ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেট ব্যাথায় রোগীকে অবস বানিয়ে ডাক্তার দিল ১২টি পরীক্ষা!

imagesবিশেষ প্রতিবেদক :::
কক্সবাজার শহরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে প্যাট ব্যথা নিয়ে চিকিৎসার জন্য গেলে রোগীকে শারীরিকভাবে অবস লিখে ১২টি পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে ডাক্তার। স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে। জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে বিভিন্ন সময়ের সরকার গুলি সাধারণ জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য ডাক্তারদের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন এবং নানান প্রদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে সত্যি হল তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
সামান্য পেট ব্যাথার চিকিৎসা নিতে গিয়ে একজন চিকিৎসকের এমন পরীক্ষার খবরে সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।
পাশাপাশি এটিকে ডাক্তারের কমিশন বাণিজ্য বলেও জানান রোগীর অভিভাবকরা। এখবরে তুলপাড় চলছে সবখানে।
১৪ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে পেট ব্যাথায় চিকিৎসা নিতে যান আব্দুল কাদের নামের এক ব্যক্তি।
তাকে চিকিৎসা করেন ডা. মো. খলিলুর রহমান।
চিকিৎসাপত্রে নির্দেশ দেন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে দ্রুত সময়েই পরীক্ষা করার জন্য।
চিকিৎসাপত্রে দেখা গেছে, সামান্য পেট ব্যাথার জন্য ১২ টি পরীক্ষার নির্দেশ দেন তিনি।
পরীক্ষাগুলো হলো- ইসিজি, আরবিএস, সিরামক্রিটিং, সিরাম এলেকট্রোলাইট, সিবিসি, ইউরিন আর.ই, লিপিড প্রোফাইল, ব্রেন সিটি স্ক্যান, এক্স রে (পিএ), আলট্রাসনোগ্রাফি, সিবিজি।
তাছাড়া রোগীকে পুরো অবস হয়েছে বলেও চিকিৎসাপত্রে লিখা হয়েছে বলে অভিযোগ রোগীর সাথে থাকা লোকদের।
রোগীর ছেলে আবছার জানান, পেট ব্যাথা হওয়ায় আব্বাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তার সাহেব অনেকগুলো পরীক্ষা দিয়েছেন দেখে আমরা ঘাবড়ে পড়ি।
সিদ্ধান্ত নিলাম, ওইসব পরীক্ষা না করার।
ঠিক দেখি, আধাঘন্টার মধ্যে পেট ব্যাথা ভাল হয়ে গেছে।
ভর্তি না করিয়ে আব্বাকে বাড়ীতে নিয়ে যাই। তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।
বিশেষজ্ঞ অনেক ডাক্তাররা জানিয়েছেন, পেট ব্যাথার জন্য যেসব পরীক্ষা দেয়া হয়েছে তা বড় রোগের ক্ষেত্রেও দেয়া হয়না। এতে রোগীদের আর্থিক হয়রানীর পাশাপাশি পেশারও সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মন্তব্য ডাক্তারদের।
এ প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সিরিয়াল না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

পাড়ায় মহল্লায় হাটে-বাজারে, গ্রামে-গঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে ক্লিনিক-প্যাথলজি সেন্টার। তারা নিয়োগ দিচ্ছে দালাল। কন্টাক করছে ডাক্তারদের সাথে। ৫০% থেকে ৬০% পর্যন্ত টেষ্টের বিল ডাক্তারদের ঘুষ দেবার পদ্ধতি চালু হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত্র দেশ বলেই হয়ত সরকারের নাকের ডগায় এসব চললেও সরকার বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে নিশ্চুপ!
ডাক্তারদের এই পরীক্ষা নিরীক্ষা বা টেষ্ট ব্যবসা এখন সয়াবিন তৈল বা ডাল চিনি সিন্ডিকেটের মতই নাগরিক জীবনে একটি নতুন সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।
সমাজে প্রভাবশালী এবং সবচেয়ে সম্মানিত শ্রেনীর মানুষ গুলোর অর্থ লিপ্সা কতটা নিচে নেমেছে তা বোঝা যায় এই পরীক্ষা বাণিজ্যর দ্বারা। মানবিকতার লেস মাত্র থাকলে হয়ত তারা অহেতুক টেষ্ট বানিজ্য হতে বেরুতে পারতেন।
কমিশন প্রথা না থাকলে হয়ত শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় টেস্টগুলো করার জন্যই ডাক্তাররা উপদেশ দিত বলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস। সেবা এখন হয়ে গেছে ব্যবসা, সাবান তেলের পাশাপাশি ক্লিনিক গুলোর ও বিজ্ঞাপন পত্রিকা-টিভি চ্যানেলে প্রচার হয়। ঝকঝকে তকতকে মার্বেল পাথরে সজ্জিত এসব ক্লিনিকে গেলে রোগী সুস্থ হোক বা না হোক তার পরিবার কে অর্থনৈতিক ভাবে অসুস্থ্য করে দেওয়া হয়।
এছাড়া ডাক্তারদের চেম্বারে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভিজিট নেবার পরও রোগীদের যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়না বলে অভিযোগ করেন অনেক রোগী। কিছু কিছু ব্যস্ত ডাক্তারগণ রোগীর সমস্যার কথা ভাল করে শোনার সময়ও পায়না।
ইদানীং পট কোম্পানি বলে কিছু ভূঁইফোড় কোম্পানি বেরিয়েছে। যারা ডাক্তারদের সাথে মাসোহারা চুক্তি করে মানহীন ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ট্যাবলেট লিখে থাকেন। এক পটের দাম দেড়শ থেকে তিনশত টাকা পর্যন্ত! এই মানহীন বেনামি কোম্পানির ঔষধ লিখে ডাক্তারগণ কিছু কামিয়ে নিলেও ভুক্তভোগি রোগী নিরবে প্রতারিত হয়। উচ্চ শিক্ষিত এই সব মানুষদের কাছে সমাজ যা কখনোই প্রত্যাশা করে না।

পাড়ায় মহল্লায় হাটে-বাজারে, গ্রামে-গঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে ক্লিনিক-প্যাথলজি সেন্টার। তারা নিয়োগ দিচ্ছে দালাল। কন্টাক করছে ডাক্তারদের সাথে। ৫০% থেকে ৬০% পর্যন্ত টেষ্টের বিল ডাক্তারদের ঘুষ দেবার পদ্ধতি চালু হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত্র দেশ বলেই হয়ত সরকারের নাকের ডগায় এসব চললেও সরকার বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে নিশ্চুপ!

ডাক্তারদের এই পরীক্ষা নিরীক্ষা বা টেষ্ট ব্যবসা এখন সয়াবিন তৈল বা ডাল চিনি সিন্ডিকেটের মতই নাগরিক জীবনে একটি নতুন সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।

সমাজে প্রভাবশালী এবং সবচেয়ে সম্মানিত শ্রেনীর মানুষ গুলোর অর্থ লিপ্সা কতটা নিচে নেমেছে তা বোঝা যায় এই পরীক্ষা বাণিজ্যর দ্বারা। মানবিকতার লেস মাত্র থাকলে হয়ত তারা অহেতুক টেষ্ট বানিজ্য হতে বেরুতে পারতেন।

কমিশন প্রথা না থাকলে হয়ত শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় টেস্টগুলো করার জন্যই ডাক্তাররা উপদেশ দিত বলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস। সেবা এখন হয়ে গেছে ব্যবসা, সাবান তেলের পাশাপাশি ক্লিনিক গুলোর ও বিজ্ঞাপন পত্রিকা-টিভি চ্যানেলে প্রচার হয়। ঝকঝকে তকতকে মার্বেল পাথরে সজ্জিত এসব ক্লিনিকে গেলে রোগী সুস্থ হোক বা না হোক তার পরিবার কে অর্থনৈতিক ভাবে অসুস্থ্য করে দেওয়া হয়।

এছাড়া ডাক্তারদের চেম্বারে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভিজিট নেবার পরও রোগীদের যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়না বলে অভিযোগ করেন অনেক রোগী। কিছু কিছু ব্যস্ত ডাক্তারগণ রোগীর সমস্যার কথা ভাল করে শোনার সময়ও পায়না।

ইদানীং পট কোম্পানি বলে কিছু ভূঁইফোড় কোম্পানি বেরিয়েছে। যারা ডাক্তারদের সাথে মাসোহারা চুক্তি করে মানহীন ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ট্যাবলেট লিখে থাকেন। এক পটের দাম দেড়শ থেকে তিনশত টাকা পর্যন্ত! এই মানহীন বেনামি কোম্পানির ঔষধ লিখে ডাক্তারগণ কিছু কামিয়ে নিলেও ভুক্তভোগি রোগী নিরবে প্রতারিত হয়। উচ্চ শিক্ষিত এই সব মানুষদের কাছে সমাজ যা কখনোই প্রত্যাশা করে না।

এছাড়াও নামী কোম্পানি গুলিও নানান অসাধু প্রতিযোগিতা করছে। তারা মেডিসিনের দাম বাড়াচ্ছে অযৌক্তিক হারে। সরকার নির্বিকার কেননা এইসব বড় কোম্পানিগুলিই রাজনৈতিক দলের ডোনার!

এছাড়াও প্রতি বছর বাজেটে স্বাস্থ্যসেবার জন্য যে বরাদ্দ সরকার রাখে, তার অর্ধেকও জনগণের কল্যাণে ব্যায় হয় না। সরকারী হাসপাতালের বেতন ভুক্ত ডাক্তারগণ নিয়মিত অফিসে আসেন না। আর সরকারী ঔষুধও ঠিক মত বন্টন করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারী হাসপাতাল গুলির নানা অনিয়ম ও নাজুক অবস্থা নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন পত্রিকা আর স্যাটেলাইট চ্যানেলে নিউজ হয়। কিন্তু তাতে বিশেষ কোন উন্নতি চোখে পড়েনি।

তবে এত কিছুর পরও সমাজে সব ডাক্তারই অর্থের পেছনে ছুটছে এটা বলা অন্যায়। অনেক ভাল মনের ডাক্তার রয়েছে যারা দুস্থদের বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। ফ্রি স্যাম্পল পাওয়া ঔষধ গরীব রোগীদের মাঝে বন্টন করে দেন। টাকা নয় তারা মানব সেবার মহান ব্রত নিয়ে কাজ করেন। যারা রোগীকে সুস্থ করে তোলার জন্য তাদের সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে থাকেন। আশা করছি প্রিয় ডাক্তারগণ তাদের মহৎ হৃদয় নিয়ে একটু ভেবে দেখবেন যে একজন রোগী যখন আপনাদের কাছে যায় তখন উপরে আল্লাহ আর নিচে আপনারাই তার সহায়, এই অবস্থায় অসহায় মানুষ গুলোর প্রতি দয়া করে সদয় হোন।

– See more at: http://blog.bdnews24.com/obidur/120092/comment-page-1#sthash.mPdyCuNs.dpuf

পাড়ায় মহল্লায় হাটে-বাজারে, গ্রামে-গঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে ক্লিনিক-প্যাথলজি সেন্টার। তারা নিয়োগ দিচ্ছে দালাল। কন্টাক করছে ডাক্তারদের সাথে। ৫০% থেকে ৬০% পর্যন্ত টেষ্টের বিল ডাক্তারদের ঘুষ দেবার পদ্ধতি চালু হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত্র দেশ বলেই হয়ত সরকারের নাকের ডগায় এসব চললেও সরকার বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে নিশ্চুপ!

ডাক্তারদের এই পরীক্ষা নিরীক্ষা বা টেষ্ট ব্যবসা এখন সয়াবিন তৈল বা ডাল চিনি সিন্ডিকেটের মতই নাগরিক জীবনে একটি নতুন সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।

সমাজে প্রভাবশালী এবং সবচেয়ে সম্মানিত শ্রেনীর মানুষ গুলোর অর্থ লিপ্সা কতটা নিচে নেমেছে তা বোঝা যায় এই পরীক্ষা বাণিজ্যর দ্বারা। মানবিকতার লেস মাত্র থাকলে হয়ত তারা অহেতুক টেষ্ট বানিজ্য হতে বেরুতে পারতেন।

কমিশন প্রথা না থাকলে হয়ত শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় টেস্টগুলো করার জন্যই ডাক্তাররা উপদেশ দিত বলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস। সেবা এখন হয়ে গেছে ব্যবসা, সাবান তেলের পাশাপাশি ক্লিনিক গুলোর ও বিজ্ঞাপন পত্রিকা-টিভি চ্যানেলে প্রচার হয়। ঝকঝকে তকতকে মার্বেল পাথরে সজ্জিত এসব ক্লিনিকে গেলে রোগী সুস্থ হোক বা না হোক তার পরিবার কে অর্থনৈতিক ভাবে অসুস্থ্য করে দেওয়া হয়।

এছাড়া ডাক্তারদের চেম্বারে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভিজিট নেবার পরও রোগীদের যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়না বলে অভিযোগ করেন অনেক রোগী। কিছু কিছু ব্যস্ত ডাক্তারগণ রোগীর সমস্যার কথা ভাল করে শোনার সময়ও পায়না।

ইদানীং পট কোম্পানি বলে কিছু ভূঁইফোড় কোম্পানি বেরিয়েছে। যারা ডাক্তারদের সাথে মাসোহারা চুক্তি করে মানহীন ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ট্যাবলেট লিখে থাকেন। এক পটের দাম দেড়শ থেকে তিনশত টাকা পর্যন্ত! এই মানহীন বেনামি কোম্পানির ঔষধ লিখে ডাক্তারগণ কিছু কামিয়ে নিলেও ভুক্তভোগি রোগী নিরবে প্রতারিত হয়। উচ্চ শিক্ষিত এই সব মানুষদের কাছে সমাজ যা কখনোই প্রত্যাশা করে না।

এছাড়াও নামী কোম্পানি গুলিও নানান অসাধু প্রতিযোগিতা করছে। তারা মেডিসিনের দাম বাড়াচ্ছে অযৌক্তিক হারে। সরকার নির্বিকার কেননা এইসব বড় কোম্পানিগুলিই রাজনৈতিক দলের ডোনার!

এছাড়াও প্রতি বছর বাজেটে স্বাস্থ্যসেবার জন্য যে বরাদ্দ সরকার রাখে, তার অর্ধেকও জনগণের কল্যাণে ব্যায় হয় না। সরকারী হাসপাতালের বেতন ভুক্ত ডাক্তারগণ নিয়মিত অফিসে আসেন না। আর সরকারী ঔষুধও ঠিক মত বন্টন করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারী হাসপাতাল গুলির নানা অনিয়ম ও নাজুক অবস্থা নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন পত্রিকা আর স্যাটেলাইট চ্যানেলে নিউজ হয়। কিন্তু তাতে বিশেষ কোন উন্নতি চোখে পড়েনি।

তবে এত কিছুর পরও সমাজে সব ডাক্তারই অর্থের পেছনে ছুটছে এটা বলা অন্যায়। অনেক ভাল মনের ডাক্তার রয়েছে যারা দুস্থদের বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। ফ্রি স্যাম্পল পাওয়া ঔষধ গরীব রোগীদের মাঝে বন্টন করে দেন। টাকা নয় তারা মানব সেবার মহান ব্রত নিয়ে কাজ করেন। যারা রোগীকে সুস্থ করে তোলার জন্য তাদের সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে থাকেন। আশা করছি প্রিয় ডাক্তারগণ তাদের মহৎ হৃদয় নিয়ে একটু ভেবে দেখবেন যে একজন রোগী যখন আপনাদের কাছে যায় তখন উপরে আল্লাহ আর নিচে আপনারাই তার সহায়, এই অবস্থায় অসহায় মানুষ গুলোর প্রতি দয়া করে সদয় হোন।

– See more at: http://blog.bdnews24.com/obidur/120092/comment-page-1#sthash.mPdyCuNs.dpuf

পাড়ায় মহল্লায় হাটে-বাজারে, গ্রামে-গঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠছে ক্লিনিক-প্যাথলজি সেন্টার। তারা নিয়োগ দিচ্ছে দালাল। কন্টাক করছে ডাক্তারদের সাথে। ৫০% থেকে ৬০% পর্যন্ত টেষ্টের বিল ডাক্তারদের ঘুষ দেবার পদ্ধতি চালু হয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত্র দেশ বলেই হয়ত সরকারের নাকের ডগায় এসব চললেও সরকার বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে নিশ্চুপ!

ডাক্তারদের এই পরীক্ষা নিরীক্ষা বা টেষ্ট ব্যবসা এখন সয়াবিন তৈল বা ডাল চিনি সিন্ডিকেটের মতই নাগরিক জীবনে একটি নতুন সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে।

সমাজে প্রভাবশালী এবং সবচেয়ে সম্মানিত শ্রেনীর মানুষ গুলোর অর্থ লিপ্সা কতটা নিচে নেমেছে তা বোঝা যায় এই পরীক্ষা বাণিজ্যর দ্বারা। মানবিকতার লেস মাত্র থাকলে হয়ত তারা অহেতুক টেষ্ট বানিজ্য হতে বেরুতে পারতেন।

কমিশন প্রথা না থাকলে হয়ত শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় টেস্টগুলো করার জন্যই ডাক্তাররা উপদেশ দিত বলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস। সেবা এখন হয়ে গেছে ব্যবসা, সাবান তেলের পাশাপাশি ক্লিনিক গুলোর ও বিজ্ঞাপন পত্রিকা-টিভি চ্যানেলে প্রচার হয়। ঝকঝকে তকতকে মার্বেল পাথরে সজ্জিত এসব ক্লিনিকে গেলে রোগী সুস্থ হোক বা না হোক তার পরিবার কে অর্থনৈতিক ভাবে অসুস্থ্য করে দেওয়া হয়।

এছাড়া ডাক্তারদের চেম্বারে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভিজিট নেবার পরও রোগীদের যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়না বলে অভিযোগ করেন অনেক রোগী। কিছু কিছু ব্যস্ত ডাক্তারগণ রোগীর সমস্যার কথা ভাল করে শোনার সময়ও পায়না।

ইদানীং পট কোম্পানি বলে কিছু ভূঁইফোড় কোম্পানি বেরিয়েছে। যারা ডাক্তারদের সাথে মাসোহারা চুক্তি করে মানহীন ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ট্যাবলেট লিখে থাকেন। এক পটের দাম দেড়শ থেকে তিনশত টাকা পর্যন্ত! এই মানহীন বেনামি কোম্পানির ঔষধ লিখে ডাক্তারগণ কিছু কামিয়ে নিলেও ভুক্তভোগি রোগী নিরবে প্রতারিত হয়। উচ্চ শিক্ষিত এই সব মানুষদের কাছে সমাজ যা কখনোই প্রত্যাশা করে না।

এছাড়াও নামী কোম্পানি গুলিও নানান অসাধু প্রতিযোগিতা করছে। তারা মেডিসিনের দাম বাড়াচ্ছে অযৌক্তিক হারে। সরকার নির্বিকার কেননা এইসব বড় কোম্পানিগুলিই রাজনৈতিক দলের ডোনার!

এছাড়াও প্রতি বছর বাজেটে স্বাস্থ্যসেবার জন্য যে বরাদ্দ সরকার রাখে, তার অর্ধেকও জনগণের কল্যাণে ব্যায় হয় না। সরকারী হাসপাতালের বেতন ভুক্ত ডাক্তারগণ নিয়মিত অফিসে আসেন না। আর সরকারী ঔষুধও ঠিক মত বন্টন করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারী হাসপাতাল গুলির নানা অনিয়ম ও নাজুক অবস্থা নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন পত্রিকা আর স্যাটেলাইট চ্যানেলে নিউজ হয়। কিন্তু তাতে বিশেষ কোন উন্নতি চোখে পড়েনি।

তবে এত কিছুর পরও সমাজে সব ডাক্তারই অর্থের পেছনে ছুটছে এটা বলা অন্যায়। অনেক ভাল মনের ডাক্তার রয়েছে যারা দুস্থদের বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। ফ্রি স্যাম্পল পাওয়া ঔষধ গরীব রোগীদের মাঝে বন্টন করে দেন। টাকা নয় তারা মানব সেবার মহান ব্রত নিয়ে কাজ করেন। যারা রোগীকে সুস্থ করে তোলার জন্য তাদের সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে থাকেন। আশা করছি প্রিয় ডাক্তারগণ তাদের মহৎ হৃদয় নিয়ে একটু ভেবে দেখবেন যে একজন রোগী যখন আপনাদের কাছে যায় তখন উপরে আল্লাহ আর নিচে আপনারাই তার সহায়, এই অবস্থায় অসহায় মানুষ গুলোর প্রতি দয়া করে সদয় হোন।

– See more at: http://blog.bdnews24.com/obidur/120092/comment-page-1#sthash.mPdyCuNs.dpuf

পাঠকের মতামত: