ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় লবণ মাঠে দুবৃর্ত্তদের তান্ডব, উত্তেজনা

পেকুয়া অফিস:

পেকুয়ায় ২ একর ৪০ শতক লবণ চাষের জমিতে তান্ডব চালিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। এ সময় লবণ উৎপাদনে মাঠে বিছানো পলিথিন বিনষ্ট করা হয়। মাঠে অনুপ্রবেশ করে ওই দুবৃর্ত্তরা। ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। চাষীরা এগিয়ে আসলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লবণ চাষীদের তাড়িয়ে দেয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। লবণ চাষীরা জড়ো হয়। এ সময় বহিরাগত ভাড়াটে লোকজন দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করে। রবিবার ১ এপ্রিল সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ধারিয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মারামারি ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই দিন সকালে লবণ চাষী হুমায়ুন, আলাউদ্দিন ধারিয়াখালীতে মাঠে কাজ করছিলেন। এ সময় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী এলাকার তকরিছ, আবিদ, আজিজ, হারুনুর রশিদ, সোহেলসহ ১০/১২ জনের লোকজন এদের জমিতে হানা দেয়। এ সময় উত্তেজিত লোকজন জমিতে বিছানো লবণ উৎপাদনের পলিথিন বিনষ্ট করে। মাঠে পলিথিনে লবণের স্তুপ ছিল। এ সব লবণ ও পলিথিন বিনষ্ট করা হয়। এক পর্যায়ে মাঠ গর্ত করে দেয়। চাষীরা জানায়, তকরিছ,আবিদসহ দুবৃর্ত্তরা কয়েকদিন আগে থেকে চাষীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করছিল। এ নিয়ে তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। হাকাবকা ও গালিগালাজ হয়েছে। ওই দিন তারা অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে আমাদের জমিতে আক্রমন করে। তারা অস্ত্র উচিয়ে ভীতি ছড়ায়। এ সময় তারা এ তান্ডব চালায়। ভয়ে আমরা পালিয়ে যায়। এ সময় মাঠে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত করে। বাইন্নাঘোনা এলাকার এজাহারুল ইসলাম, বদিউল আলম, নুরুল আলম, নুরুল ইসলাম, নুরুল আবছার জানায়, এ জমি আমাদের ক্রয় সুত্র সম্পত্তি। মাতবরবাড়ীর নুরুল হায়দার চৌধুরী গং জমি বিক্রি করে। দালিলিক মালিক হিসেবে আমরা জমির জমাভাগ খতিয়ানসহ যাবতীয় কাগজপত্র আমাদের সংরক্ষনে। নুরুল আজিমকে এ জমি চলতি মৌসুমে লাগিয়ত করি। তিনি লবণ চাষ করছিলেন। নুরুল আজিম জানায়, আমার বাবাও জমির মালিক। সব মালিকের জমি আমি আগাম নিয়েছি। চাষা দিয়েছি জমিতে। লবণ উৎপাদন করতে চাষীরা কাজ করছিল। তারা বহিরাগত। ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়েছে। মাঠের যে ভাবে ক্ষতি হয়েছে এ ভাবে অনেকদিন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হবে।

#############

পেকুয়ায় নিখোঁজ জেলের সন্ধান মিলল মায়ানমারে

পেকুয়া অফিস:

পেকুয়ায় নিখোঁজ জেলে বাহাদুর(২০) এর সন্ধান মিলল প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে। মাছ ধরতে গভীর সাগরে পাড়ি দেয় বাহাদুর। এ সময় গভীর সাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রাণহানি হয়েছে অনেক জেলের। নিখোজ ছিল ট্রলারের মাঝিমাল্লা। নিখোঁজ জেলেদের একজন পেকুয়ার এ বাহাদুর। তিনি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোয়াখালী এলাকার আক্তারের ছেলে। অবশেষে জেলে বাহাদুরের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার পরিবার ও এলাকাবাসীরা নিশ্চিত করেছেন ফিশিং ট্রলার ডুবির এ ঘটনায় জেলে বাহাদুর জীবিত আছেন। পানিতে ভেসে বাহাদুর মায়ানমারের তীরে উঠেন। এ সময় সে দেশের প্রশাসন তাকে আটক করে। অনুপ্রবেশকারী হিসেবে তাকে মায়ানমারের জেলে আটক করা হয়। সুত্র জানায়, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাহাদুর নিখোঁজ ছিলেন। ওই বছরের ১৫ নভেম্বর বাড়ি থেকে সাগরে পাড়ি দেয় বাহাদুর। সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ফিশিং ট্রলার ডুবির কবলে পড়ে তারা। ওই সময় থেকে প্রায় ৩ বছর নিখোঁজ ছিল বাহাদুর। পরিবারে শোকের মাতম চলছিল। ধরে নেওয়া হয়েছিল নিশ্চিত প্রাণহানি হয়েছে বাহাদুরের। তবে আকস্মিক গত ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই বাড়িতে ফিরেন বাহাদুর। এ সময় বাড়িতে এক অদ্ভুদ পরিস্থিতি দেখা দেয়। তাকে দেখতে মানুষ জড়ো হয় বাড়িতে। জেলে বাহাদুর জানিয়েছিলেন ট্রলার ডুবির বীভৎস কাহিনী। সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গমালার সাথে যুদ্ধ করে তিনি মায়ানমারের তীরে ভেসে যান। এ সময় সে দেশের প্রশাসন তাকে জেলে আটকিয়ে রাখে। সুত্র জানায়, বাহাদুর গত কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়। জামিন নিতে গিয়েছিলেন আদালতে। জামিন না মঞ্জুর হওয়ায় তাকে জেলে পাঠানো হয়। অভিযোগ উঠে, তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ অবস্থায় এ মামলাটি হয়েছে। এ মামলায় তাকে জেলে যেতে হল। সমুদ্রের সাথে যুদ্ধ করে বাঁচলেও চক্রান্তের ফাঁদে ফাঁসানো হল দরিদ্র এ জেলে বাহাদুরকে। তিনি কারাবরন করছেন। আবারও শংকায় পড়তে হয়েছে তার পরিবারকে।

##################

পেকুয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী সাজেদা হত্যা মামলা সিআইডিতে

পেকুয়া অফিস:

পেকুয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী সাজেদা বেগম হত্যা মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। মামলার অগ্রবতি ও অধিকতর তদন্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখা সিআইডিতে ন্যস্ত করে আদালত। সিআইডি কক্সবাজার আদালতে মামলার চার্জসীট পৌছায়। প্রেরিত চার্জ ঘটনে এজাহারনামীয় আসামীদের সম্পৃক্ত করে। জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই সকালে পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নে হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়। বসতবাড়ির বিরোধ চলছিল দু’পক্ষের মধ্যে। ওই দিন সকালে ভেলুয়ারপাড়ায় নুরুল আবছার ও তার স্ত্রী সাজেদা বেগম বসতভিটায় টেংরাসহ ঘেরা বেড়া দিচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী মৃত দোলা মিয়ার পুত্র বেলাল উদ্দিন, মৃত আবু তালেবের পুত্র সাহাব উদ্দিন গং বাধা দিচ্ছিলেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে বেলাল উদ্দিন গং ধারালো অস্ত্র স্বস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এ সময় নুরুল আবছারের স্ত্রী সাজেদা বেগম মারাত্মক জখম হয়। তাকে স্থানীয়রা মুমুর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি ঘটে। চমেক হাসপাতালে রেফার করে। চট্রগ্রাম যাওয়ার পথে সড়কে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় পেকুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়। এ সময় পুলিশ দুই মহিলাকে আটক করছিল। মামলায় প্রধান আসামীসহ অনেকে জেলে যায়। জামিন নিয়ে বের হয়েছিলেন আসামীরা। এরপর বাদীপক্ষকে মামলা থেকে নিরুৎসাহিত হতে অনেক হুমকি ধমকি দেয়া হয়। সুত্র জানায়, ভেলুয়ারপাড়ায় ৩৬ শতক জায়গায় বসতবাড়ি তৈরী করে নুরুল আবছার বসবাস করছিলেন। ছাবের গং ওই জায়গায় দৃষ্টি দেয়। এ সময় জবর দখলে নিতে নুরুল আবছার ও তার স্ত্রীকে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নুরুল আবছারের স্ত্রী সাজেদা বেগম নিহত হয়। জায়গাটি বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা এলাকার করিমদাদের মালিকানাধীন। নুরুল আবছার করিমদাদের কর্মচারী ছিলেন। বেতনের টাকা কর্তন দিয়ে এ জায়গার দখল ক্রয় করছিলেন। হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিল। এরপর জায়গাটির বসতবাড়ি উচ্ছেদ হয়। ফাঁকা বসতভিটা স্থিত তবে দখল নুরুল আবছারের অনুকুলে। স্ত্রী হত্যার পর নুরুল আবছার ওমানে চলে যায়। তার ছেলে দেলোয়ার ওই জায়গা মালিক করিমদাদের কাছ থেকে ক্রয় করে। মায়ের হত্যার বদলা ও প্রতিশোধ হিসেবে বসতবাড়ির অস্তিত্ব রক্ষায় তার অনুভূতি ও দৃষ্টি ছিল। এর দৃষ্টিকোণ থেকে এ জায়গা সর্বোচ্চ মুল্যে রেজিষ্ট্রি নেয় নিহত সাজেদার ছেলে দেলোয়ার। জানা গেছে, দেলোয়ারও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে অবস্থান করছেন। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, বসতভিটা ফাঁকা। নেই কোন বসতি। আগে বড় বড় গাছ গাছালি ছিল। সেসব কেটে সাবাড় হয়েছে। গাছের মুল আছে। মাটির দেয়ালের বসতবাড়ি ছিল। উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় দেয়াল অর্ধাংশ আছে। দক্ষিন দিকে যাদুখালী ছড়া, উত্তরে ভেলুয়ারপাড়া বটতলী সড়ক। পশ্চিমে নুরুল হকের বাড়ি ও পূর্বে ছকির আলমের বসতবাড়ি। এর মাঝখানে সাজেদার এ বাড়ি। তার খুনের চিহ্ন বহন করছে বসতবাড়ির এ দৃশ্য।

পাঠকের মতামত: