ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় মাতৃত্বকালিন ভাতায় টাকা আদায় : ইউএনও কাছে দু’ ইউপি সদস্যের অভিযোগ

ovijogপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় শিলখালী ইউনিয়নে মাতৃত্বকালিন ভাতার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে তালিকা। উপজেলা শিলখালী ইউনিয়নে সরকার প্রদত্ত ওই ভাতা প্রদানের জন্য চলছে উপকারভোগি নির্ধারন তালিকা। এদিকে তালিকা প্রস্তুতির সময় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তালিকা প্রস্তুত চুড়ান্ত করে বাস্তবায়নের জন্য শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেরন করা হয়েছে। তবে প্রেরিত তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান তালিকা তৈরির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের তাগিদ দেয় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। মাতৃত্বকালিন ভাতার জন্য উপকারভোগি চুড়ান্তকরনের জন্য অবহিতকরনপত্র প্রেরন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়। এর প্রেক্ষিতে শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদে সকল সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন। বরাদ্দ দেয়া হয় উপকারভোগি। আশি জন উপকারভোগি নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের উপর দায়িত্বভার অর্পন করেন চেয়ারম্যান। অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন ও ইউপি সচিব আলামিন জনপ্রতিনিধিদের পাঠানো তালিকা উপেক্ষা করে তারা গোপনে অপর তালিকা প্রস্তুত করে জমা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এদিকে মাতৃত্বকালিন ভাতার তালিকা প্রস্তুতি নিয়ে শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব ও ইউপি সদস্যদের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বন্ধ দেখা দিয়েছে। চেয়ারম্যান ও সচিবের প্রেরিত তালিকার কার্যক্রম স্থগিত রাখতে ওই ইউনিয়ন পরিষদের দু’জন মেম্বার বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ২নং ওয়ার্ড়ের সদস্য লুৎফর রহমান ও ৬নং ওয়ার্ড়ের সদস্য আহমদ ছবি গতকাল বৃহষ্পতিবার এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ তারা বাদি হয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে ইউপির সচিব আলামিন তারা দু’জনের প্রেরিত তালিকা গোপন করেছেন। দালাল ও মধ্যস্বত্তভোগিদের সাথে হাত মিলিয়ে ইউপি সচিব টাকা নিয়ে প্রত্যেক ওয়ার্ড়ে ভাতার জন্য উপকারভোগি চুড়ান্ত করেছেন। কিছু কিছু ওয়ার্ড়ে অধিকহারে উপকারভোগি হয়েছে। অন্যদিকে ২ ও ৬নং ওয়ার্ড়ে কোন উপকারভোগিকে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। ২নং ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান জানায় সচিব একজন দুর্নীতিবাজ। আমরা সিদ্ধান্ত মতে কৌটা অনুযায়ী তালিকা করে যথা সময়ে জমা দিয়েছি। এখন দেখছি আমার দেয়া একটি নামও তালিকাভুক্ত হয়নি। সচিব জনপ্রতি ১হাজার টাকা আমার কাছ থেকে দাবি করে। আমি টাকা না দেয়ায় আমার তালিকা বাদ দেয়া হয়েছে। আমরা জনপ্রতিনিধি এলাকা ও জনগনের দায়বদ্ধতা আমাদের উপর বর্তায়। বঞ্চিত হয়েছে আমার পুরো ওয়ার্ড় সরকারের এ মৌলিক অধিকার থেকে। ৬নং ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য আহমদ ছবি জানায় যথা সময়ে তালিকা জমা দিয়েছি। আমার কৌটায় মাত্র ২জন পেয়েছি। অথচ কোন কোন ওয়ার্ড়ে কৌটার চেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে চেয়ারম্যান ও সচিবের অনুগতদের। টাকা নিয়েছেন চেয়ারম্যান ও সচিব মিলে। বাধ্য হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ইউপি সচিব মো.আলামিন জানায় দু’মেম্বার যথা সময়ে তালিকা তৈরি করে পরিষদে জমা দিতে পারেননি। তাই আমরা তালিকাগুলো এলাকার সার্থে চুড়ান্ত করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে জমা দিয়েছি। টাকার লেনদেন হয়নি। এ বরাদ্দে অপেক্ষমান তালিকায় বঞ্চিতদের অগ্রাধিকার পাওয়ার সুযোগ আছে।

###############

পেকুয়ায় মুক্তিযুদ্ধার জায়গায় সড়ক,মামলা

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় অবসর প্রাপ্ত এক শিক্ষকের জায়গার উপর নির্মিত হয়েছে সড়ক। ব্যক্তি মালিকানাধিন জায়গায় জোর পুর্বক চলাচল পথ তৈরি করায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বকশিয়াঘোনা এলাকায় রাস্তা নির্মিত হয়েছে। শিক্ষক প্রবীন আ’লীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধা মাষ্টার মোহাম্মদ হোছাইন বাদি হয়ে গতকাল বৃষ্পতিবার চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৩৩০/১৭। মামলায় রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড়ের সদস্য মো.ইসমাইলসহ ১৭জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন বকশিয়াঘোনা এলাকার শফি আলম, নওশা মিয়া, মনু, মনজুর আলম, আব্দু জাব্বার, আবুল কাসেম, রেজাউল করিম, খাইরুজ্জামান, ভেট্টু, খলিলুর রহমান, আব্দু রহিম, শাহাব উদ্দিন, আকতার হোসেন, জাফর আহমদ, শহিদুল ইসলাম ও কাইসার। আদালত এ বিষয়ে তদন্তভার ন্যস্ত করেছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরাবর। মামলা সুত্রে জানা গেছে গত ৮মার্চ সকালে আসামিরা স্বসস্ত্র অবস্থায় বেআইনি জনতা গঠন করে বাদির জায়গায় হানা দেয়। এ সময় গায়ের জোরে বাদির ১৪শতক জায়গা জবর-দখল করে চলাচল রাস্তা তৈরি করে। ইউপি সদস্য জনকল্যানকাজ বাদ দিয়ে কর্মসৃজনের শ্রমিক দিয়ে ওই রাস্তা তৈরি করতে সহায়তা করেন। খবর পেয়ে বাদির ছেলে মোশারফ হোসেন বকশিয়াঘোনা গিয়ে মাটি না কাটতে বিবাদিদের নিষেধ করেন। এ সময় তারা তাকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বক জখম করে। আহমদ হোসেন রাজাখালী ইউনিয়নের চড়িপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি উত্তর সুন্দরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি অবসর হয়েছেন। তিনি রাজাখালী ইউনিয়ন আ’লীগের আহবায়ক পদে ছিলেন। এর আগে ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক ও সাধারন সম্পাদক পদে ছিলেন। মাষ্টার মুহাম্মদ হোসাইন একজন মুক্তিযুদ্ধের প্রবীন সংগঠক। স্বাধীনতার সময় তিনি দেশের জন্য সংগ্রামে আতœনিয়োগ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধা বাছাই প্রক্রিয়া করনে তার আবেদন চুড়ান্ত করন করা হয়েছে। তিনি একজন মুক্তিযুদ্ধা। তিনি উত্তর সুন্দরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টা লগ্ন থেকে অবসর সময় পর্যন্ত শিক্ষাকতা করেছেন।

###############

ওয়ারেন্ট কাইছরের বিরুদ্ধে জেলে গেলে কাইছার মিয়া!

নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :::

পেকুয়ায় এক ফল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে সোর্পদ করে। প্রায় ১৭ঘন্টা থানা হাজতে আটকিয়ে হয়রানি করা হয় ফল ব্যবসায়ী এ যুবককে। একটি প্রতারনা মামলায় তার নাম ও ঠিকানা মিল রয়েছে। এ সুবাধে পেকুয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গত রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সদর ইউনিয়নের কলেজ গেইট চৌমুহনী চৌরাস্তা মোডে নিজ দোকান থেকে ফল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পেকুয়া থানার এএসআই জয়নাল আবেদীন। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম কাইছার মিয়া (৩১)। তিনি উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জালিয়াকাটা এলাকার জাফর আলমের ছেলে। জানা গেছে নামে মিল থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই এলাকার জাফর আহমদের ছেলে মো.কাইছারের বিরুদ্ধে টাকা আতœসাত মামলা রয়েছে। মো.কাইছার এডরুক লিমিটেড নামে একটি মেডিসিন কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কোম্পানি ঢাকা চীপ মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ২০১৬সালে একটি মামলা দায়ের করে। যার নং-৯৪৩/১৬। কোম্পানির জৈষ্ট্য কর্মকর্তা মো.শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে এ মামলটি দায়ের করেন। এ বিষয়ে ওই কোম্পানি তার অনুকুলে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করেন। পরে মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। মো.কাইছার মেডিসিন কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। তার পদবি হচ্ছে মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার (এমআইও)। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হচ্ছেন কাইছার মিয়া। মামলায় গ্রেফতারি ফরোয়ানা রয়েছে মো.কাইছারের বিরুদ্ধে। কাইছার মিয়া ও মো.কাইছার দু’জন পৃথক ব্যক্তি। পিতার নামের মধ্যেও একজন জাফর আলম। অপরজন জাফর আহমদ। তবে ঠিকানা হুবুহু এক। মেডিসিন কোম্পানির কাইছার একজন শিক্ষিত যুবক। তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দিয়ে কোম্পানির চাকুরিতে যোগদান করেছেন। কাইছার মিয়া একজন স্বল্প শিক্ষিত যুবক। তিনি ফল ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেকদিন ধরে। তার দোকান থানা থেকে মাত্র দু’গজ দুরে চৌমুহনীতে। পুলিশ ওই মামলায় তার এলাকার মো.কাইছারের পরিবর্তে তাকে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে কাইছার মিয়া জানায় আমাকে রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ আটক করে। এএসআই জয়নাল আবেদীন আমার দোকানে এসে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। হাতকড়া ও পিছমোড়া বেঁেধ ফেলে। আমার অপরাধ কি জানতে চেয়েছি। কিন্তু পুলিশ আমাকে কিছু না বলে চোরের মত ধরে নিয়ে যায়। থানায় ১৭ঘন্টা আটকিয়ে হয়রানি করে। আমি বলেছি আমার বিরুদ্ধে মামলা মোকাদ্দমা ও ওয়ারেন্ট নেই। ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও আমি সেই কাইছার নয় বলে পুলিশ বারবার বলেছেন। কিন্তু পুলিশ কারো কথা শুনেনি। এরপর উপযুক্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করে আমি জামিনে বেরিয়ে এসেছি। পুলিশ অহেতুক আমার সাথে চরম অন্যায় করেছে। বিনা কারনে আমি জেল খেটেছি। পুলিশ নিরাপরাধ ব্যক্তির সাথে যে অন্যায় আচরন করেছে সেটি মানবাধিকারের চরম লঙ্গন করা হয়েছে। ন্যায় বিচারের পরিপন্থি অবিচার করা হয়েছে আমার প্রতি।

##################

পেকুয়ায় আ’লীগ নেতা ফরিদের চিকিৎসা তহবিলে আরো টাকা জমা

নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া :::

পেকুয়ায় উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ফরিদুল আলমের চিকিৎসার জন্য গঠিত তহবিলে গতকাল বৃহষ্পতিবার (৯মার্চ) যারা অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন তারা হলেন

১। জাহাঙ্গীর আলম সভাপতি, যুবলীগ পেকুয়া উপজেলা-৫হাজার টাকা।

২। কাউছার উদ্দিন কছির সাধারন সম্পাদক, যুবলীগ চকরিয়া উপজেলা-১০হাজার টাকা।

৩। জাফর আলম চৌধুরী মেম্বার উজানটিয়া ইউপি-৫হাজার টাকা।

৪। মাষ্টার হাছান, পেকুয়া-২হাজার টাকা।

৫। মো.রিদুওয়ানুল হক যুবলীগ নেতা বারবাকিয়া-৫শত টাকা।

৬। শফিউল আলম সহ-সভাপতি যুবলীগ পেকুয়া-১হাজার টাকা।

৭। আনছারুল ইসলাম টিপু সাধারন সম্পাদক রাজাখালী ইউনিয়ন-৩হাজার টাকা।

৮। আব্দুল করিম সহ-সম্পাদক যুবলীগ পেকুয়া-১হাজার টাকা।

৯। আলমগীর মাঝি রাজাখালী-১হাজার টাকা।

১০। তামিম ভোলা-১হাজার টাকা।

১১। অসিম ম্যানেজার ঋনদান সমতি পেকুয়া বাজার-১৩শত টাকা।

১২।জসিম উদ্দিন সি.সহ-সভাপতি স্বেচ্ছাসেবকলীগ পেকুয়া-১হাজার টাকা
১৩। আব্দু রশিদ ভেট্টা সাবেক সভাপতি কৃষকলীগ পেকুয়া-১হাজার টাকা।

১৪। নুরু মাঝি কৃষকলীগ পেকুয়া-১হাজার টাকা।

১৫। শাহ জামাল প্যানেল চেয়ারম্যান উজানটিয়া ইউপি-১হাজার ৫শত টাকা।

১৬। মুফিজুর রহমান উজানটিয়া-৫শত টাকা।

১৭। কামাল হোসেন সভাপতি ছাত্রলীগ টইটং ইউনিয়ন-১হাজার টাকা।

১৮। ডা.মুজিবুর রহমান পেকুয়া-৩হাজার টাকা।

১৯। মো.আলামিন সচিব বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদ-৫শত টাকা।

বিঃদ্রঃ- ইসলামী ব্যাংক পেকুয়া শাখা, হিসাব নং-৮৫৪৩, বিকাশ নাম্বার- ০১৮৩৩-২৮৩৮৭৭ ( ফরিদুল আলমের স্ত্রী) এ নাম্বারে সহায়তা করতে পারবেন।

পাঠকের মতামত: