ঢাকা,শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

মগনামায় সড়ক পথে লবণের ট্রাক বন্ধের দাবী

পেকুয়া প্রতিনিধি ::

সড়কে লবণ পানি পড়া বন্ধে তৎপর সংশ্লিষ্টরা। লবণাক্ত পানির দরূণ সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সুধীজনেরা।
877

এদিকে লবণের পানি সড়কে পড়া বন্ধ করতে করণীয় নিয়ে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে মগনামা ইউপি কার্যালয়ে লবণ ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেছে ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম।

জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথম ৩৫দিনে সড়ক দূর্ঘটনায় ৫১জন নিহত ও দু’শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। লবণ পরিবহণে প্রশাসনিক নির্দেশনা থাকলেও তা না মানায় ট্রাক থেকে সড়কে গলে পড়া লবণ পানিতে রাতের কুয়াশা পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ৭টি গণপরিবহণের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ওভারটেকিং ও দ্রুত গাড়ি চালানোর সময় পিচ্ছিল সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি এসব সংঘর্ষ হয়।

এছাড়াও লবণ পরিবহণে পেকুয়া উপজেলার মগনামা, রাজাখালী ও পেকুয়া সদর ইউনিয়নের প্রধান সড়ক সমূহ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কে সৃষ্ট খানাখন্দকে নিয়মিত আটকা পড়ছে লবণবাহী গাড়ি। এতে লবণ ব্যবসায়ী ও পথচারী উভয়কে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট নিজাম উদ্দিন জানান, সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে দুই বছর পূর্বেই আমি একটি সুপারিশনামা দাখিল করেছিলাম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে। সড়কে পড়া লবণ পানি ছাড়াও বিভিন্ন কারণ উল্লেখ ছিল ওই সুপারিশে। এসব বাস্তবে রূপ না পাওয়ায় দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে।

এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনের নির্দেশে সড়কে লবণ পানি পড়া বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছেন মাঠ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা। উপকূলীয় যে সকল এলাকায় লবণ উৎপাদিত হয় সে সকল ইউপি চেয়ারম্যানরা মাঠে নেমেছেন। পেকুয়া উপজেলার উপকূলীয় তিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা মাঠ পর্যায়ে লবণ ব্যবসায়ী ও লবণ পরিবহণ কাজে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে মতবিনিময় সভাও করেছেন ইতিমধ্যে।

এব্যাপারে মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম বিষয়রটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে আমি লবণ ব্যবসায়ীদের সাথে বসেছি। তাদের সাথে কথা বলে দুটি বিষয় আমরা চিহ্নিত করেছি। লবণ পরিবহণে পানি পড়া বন্ধ করতে হলে প্রথমত শুকনো লবণ পরিবহণ করতে হবে। দ্বিতীয়ত লবণ পানি রাস্তায় না পড়ে মত গাড়িতে পলিথিন ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও সড়ক পথে লবণ পরিবহণ না করে নদী পথে লবণ পরিবহণে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতে হবে। এর জন্য ইউনিয়নের চ্যানেলগুলো পরিষ্কার করা অতীব জরুরী। লবণ পরিবহণের জন্য আলাদা টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ডিসি স্যারের নির্দেশে আমি খাস জমি দেখে রেখেছি। কিন্তু তা বাস্তবায়নে বরাদ্দ প্রয়োজন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বলেন, সড়কে দুর্ঘটনার জন্য লবণ পানি মারাত্বক প্রভাব ফেলছে। তাই লবণ পরিবহণের ক্ষেত্রে সড়কে যাতে পানি না পড়ে সেদিকে দৃষ্টি রাখা উচিৎ। নয়তো ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: