নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া:
পেকুয়ায় সংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন চলছে জনতা বাজার খাল। কর্মসৃজন কর্মসুচীর আওতায় শিলখালী ইউনিয়নের জনতা বাজার খাল সংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রবাহমান এ খালটি সরু হয়ে গিয়েছিল। খালের দু’পাশ ঝুপ জঙ্গলে পানি চলাচল থেমে যায়। মাতামুহুরী নদীর প্রশাখা জনতা বাজারের এ খালটি। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে খর¯্রােতা এ খাল মরা ছড়ায় পতিত হয়। এতে করে পানি চলাচল ও নদীর ¯্রােতধারা বিপন্ন হয়। প্রভাবশালী কিছু ভূমিগ্রাসী চক্র খালের দুপাড় দখলে নেয়। জেগে উঠা চর বসতবাড়িসহ ক্ষেত সবজির মাঠ হয়। সেখানে শত শত গাছ বৃক্ষরাজি সৃজিত হয়। বাঁশ বাগান ও নানান গাছ গাছালি রোপন করে খালের পাড়ে। এতে খালের প্রশস্ত সংকীর্ণ হয়ে যায়। জনতা বাজার খালের দৈর্ঘ্য অংশ অনেক দুর। মাতামুহুরী নদী চকরিয়া বরইতলীর গোবিন্দপুর পয়েন্ট দিয়ে পেকুয়ার দিকে বেয়ে যায়। সাকুরপাড় ষ্টেশন দক্ষিন দিক থেকে এসে বানিয়ারছড়া মগনামা সড়কের সালাহ উদ্দিনের ব্রীজের উত্তরদিকে শিলখালীর দিকে প্রবাহমান। সদর ইউনিয়নের আলেকদিয়া কাটা ও শিলখালী ইউনিয়নের হাজিরঘোনা হয়ে আলীচান্দ মাতবরপাড়ার দক্ষিন দিকে সোজা পশ্চিমে চলে যায়। জনতা বাজারের দক্ষিন দিক লাগোয়া এ খাল শিলখালীর পিন্ডার ব্রীজ পর্যন্ত যায়। সেখান থেকে বেয়ে বারবাকিয়া ইউনিয়নে ভোলা নদীর সাথে মিলিত হয়। জনতা বাজার খাল শিলখালী ইউনিয়নের পানি চলাচলের অন্যতম মাধ্যম। শুষ্ক মৌসুমে এ খালে পানি থেকে বিপুল অঞ্চলে শাক সবজি ও ফসল উৎপাদন হয়। বর্তমানে এ খাল বিলুপ্তি প্রায়। জোয়ার ভাটা হয় এ খালে। দু’পাড় ভরাট হয়ে যায়। এ সময় পানি চলাচল ও খালের গতিধারা থেমে যায়। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, শিলখালী ইউনিয়নের জনতা বাজার খাল সংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন চলছে। কর্মসৃজন কর্মসুচীর আওতায় শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদ এ খাল সংষ্কার কাজের উদ্যোগ নেয়। ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মসুচীর আওতায় এ খাল সংষ্কার চলছে। স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। ৩৫ জন শ্রমিক খাল সংষ্কারে জড়িত। তারা জনতা বাজারের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে পিন্ডার পাড়া ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন করছে। দু’পাশে ভরাট অংশ চলছে খনন। পানির ¯্রােতধারা সক্রিয় রাখতে শ্রমিকরা মাটি খনন কাজ করছে এ খালে। তবে রুবেল নামক একজন স্কীম চালক ভরাট অংশ খনন কাজে বাঁধা তৈরী করছে বলে শ্রমিকরা জানায়। কর্মসৃজন কর্মসুচীর আওতায় সাপের গারা সড়ক সংষ্কার চাঁদ মিয়াপাড়া রাস্তা সংষ্কার রাজার খোলা জারুলবুনিয়া সড়ক সংষ্কার । টুইন্নামোড়া ও মোবারেকা এভিনিউ সড়কের সাইট ভরাট কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। সাপের গারা নাপিতার পুল খাল সংষ্কার হয়েছে। ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন জানায়, খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির প্রচন্ড ¯্রােত বাঁধে আঘাত করে। বর্ষার সময় পানির প্রবাহ থেমে যায়। এ সময় ঢলের পানি উপচিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ অতিক্রম করে। বিল ও লোকালয় প্লাবিত হয়। ফসল ও বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। রাস্তাঘাট গ্রামীন অবকাঠামো বিনষ্ট হয়। এটি লাঘব হবে এ সংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন এর ফলে। চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন জানায়, গতি সচল রাখতে খাল ও ছড়া সংষ্কার অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। এ খালটি সংষ্কার হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পেকুয়া সুভ্রাত দাশ জানায়, প্রতিদিন কাজের মনিটরিং চলছে। জনতা বাজার খাল সংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে।
##############
পেকুয়ায় শিলখালীতে ক্যাবিনেট নির্বাচনে ভোট গ্রহন
নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া:
পেকুয়ায় ক্যাবিনেট নির্বাচনে শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হয়। ম্যানেজিং কমিটি ২০১৮ এর নির্বাচনে অভিভাবকগন সরাসরি ব্যালেট প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। ২২ মে সকাল ১০টায় ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলছিল। অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ৫ টি পদে ১৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়। ৪ টি সাধারন পদে ১১ জন পুরুষ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে। অপরদিকে সংরক্ষিত মহিলা ক্যাটাগরীতে ২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়। প্রায় ১৩২৭ জন ভোটার ছিল। ৭৬৭ জন ভোটার ওই দিন নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। ভোট গননায় বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করে। সর্বাধিক ভোট পেয়ে ১ম হয়েছেন দেলোয়ার হোছাইন তার প্রাপ্ত ভোট-৩৬৬। অপর বিজয়ীরা হলেন জামাল হোসেন, প্রাপ্ত ভোট-৩১০, খানে আলম প্রাপ্ত ভোট ২৬৬, আবুল কালাম মেম্বার প্রাপ্ত ভোট ২৬০। সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক ক্যাটাগরীতে নির্বাচিত হয়েছেন তসলিমা বেগম প্রাপ্ত ভোট ৪৪২। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছিলেন আয়েশা বেগম পেয়েছেন ২৭৬। ভোট গ্রহনে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে স্কুল কতৃপক্ষ। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন পেকুয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সালামত উল্লাহ। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব উল করিম নির্বাচন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পাঠকের মতামত: