পেকুয়ায় এবার বাদিকে কামড়িয়ে ও মারধর করে আহত করেছে খোদ ইউপি সদস্য। এনিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকদিন পুর্বে বাদি ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে শ্লীনতাহানি চেষ্টার অভিযোগ এনে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ হাকিম অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দিতে ওসি পেকুয়াকে ন্যস্তভার অর্পন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে কয়েকজন দুর্বৃত্ত বাদিকে প্রাননাশ চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের শরতঘোনা এলাকায়। আহত গৃহবধুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত ছকিনা বেগম ওই ইউনিয়নের শরতঘোনা এলাকার লিয়াকত আলীর স্ত্রী বলে জানা গেছে। ছকিনা বেগম জানায় শরতঘোনা এলাকার পাউবোর কাছ থেকে ৬৪/২বি পোল্ডারের ৬০নং স্লুইচ গেইটটি তদারকির জন্য আমার স্বামী লিয়াকত আলী লিজ নেয়। স্লুইচ গেইট থেকে উচ্ছেদ করতে তৎপর হন মগনামা ইউপির সদস্য নুর মোহাম্মদ মাদুসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত। কয়েক দিন পুর্বে সন্ধ্যায় টিউবওয়েল থেকে পানি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মাদুর নেতৃত্বে কয়েকজন ব্যক্তি আমাকে পথ রোধ মারধর করে শ্লীনতাহানি চেষ্টা চালায়। আমি কোর্টে মামলা করি। তিনি আরো জানায় ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শরতঘোনা এলাকার আব্দু রাজ্জাকের ছেলে ছাবের আহমদ সন্ধ্যায় আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে আনে। এ সময় পুর্ব থেকে ওতপেতে থাকা ইউপি সদস্য নুর মুহাম্মদ মাদু, মোকতারসহ কয়েকজন আমাকে মারধর করে। এ সময় ইউপি সদস্য মাদু আমাকে বিবস্ত্র করে মুখে কামড়িয়ে মারাত্বক আহত করে। ছকিনা বেগমের স্বামী লিয়াকত আলী জানায় ইউপি সদস্য নুর মুহাম্মদ মাদুর নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় তারা আমাকে স্লুইচ গেইট থেকে উচ্ছেদ করে। আমি বাদি হয়ে মাদুকে প্রধান আসামি করে একটি চাঁদাবাজি মামলা করি। সে আমাকে প্রতিনিয়ত প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। গত ২০দিন ধরে আমি এলাকায় যেতে পারছিনা। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্ত্রীকে মারধরসহ শ্লীনতাহানি করে। ইউপি সদস্য নুর মুহাম্মদ মাদু এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।
পাঠকের মতামত: