নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: ৭ ডিসেম্বর বুধবার কক্সবাজারে অনুষ্ঠিতব্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে আগেরদিন মঙ্গলবার থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছে। তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো শহর।
বুধবার এক দিনের সফরে কক্সবাজার আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সকালে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানী-পাটোয়ারটেক সৈকতে অনুষ্ঠিতব্য চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌশক্তি প্রদর্শন মহড়ার উদ্বোধন করবেন তিনি। পরে দুপুর আড়াইটায় সৈকতের লাবনী পয়েন্টের কাছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ শুনতে এক দিন আগেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কক্সবাজার শহরের জড়ো হতে শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা আসতে দেখা গেছে। তাদের মিছিল আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো কক্সবাজার শহর। এসব নেতাকর্মী কক্সবাজারের দূরের উপজেলাগুলো থেকে আসছেন।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী ডলফিন মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, বাস নিয়ে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে নেতাকর্মীরা শহরে আসছেন। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। তাদের খাবার, গেন্জি, ক্যাপ সরবরাহ করছে একদল কর্মী।
এসময় কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, আমার উপজেলা কক্সবাজার শহর থেকে দূরে হাওয়ায় এক দিন আগে নেতাকর্মীদের নিয়ে চলে আসছি। তাদের জন্য থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য অনেক কিছু দিয়েছেন। আমরা তো সামান্য করছি।
খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর হক বলেন, পুরো জেলায় গাড়ির সংকট তৈরি হয়েছে। তাই নেতাকর্মীদের নিয়ে আগে ভাগেই চলে আসলাম।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ও জনসভাকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে প্রশাসন। জনসভাস্থলে ৫ স্তরের এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, শুধু জনসভাস্থল শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নয়, এর আশপাশের পুরো কক্সবাজার শহরে জনসমাগম হবে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের জমায়েত হতে পারে। প্রাথমিকভাবে স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে তিন লাখের বেশি মানুষ অবস্থান করতে পারবে। এছাড়াও সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, বাহারছড়ার মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, হলিডের মোড়, শহীদ স্মরণী এলাকা, কলাতলীর হোটেল মোটেল জোন হয়ে কলাতলীর ডলফিন মোড় পর্যন্ত মানুষ জমায়েত হবে। জনসভার ভাষণ প্রচারের জন্য পুরো এলাকাজুড়ে দুই শতাধিক মাইক ব্যবহার করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: