পেকুয়ায় সোনাইছড়ি ছড়া থেকে চলছে বালি উত্তোলন। এক শ্রেনীর বালি খেকো চক্র উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পাহাড়ি প্রবাহমান ছড়া থেকে বালি উত্তোলনের মহোৎসবে মেতেছেন। ড্রেজার মেশিন (বালি উত্তোলনের সর্বোত্তম বিশেষ যন্ত্র) বসিয়ে ওই ছড়া থেকে উত্তোলন করছেন লাখ লাখ ঘনফুট বালি। খনিজ সম্পদ অধিদপ্তর থেকে কোন পক্ষ অনুমতি নিয়েছেন। আবার কোন কোন পক্ষ বালি উত্তোলনের সরকারের এসব অধিদপ্তর থেকে কোন ধরনের অনুমতি নেয়নি। সম্প্রতি সোনাইছড়ি ছড়া থেকে বালি উত্তোলন নিয়ে একাধিক পক্ষ তৈরি হয়েছে। বৈধ পক্ষকে সরিয়ে দিতে তৎপর হয়েছেন অবৈধপক্ষ। টইটং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি ছড়াটি পাহাড়ি পাদদেশের অতি প্রাচিন ছড়া। পাহাড়ি অববাহিকার নেমে আসা পানি প্রবাহিত হয়ে ভাটির দিকে নেমে আসে। এর পাহাড়ি ¯্রােতধারা টইটং খাল ও ভোলা খালের সাথে মিশেছে। বারবাকিয়া ও টইটং ইউনিয়নের পাহাড়ি অঞ্চলে সোনাইছড়ি ছড়াটি তাদের অর্থনৈতিক ও জীব বৈচিত্রের সাথে সম্পর্ক। তবে বালি উত্তোলনের ফলে এ ছড়া অস্থিত্ব হুমকির মধ্যে পড়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন সোনাইছড়ি ছড়ায় বালি উত্তোলনের জন্য বেশ কিছু মোকামে ৪-৫টি স্কেবেটার বসানো হয়েছে। এদের মধ্যে দু’টি পক্ষ সরকারকে রাজস্ব দিয়ে বৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে ওই ছড়া থেকে। অপর পক্ষগুলো সম্পুর্ন অবৈধ। তারা গায়ের জোরে দাপট দেখিয়ে বালি উত্তোলন করছে বীরদর্পে। টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা এলাকার মৃত.মুহাম্মদ কালুর ছেলে জহির উদ্দিন এর নেতৃত্বে ৫-৭জনের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট ওই ছড়া থেকে বালি উত্তোলন করছেন। তারা কোন ধরনের ছাড়পত্র কিংবা রাজস্ব সরকারকে দেননি। গত কয়েক বছর ধরে ওই চক্র সোনাইছড়ি ছড়া সংগ্রামের জুম, মধুখালী, আবাদিঘোনার দুর্গম এলাকা থেকে মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলন করছে। এসব বালি পরিবহনের জন্য জহির উদ্দিন বিগত ৫বছর আগে ধনিয়াকাটা বাজার থেকে পুর্ব ধনিয়াকাটা সড়কটি অধিক সম্প্রসারন ও প্রশস্থকরন কাজ করেছেন। আবাদিঘোনা, লেইনের শিরা, সংগ্রামের জুম সোনাইছড়ি ছড়ার ওই মোকাম পর্যন্ত যাতায়ত ছিল কষ্টসাধ্য। সংরক্ষিত বঞ্চালের জায়গায় ব্যক্তিগত উদ্যেগে তারা মেঠোপথ তৈরি করেছেন। পিকআপ ও স্বয়নক্রিয় পরিবহন যানগুলি উঁচু, নিচু পাহাড়ি শিরা অতিক্রম করে ওই স্থান থেকে বালি পরিবহন করছেন। বর্তমানে বালি ব্যবসা জমজমাট হয়েছে। বালি দিচ্ছে আর পকেট ভর্তি টাকা পাচ্ছে। সরকারের বিপুল পরিমান রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে ওই সিন্ডিকেট। বালি উত্তোলন নিয়ে পাহাড়ি এলাকায় একাধিক সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। একপক্ষ অপর পক্ষকে হটিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। বালি খেকোদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ¯œায়ু বিরোধ। আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘাতের দিকে মোড নিচ্ছে পাহাড়ি জনপদের পরিবেশ। তারা স্বসস্ত্র অবস্থান সুসংহত করেছে পাহাড়ে। যেকোন মুর্হুতে সিন্ডিকেটের মধ্যে হানাহানি ও বড় ধরনের সংঘাতের মত পরিস্থিতি বিরাজ করছে সোনাইছড়ি ছড়াকে ঘিরে। বারবাকিয়া বনবিট কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানায় বালি উত্তোলনের জন্য টইটংয়ের দু’টি ছড়া সরকারের কাছ থেকে রাজস্ব দিয়ে বৈধতা নিয়েছে। কিছু কিছু পয়েন্টে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন হচ্ছে বলে শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
…………………………………………………………….
বারবাকিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকদলের কমিটি ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক,পেকুয়া:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল পেকুয়া উপজেলার আওতাধীন বারবাকিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকদলের কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। গতকাল বিকালে উপজেলা বি এন পির কার্যালয়ে ইউনিয়ন শ্রমিকদলের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে শ্রমিক নেতা কামাল হোছাইনের সভাপতিত্বে ও জাহেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত মতবিনিময় সভার পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন আনিছুর রহমান। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ও উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মজিবুল হক চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বারবাকিয়া ইউনিয়ন বি এন পির আহবায়ক মাষ্টার মো: ইউনুচ, উপজেলা শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ সভাপতি হারুনুর রশিদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন। সভায় বক্তব্য রাখেন পেকুয়া সদর পশ্চিম জোনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শওকত, বদিউল আলম, বারবাকিয়া শ্রমিকদল নেতা আছহাব উদ্দিন, আবব্দুল খালেক, আলী আকবর, হারুনুর রশিদ প্রমুখ। উক্ত কমিটিতে কামাল হোছাইনকে সভাপতি, আছহাব উদ্দিনকে সিনিয়র সহ সভাপতি, আব্দুল খালেক, আবুল বশর, হারুনুর রশিদকে সহ সভাপতি, জাহেদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, আলী আকবরকে যুগ্ম সম্পাদক, রমিজ উদ্দিন, জাফর আলমকে সহ সাধারণ সম্পাদক, আনিছুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক, আবুল কাশেমকে সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, জামাল হোছাইনকে অর্থ সম্পাদক, মো: ছোটনকে প্রচার সম্পাদক, মো:আবুল কাছিমকে সহ প্রচার সম্পাদক, রফিক আহমদ সওদাগরকে দপ্তর সম্পাদক, জায়েদুল হক কে সহ দপ্তর সম্পাদক, ফরিদুল আলমকে ক্রীড়া সম্পাদক, জকির আলমকে শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, রহমত আলীকে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, মোহাম্মদ মোক্তারকে যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক, মো: নুর, আব্দু রাজ্জাক, সিরাজুল ইসলাম, আবুল কাশেম, মো: শাহজাহান, আব্বাস উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, শফিউল করিম, কাইছার ইকবাল, ঈমাম হোছাইন, আব্দু জলিলকে সদস্য করে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
…………………………………………………………….
পেকুয়া রাখাইন পাড়া আলো ঘর শিক্ষা কেন্দ্রের বার্ষিক পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্টান সম্পন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের রাখাইন পাড়া আলোঘর শিক্ষা কেন্দ্রের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংষ্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্টান গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বিদ্যালয় মাঠে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্টিত হয়। শেয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়ন কারিতাস ফ্রান্স এর অর্থায়নে কারিতাস বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত আলোঘর প্রকল্প পেকুয়া এরিয়ার উদ্যোগে উক্ত অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবু আলহারী রাখাইন। উত্তর বারবাকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাস্টার জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্টিত উক্ত অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন বারবাকিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা এ,এইচ,এম বদিউল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বারবাকিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম, মরিয়ম জামিলা শেলী এমইউপি, কারিতাস চট্রগ্রাম অঞ্চল আলোঘর প্রকল্প পেকুয়া এরিয়া অফিসের কো-অর্ডিনেটর হেলাল উদ্দিন, শিক্ষা সুপারভাইজার মথি ত্রিপুরা, সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন, বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কমরুন্নেছা, ফরিদা বেগম প্রমুখ। অনুষ্টান শেষে অতিথিবৃন্দ বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান করেন।
পাঠকের মতামত: