পেকুয়া প্রতিনিধি ::
পেকুয়ায় ভাড়া নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। এতে করে সিএনজি চালকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। যার নং ০৬/১৭। উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের লালজানপাড়া এলাকার মৃত নুর আহমদের ছেলে নুরুচ্ছফা বাদী হয়ে ওই মামলায় প্রধান আসামী করা হয় একই এলাকার আবছার আহমদের ছেলে শহর আলী। একই মামলায় নিজ ভাতিজাসহ নিকট আরো ৩ জন আত্মীয়কে আসামী করা হয়েছে। এ দিকে পৃথক বিষয়ে বাদী অপর আরেকটি মামলা দায়ের করে আসামীদের বিরুদ্ধে। গত ১০ জুলাই চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করে। যার নং-৮৯৩/১৭। ওই মামলার বাদীও একই ব্যক্তি। প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, ভিসা সংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে নুরুচ্ছফার সাথে জিআর মামলার ৪ নং বিবাদী জালাল হোসেনের পিতা আহমদ শফির মধ্যে বিরোধ চলছিল। তারা পরষ্পর নিকট আত্মীয়। বিগত ৩ বছর আগে জালাল হোসেনকে লিবিয়া পৌছানোর কথা বলে ৪ লক্ষ বিশ হাজার টাকা নেয় নুরুচ্ছফা। স্বপ্নের দেশ লিবিয়া যাওয়া অনিশ্চিত হওয়ায় এ সংক্রান্ত লেনদেনকৃত টাকা ফেরত চান তার পিতা। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে একাধিকবার বাকবিতন্ডা হয়। সম্প্রতি সামাজিক বৈঠকের দিনক্ষন ধার্য্য করা হয়েছে। সুত্র জানিয়েছে গত ১৩ জুলাই দুপুরে ভাড়া নিয়ে সিএনজি চালক শহর আলীর সাথে যাত্রী নুরুচ্ছফার বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় দু’জনের উত্তেজনা প্রশমিত করেন অপর যাত্রীরা। ওই ঘটনাকে অতি রঞ্জিত করতে নুরুচ্ছফা পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। গত ১৭ জুলাই থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে। আসামীদের মধ্যে একজন ছাড়া অবশিষ্ট ওই স্থানে অনুপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ৩ নং বিবাদী হুমায়ুন আলী ১টি কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে তিনি মার্কেটিংএ ছিলেন। ৪ নং বিবাদী জালাল হোসেন ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে পেকুয়া চৌমুহনীতে সালিশী বৈঠকে ছিলেন। মহিউদ্দিন ভ্যানচালক। তিনিও এলাকার বাইরে ছিলেন। এ ব্যাপারে জালাল হোসেনের পিতা আহমদ শফি জানায়, টাকা আত্মসাৎ করতে নুরুচ্ছফা মামলায় জর্জরিত করছে আমাদের। আমার ছেলেরা নির্দোষ। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে দুটি মামলা দায়ের করে। এ দুটি মামলা মিথ্যা ও ফাঁসানো। নুরুচ্ছফা আক্রান্ত নন। হাসপাতালে দেখিয়েছেন ভর্তি। কিন্তু বাড়িঘরে অবস্থান নিয়েও তিনি নাটকীয় ভাবে আহত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পেকুয়া থানার এস,আই বিপুল চন্দ্র রায় জানান, আমি তদন্তভার পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। কোন নিরীহ ব্যক্তিকে মামলায় জড়ানো হলে তাকে আইনী সহায়তা দেওয়া হবে।
##############
পেকুয়ায় নানা আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালিত
পেকুয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় “মাছ চাষে গড়বো দেশ-বদলে দেব বাংলাদেশ” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে সপ্তাহ ব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপন করতে যাচ্ছে উপজেলা প্রশসন ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর পেকুয়া। জনসাধারণের আমিষ ঘাটতি পুরণ, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষে মৎস্য চাষের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, মৎস্য সেক্টর সার্বিক উন্নয়ন ও মৎস্য সংরক্ষণ কর্মকান্ডের সাথে জনগনকে সম্পৃক্ত করাই এ কর্মসুচির মুল উদ্দ্যেশ্য। সারা দেশের ন্যায় এবারের মতো পেকুয়া উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক পৃথক ভাবে নানান কর্মসুচি গ্রহণ করেছে। এ উপলক্ষে গত বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলার নিবন্ধিত জেলে, মৎস্যজীবি সংগঠন, স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবি মানুষের অংশ গ্রহনের মধ্যদিয়ে পেকুয়া উপজেলা পরিষদ থেকে একটি র্যালী বের হয়। র্যালীটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা হল রুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নেয়। সভায় উপস্থিত অতিথি বৃন্দরা উপজেলা পরিষদ পুকুরে পোনা মাছ অবমুক্ত করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া সংসদ আল্হাজ¦ মোহাম্মদ ইলিয়াছ। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ আনুষ্টানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষনা করেন, পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়রম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু। উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সালমা ফেরদৌসীর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের মাহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফা হায়দার রণি, উপজেলা মৎস্য অফিসার সাইফুর রহমান। উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পেকুয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম.দিদারুল করিম সহ আরো অনেকে। পেকুয়া উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত অন্যান্য কর্ম পরিধির মধ্যে রয়েছে, ফরমালিন বিরোধী অভিযান, স্কুল ও কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের মৎস্য চাষ বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতা, মৎস্য চাষের উপর ভিডিও প্রদর্শনী, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সহ নানা ধরনের কর্মসুচী রয়েছে।
পাঠকের মতামত: