নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাঁসিয়াখালী সবজিবনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ৮৩ বছর বয়সী বদিউল আলমকে ভরণ-পোষণ দিতে বলায় মারধর করেছে তাঁর দুই ছেলে। এ ঘটনায় বিত্তবান দুই ছেলের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে মামলা করেছেন হতভাগা বদিউল আলম। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাদির আইনজীবী ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারি পাবলিক প্রশিকউটর এডভোকেট শহীদ উল্লাহ চৌধুরী।
অভিযোগ সুত্রে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাঁসিয়াখালী সবজিবনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বদিউল আলম (৮৩) জানান, ফরিদুল ইসলাম (৫২), মুরাদুল ইসলাম হেলালী (৫০), সওকতউল ইসলাম (৩৫) ও খোরশেদসহ তার চার ছেলে সন্তান আছেন। তাঁরা সবাই স্বচ্ছল ও বিত্তবান। তদমধ্যে দুই ছেলে ফরিদ ও সওকতউল ইসলাম তাকে দেখবাল করেন, কিন্তু বাকী দুই জন দেখবাল করেনা। বরং নানা অযুহাতে তাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে আসছে।
সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে তুচ্ছ ঘটনায় ওই দু’ছেলে অকথ্য গালি-গালাজ করে। ফলে অসহায় হয়ে বৃদ্ধ পিতা বদিউল আলম বাড়ি থেকে বের হতে চান, কিন্তু ওই দু’পাষন্ড ছেলে মুরাদুল ইসলাম হেলালী ও মো. খোরশেদ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অমানবিক প্রহার করে। পাড়ালিয়ারা এসে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে।
অসহায় পিতা বদিউল আলম বলেন, আমার স্ত্রী মারা গেছেন, ছেলেদের মায়ায় দ্বিতীয় বিয়ে করিনি। এরা তাদের জন্মদাতা মা’কেও মারধর করতো। এখন আমাকে মারধর করে। তারা ঘটনা করলে এলাকার লোকজন বিচার করবে বলে কালক্ষেপন করে। তাই নিরুপায় হয়ে মামলা করেছি।
বদিউল আলমের সেজ ছেলে সওকতউল ইসলাম জানান, বৃদ্ধ বাবাকে আমার দু’ভাই দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছে। প্রতিবাদ করলে আমাকেও নির্যাতন করে তারা।
বাদির আইনজীবী এডভোকেট শহীদ উল্লাহ চৌধুরী জানান, বৃদ্ধ পিতাকে নির্যাতন করায় পিতা বদিউল আলম বাদী হয়ে পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের পরিদর্শককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: