মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর ৫ লক্ষাধিক টাকা মেরে প্রবাসী বিদেশ পলায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আর নিরূপায় হয়ে পাওনা টাকা উদ্ধারে ওই ব্যবসায়ী আদালতে প্রতারকের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলাও দায়ের করেছেন। মামলার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাতবর পাড়া গ্রামের রমিজ আহমদের পুত্র ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো: আজম এর কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে সম্প্রতি সময়ে ৫লক্ষ টাকা হাওলাত নেন রাজাখালী ইউনিয়নের বকশিয়া ঘোনা গ্রামের হাজি মোজাহের আহমদের পুত্র প্রবাসী শাহাব উদ্দিন। এদিকে নির্দিষ্ট সময় পার হলে সাহাব উদ্দিনের কাছ থেকে টাকা ফেরৎ চান ব্যবসায়ী আজম। এরপর প্রতারক প্রবাসী সাহাব উদ্দিন টাকা পরিশোধ না করে নানা ধরনের টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতারক প্রবাসী সাহাব উদ্দিন। অপরদিকে পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য প্রতারক সাহাব উদ্দিনকে আসামী করে গত ৬ সেপ্টেম্বর চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেছেন ব্যবসায়ী মো. আজম। যার মামলা নং ৯৮০/১৬ইং। আর আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে প্রেরণ করেছেন বলে জানা গেছে।
ব্যবসায়ী মো. আজম জানান, বন্ধুত্বের সূত্র ধরে গত ১৮ আগষ্ট চকরিয়াস্থ এ্যাড: ইলিয়াছ আরিফ এর নোটারী কার্যালয়ে ৩শত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্টাম্পমূলে আমরা দুজনের মধ্যে এ চুক্তিপত্র হয়। যার নোটারী নং ৪৮৯(০৮)২০১৬। চুক্তিপত্রে গত ১৮ তারিখ এ টাকা গ্রহন করে ১৫দিনের ভিতর তা শোধ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু গত ১৫দিন শেষ হলেও প্রবাসী সাহাবউদ্দিন তা শোধ না করে তার কর্মস্থল সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে মো: আজম জানান, বন্ধুত্বের সূত্র ধরে সাহাব উদ্দিনের সাথে আমার হাওলাতী টাকার লেনদেন হয়। তার একটি বিষয়ে বিশেষ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় আমার কাছ থেকে ৫লক্ষ টাকা হাওলাত নেয়। এর ভিতর যে তার কো-মতলব ছিল তা আমার জানা ছিলনা।
১৫দিন শেষ হওয়ায় তার কাজ থেকে টাকা চাওয়ার জন্য মোঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সংযোগ বন্ধ পায়। সর্বশেষ জানতে পারি আমার টাকা না দিয়ে সে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি তার ভিসার একটি ফটো কপি আমাকে জমা দেয়। যার পাসপোর্ট নং বিএইচ ০৫৮৪৬২২। আমি এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
অভিযোগের ব্যাপারে জানার জন্য সাহাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়ার একাধিক বার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাঠকের মতামত: