ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় লবণ পানি ব্যবহার করে সরকারী বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলছে!

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া
Eit
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় এবার লবণ পানি ব্যবহার করে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ চালাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার! ওই বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণ কাজের শুরুতেই পাইলিংয়ের কাজে দেদারসে লবণ পানি ব্যবহার করা হয়েছে। পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছিরাদিয়া গ্রামের সরকারের ‘বিদ্যালয় বিহীন গ্রামে ১৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ শীর্ষক’ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ কাজ চলা ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাইলিংয়ের কাজে সাগরের লোনা পানি ব্যবহার করা হয়েছে। আর লোনা পানি ব্যবহার করে বিদ্যালয় ভবনের পাইলিং দেওয়ায় ওই নির্মিতব্য ভবনের স্থায়িত্ব নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। জানা গেছে, সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণলায় অধীন ওই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মান কাজসহ সার্বিক বিষয়ে তদারক করছেন পেকুয়া এলজিইডি।

পেকুয়া এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ছিরাদিয়া গ্রামে চলমান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মানের জন্য কার্যাদেশ পান চকরিয়ার ঠিকাদার পারভেজের মালিকানাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। এ ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মালিক পারভেজই কাজটি বাস্তবায়নে নানান অনিয়ম ও দূর্ণীতির আশ্রয় নিয়েছেন।

গত এক মাস ধরে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পাইলিংয়ের কাজে দেদারসে লবণ পানি ব্যবহার করেছেন। পেকুয়া এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলীর সহায়তায় ওই ঠিকাদার পাইলিংয়ের কাজে লবণ পানি ব্যবহার করেছেন বলে স্থানীয় একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে।

১৯ ফেব্রেুয়ারী দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। উপরেই লোনা পানির বিশাল স্তুপ। পাইলিংয়ের সাথে লোনা পানি মিশে গেছে। আর এসব লবন পানির সাথে পাইলিংয়ে দেওয়া লোহার ঢালাই পিলারগুলো একাকার হয়ে গেছে। এসময় কোন শ্রমিক ও ঠিকাদার পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।

পাইলিংয়ের কাজে লবণ পানি ব্যবহারের প্রসঙ্গে জানতে পেকুয়া এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী বাবু হারু কুমার পালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজে লবণ পানি ব্যবহারের কোন ধরনের নিয়ম নাই। পেকুয়ার ছিরাদিয়া গ্রামের যেখানে বিদ্যালয় ভবনটি নির্মাণ হচ্ছে সেখানে চার পাশেই লবণ পানি রয়েছে। বিদ্যালয় পাইলিংয়ের জন্য খুড়া গর্তে লবণ পানি ঢুকেছে বিষয়টিও তিনি অবগত। লবণ পানি ব্যবহার কেন করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে লবণ পানি অপসারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উক্ত বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদার পারভেজের সাথে এ ব্যাপারে যোগযোগ করে বক্তব্য নেওয়ার জন্য বহুবার চেষ্টা কতরা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে এ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি খোঁজ খবর নিয়ে বিসয়টি দেখবেন।

পাঠকের মতামত: