ যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যারফলে পাহাড়ি বনভুমি বেদখল হয়ে যাওয়ায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষ করে ১৯৭০ সালের পর থেকে ক্রমান্নয়ে দখলদারেরা পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বনভুমি দখল করে বসতবাড়ি ও পানের বরজ তৈরী চোখে পড়ার মত। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কালামারছড়া, হোয়ানক, বড় মহেশখালী, ছোট মহেশখালী ও শাপলাপুর এলাকায় স্থানীয় লোকজন পাহাড়ের ঢালুতে বসতিস্থাপন করে বসবাস করছে। কালারমারছড়া ঝাপুয়ার এলাকার্য় পাহাড়ে বনভুমিতে বসবাসরত রহিম, ছাদেক, ও ছোট মহেশখালী উত্তরকূল এলাকার আবুল হাশেম জানান, দীর্ঘ দিন ধরে পাহাড়ের ঢালুতে বসতঘর তৈরী করে বসবাস করে আসছি কেননা মোটা অংকের টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করে বসতবাড়ি নির্মাণ বসবাস করার মত সার্মথ্য আমাদের নেই। ২০১৪ইং সালের শেষের দিকে ভুমি অফিসের জরিপের সুত্রে জানাগেছে, কালারমারছড়া, হোয়ানক, বড় মহেশখালী, ছোট মহেশখালী ও শাপলাপুর এলাকায় বন বিভাগের ১৮ হাজার ২শ ৮৬ একর সংরক্ষিত বনভুমি রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০হাজার একরের মত সংরক্ষিত পাহাড়ি বনভুমি অবৈধ দখলে। এছাড়া অবৈধ দখল হওয়া বনভুমির উপর প্রায় ৩৫ হাজার লোকজন বসতবাড়ি তৈরি করে বসবাস করছে। উপরিল্লোখিত বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাশেম ভুইঁয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে সে বিষয়ে জানেনা বলে জানান এবং উল্লেখিত তথ্য গুলি কোথায় পেয়েছেন। পাশাপাশি আরো বলেন, পাহাড়ী বনভুমিতে কিছু কিছু লোকের অবৈধ বসতঘর আছে শিঘ্রিই তদন্ত পুর্বক বিহিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: