ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

দু'পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের আশঙ্কা

পেকুয়া চৌমুহনীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার চৌমুহনীর অদুরে এবিসি সড়ক লাগোয়া পুর্বপাশে যৌথ মালিকানায় মোহাম্মদ হোসেন নামের একব্যক্তি ১০ শতক জমি কিনে এখন জবরদখলে নিয়েছে অপরাপর অংশিদারদের ১৬ শতক জমি। বিষয়টি নিয়ে অংশিদাররা চকরিয়াস্থ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলাও ( অপর মামলা নং ২৬৫/১৮) দায়ের করেছেন। শুনানীতে আদালতের বিচারক উল্লেখিত বিরোধীয় জমি নিয়ে বিবাদিপক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাজার জন্য নির্দেশ দিলেও অভিযুক্ত মোহাম্মদ হোসেন তা অমান্য করে চলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমনকি আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে অভিযুক্ত মোহাম্মদ হোসেন ইতোপূর্বে ৫ শতক জমিতে তার বোন মমতাজ বেগমকে ঘর তৈরি করে দিয়েছে। যৌথ অংশিদারিত্বে তার অবশিষ্ট ৫ শতক জমি থাকলেও তিনি ইতোমধ্যে জবরদখলে নিয়েছে ১৬ শতক বা ৪৮ কড়া জমি।

জমির অংশিদার মালিক মোহাম্মদ আবদুর রহিম ও মোহাম্মদ ইসমাইল গতকাল বিকেলে চকরিয়া প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে তাদের কেনা জমি জবরদখলে জড়িত মোহাম্মদ হোসেন এর নানামুখী অত্যাচার নির্যাতন ও লাঠিয়াল বাহিনীর দাপটে জিন্মিদশায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে তুলেছেন।

অভিযোগে জমি মালিক আবদুর রহিম ও মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ১৯৯১ সালের ১৪ আগস্ট ২৬৮৩ দলিল মুলে আগের জমি মালিক এডভোকেট নুরুল হুদা থেকে মোট চারজন (মোহাম্মদ আবদুর রহিম, মোহাম্মদ ইসমাইল, কামাল হোসেন ও বিবাদী মোহাম্মদ হোসেন) মিলে পেকুয়া মৌজার বিএস ৮৭৫ খতিয়ানের ১৭৪৫ ও ১৭৮০ দাগের মোট ৪০ শতক জমি কেনা হয়। তৎমধ্যে ১৭৪৫ দাগে ২০ শতক ও ১৭৮০ দাগে ২০ শতক। দুই দাগের জমি থেকে অংশিদার মালিক হিসেবে মোহাম্মদ হোসেন ১০ শতক জমির মালিক।
জমি মালিক আবদুর রহিম ও মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, বিবাদী মোহাম্মদ হোসেন দুইদাগে প্রাপ্ত ১০ শতক জমি থেকে তার বোন মমতাজ বেগমকে মৌখিক এওযাজমুলে ১৭৪৫ দাগের ৫ শতক জমিতে ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। তাতে করে মোহাম্মদ হোসেনের নামে আর ৫ শতক জমি থাকে ১৭৮০ দাগে।

অংশিদার জমি মালিক আবদুর রহিম ও মোহাম্মদ ইসমাইল অভিযোগ করে বলেন, মোহাম্মদ হোসেনের নামে ১৭৮০ দাগে অবশিষ্ঠ ৫ শতক জমির বৈধ মালিকানা থাকলেও তিনি কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে আমরা তিনজন আবদুর রহিম, ইসমাইল ও কামাল হোসেনের নামে চিহ্নিত দাগ ১৭৭৯ ও ১৭৮০ দাগ থেকে পরবর্তী ১৯৯২ সালে দুই দলিলে কেনা ৮০ শতক জমিতে এসে জবরদখল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে করোনাকালীন সময়ে আইন আদালত বন্ধ থাকার সুযোগে পেশিশক্তির দাপট দেখিয়ে ভাড়াটে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে ৫ শতক জমির স্থলে ১৬ শতক বা ৪৮ কড়া জমি দখলে নিয়ে সেখানে অবৈধ বাড়িও নির্মাণ করেছে অভিযুক্ত বিবাদী মোহাম্মদ হোসেন।

অংশিদার জমি মালিক আবদুর রহিম ও মোহাম্মদ ইসমাইল সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে আমাদের কেনা জমি জবরদখলের পর সম্প্রতি সময়ে আবারও সেখানে অবৈধ বাড়িঘর নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জমির আশপাশে অস্ত্রধারী লাঠিযাল বাহিনী পাহারায় থাকায এই অবস্থায জমি মালিকরা দখল চেষ্টায় বাঁধা দিতে সাহস পাচ্ছে না। এব্যাপারে ভুক্তভোগী জমি মালিকরা তাদের জমি উদ্ধারে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ও প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অপরদিকে এ ঘটনায় এলাকাবাসী জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংর্ঘের আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

 

পাঠকের মতামত: