মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজে নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই ‘রাতারাতি’ অফিস সহকারী পদে এক যুবককে প্রাতিষ্টানিক বেতনে নিয়োগ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ! পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষাবিহীন অবৈধভাবে নিয়োগের ঘটনায় পুরো পেকুয়াজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে ওই অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিও উঠেছে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি স্থায়ী নিয়োগ নয়, কলেজের অফিস সহকারী অবসরে যাওয়ায় কলেজের সুবিধার্তে কমিটি রেজুলেশন করে প্রাতিষ্টানিক বেতনে ওই যুবককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, সম্প্রতি সময়ে পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের অফিস সহকারী মো: হোছাইন অবসরে যান। এরপর ওই পদ শুন্য হয়। নিয়মানুযায়ী শুন্য পদে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে লোক নিয়োগের বাধ্যবাদকতা রয়েছে। কিন্তু পেকুয়ার ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেরা রেজুলেশন করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই শহিদুল ইসলাম নামের এক যুবককে ‘রাতারাতি’ নিয়োগ দিয়েছে। শহিদুল ইসলাম পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের সবজীবন পাড়া গ্রামের মৃত মোক্তার আহমদের পুত্র।
কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৬ মার্চ কলেজ কর্তৃপক্ষ রেজুলেশনের মাধ্যমে শহিদুল ইসলামকে প্রাতিষ্টানিক বেতনে মাষ্টাররোলে নিয়োগ দিয়েছে। ১ এপ্রিল শহিদুল কলেজে যোগদান করেন। প্রতিমাসের শেষে কলেজ ফান্ড থেকে বেতন দেওয়া হচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে তড়িগিড়ি করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এ ধরনের নিয়োগ কেন দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব কলেজ সভাপতি ভাল বলতে পারবে। এসময় তিনি কলেজ সভাপতির সাথে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন।
কলেজ গভার্নিং বডির সভাপতি ছফওয়ানুল করিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শহিদুল ইসলামকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রাতিষ্টানিক বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কলেজ কমিটি পরে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিবে। নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে ওই পদে লোক নিয়োগ করা হবে। নিয়োগ পরীক্ষায় শহিদুল ইসলাম ভাল করলে নিয়োগ পাবে।
পাঠকের মতামত: