আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী বলেছেন, মুসলিম জাতি পৃথিবীর সর্বসেরা জাতি। অর্ধজাহান শাসনের গৌরবময় ইতিহাস একমাত্র মুসলমানদেরই। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুসলিম উম্মাহ’র ঐক্যের বিকল্প নাই। ভেদাভেদ ভুলে সব মুসলমানকে এক কাতারে শামিল হতে হবে।
অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটি, কক্সবাজার এর ২০ তম তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান আলোচক হিসাবে আল্লামা আনসারী এসব কথা বলেন।
৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শহরের পুরাতন পানবাজার সড়কে ঐতিহ্যবাহী এই তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা আনসারী বলেন, যার কাছে হেদায়েতের আলো নাই তার জীবন ষোলআানইি বৃথা। এই সমাজ ভাঙতে হবে, নতুন সমাজ গড়তে হবে। সমাজ বিনির্মাণের জন্য কোরআনের আদর্শের বিকল্প নেই। নবীর আদর্শভিত্তিক সমাজ গড়তে পারলেই মুসলিম জীবনের স্বার্থকতা।
তিনি বলেন, ধর্মের নামে একটা গোষ্টি মুসল্লিদের বিভক্ত করছে। নামাজে হাত ওঠানো নিয়ে বিতর্ক তৈরী করছে। এসব লোকদের বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত।
আনসারীর মতে, সংবিধান ছাড়া কোন কিছু চলেনা, চলতে পারেনা। মানবজাতির চলার জন্যও মহান আল্লাহ সংবিধান হিসাবে মহাগ্রন্থ আল-কোরআর অবতীর্ণ করেছেন। কোরআনের বিধিবিধান যারা মানবে, তারাই সফলকাম হবে। আর যারা মনগড়া পথে চলবে, তাদের দুনিয়া-আখেরাত দু’টোই বরবাদ।
ঐতিহ্যবাহী এই মাহফিলে বিশেষ বক্তা ছিলেন ঢাকা তা’মিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার ছাত্র হাফেজ মহিউল ইসলাম হাসিব আনসারী ও শহরের বড় বাজারজামে মসজিদের খতিব মাওলানা কামাল উদ্দিন।
অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ডা. মুহাম্মদ আমিনের সভাপতিত্বে ঐতিহ্যবাহী এই মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক পৌর কমিশনার আবু জাফর ছিদ্দিকী, কক্সবাজার ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম মুকুল, কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতির ফেডারেশন নেতা মাওলানা আব্দুল গফুর, জেলা বারের সদস্য এডভোকেট নেজামুল হক, দৈনিক ইনানীর মফস্বল সম্পাদক ইমাম খাইর, পৌর যুবদলের সভাপতি মসউদুর রহমান মাসুদ ও জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সরওয়ার রোমন।
উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক রাশেদ আবেদীন সবুজ, মাহমুদুল হক, অলি আহমদ জিয়া, রাশেদুল ইসলাম, নসরুল্লাহ খান, নাজিম উদ্দিন, আলহাজ্ব ফরিদুল আলম, মোবারেক হোসেন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব ডা. মুহাম্মদ আমিন বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটি প্রতিষ্ঠার ২০ বছরে প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমরা এলাকার অনেক অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধ করেছি। আস্তানা ভেঙে দিয়ে দাগী অপরাধীদের প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করেছি। মাদকদ্রব্য বিরোধী অভিযানসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মসুচি পালন করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে আমাদের কর্মতৎপরতায় এলাকার অপরাধকর্ম অনেকাংশে কমে এসেছে। আগামীতে আমরা আরো গুরুত্বপূর্ণ কর্মসুচি হাতে নিতে চাই।
ডা. আমিন বলেন, এলাকার শিক্ষা বিস্তারে উমিদিয়া জামেয়া ইসলামিয়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। গড়ে তুলছে নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ। প্রতিষ্ঠানটিকে আরো এগিয়ে নিতে সংগঠনের সংশ্লিষ্ট সকলেই ভূমিকা রাখছে। সংগঠনের গঠনমূলক কাজে আরো গতিশীলতা আনতে দলমত নির্বিশেষে তিনি সবমহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: