ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় ‘ব্যাঙের ছাতার’ মতো গজিয়ে উঠছে কেজি স্কুল!

schoolগিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :::

‘সন্তান আপনার, মানুষ করার দায়িত্ব আমাদের’ আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, ‘পুরো উপজেলার মধ্যে আমরাই দিচ্ছি একমাত্র মানসম্মত শিক্ষা’ আমাদের প্রতিষ্টানই সেরা’ ইত্যাদি ইত্যাদি মুখরোচক ও অভিভাবকদের মনভোলানো প্রতারণামূলক শ্লোগান ও পোষ্টার সাঁটিয়ে প্রচারণা চালিয়ে পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নে সম্প্রতি সময়ে একের পর এক গজিয়ে উঠছে কিন্ডার গার্টেন কেজি স্কুল। এসব কেজি স্কুলে মানসম্ম শিক্ষা না থাকলেও চলছে রমরমা বানিজ্য। ব্যাঙের ছাতার মতো একের পর এক কিন্ডার গার্টেন (কেজি) স্কুল গজিয়ে উঠলেও শিক্ষার মান বাড়ছেনা। হঠাৎ গজিয়ে উঠা এসব নাম সর্বস্ব কেজি স্কুলগুলোতে অদক্ষ শিক্ষকদ্বারা পাঠদান করা হয় বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারী ও তদারকীর অভাবে বেপরোয়াভাবে বাড়ছে কেজি স্কুলের সংখ্যা। আর পেকুয়া উপজেলা সদরের কয়েকটি কেজি স্কুল পরিচালনা করছেন স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এসব প্রতিষ্টানে শিক্ষার্থীদের জামায়াত-শিবিরের মওদুদীবাদের আদর্শও শিক্ষা দেওয়ায় হয় বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের কয়েকটি কেজি স্কুলও স্থানীয় জামায়াত-শিবির পরিচালনা করছেন। এসব কেজি স্কুলে তারা শিক্ষার্থীদের মওদুদীবাদের শিক্ষায় দীক্ষিত করা হচ্ছে।

 স্থানীয় সচেতন মহল দাবী করেছেন, প্রশাসনের গাফিলতির কারনেই পেকুয়ায় যত্রযত্র কেজি স্কুল সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার নামে এসব কেজি স্কুল কর্তৃপক্ষ বানিজ্য শুরু করেছে। পেকুয়ার এসব শিক্ষা ব্যবসায়ীদের লাগাম টেনে ধরার জন্য প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে।

 একাধিক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কেজি স্কুল গুলোতে শিক্ষার কোন বালাই নাই। তারপরেও তারা বিভিন্ন হিসাব দেখিয়ে প্রতি মাস অন্তর অন্তর টাকা আদায় করা হচ্ছে। পেকুয়ার অধিকাংশ কেজি স্কুলগুলোতে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করা হচ্ছেনা বলে অভিভাবকরা অভিযোগও করেছেন।

 বেসরকারী এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে পেকুয়ার সাত ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় শতাধিক কেজিস্কুল গজিয়ে উঠেছে। প্রতিনিয়তই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কেজি স্কুলের সংখ্যাও। আর এসব কেজি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি ও বই বিতরনের নামে প্রতি বছরের শুরুতে জানুয়ারীতে শিক্ষার্থীদের সাথে গলাকাটা বানিজ্যেও জড়িয়ে পড়ে। সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরকে ভূঁয়া শিক্ষার্থী দেখিয়ে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বইও হাতিয়ে নিচ্ছেন এসব কেজি স্কুলগুলো। পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নের অধিকাংশ কেজি স্কুল গুলোতে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক নেই বললে চলে। এলাকার কম শিক্ষিত কিছু বেকার ছেলেদের মাসিক নামমাত্র সম্মানী দিয়ে পাঠদান করায় ওই সব কেজি স্কুলে।

 জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলার এসব কেজি স্কুল গুলোতে চলতি জানুয়ারী মাসের শুরুতে শিক্ষার্থী ভর্তির নামে রমরমা বানিজ্য চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ কনেনি।

পাঠকের মতামত: