পেকুয়া প্রতিনিধি ::
পেকুয়ায় টইটং ইউনিয়নের বটতলি ছড়া খনন কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ওই কাজের উদ্বোধন করেন টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। এ সময় আবুল কাসেম, মনজুর আলমসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রামবাসিরা উপস্থিত ছিলেন। ওইদিন সকালে ছড়া খনন কাজ আরম্ভ করা হয়েছে ফজুর মুড়া নামক স্থানে। জানা গেছে টইটং নাপিতার শিরা থেকে শফিকিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত বটতলি ছড়ার খনন কাজ চলমান থাকবে। শফিকীয়া মাদ্রাসা থেকে ওই বাস্ততবায়ন কাজ নুনছড়ি ছড়ার পশ্চিম ও দক্ষিন অংশে গিয়ে শেষ হবে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বটতলি-নুনাছড়ি ছড়া খনন কাজ বাস্তবায়ন করছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কর্মকর্তা কার্যালয় এ কাজ তদারকি করছেন। স্থানীয় সাংসদ বটতলি ছড়া পুনঃখনন কাজের প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থের যোগান দিচ্ছেন বলে টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে নাপিতার শিরা থেকে শফিকীয়া মাদ্রাসা হয়ে নুনাছড়ি পশ্চিম অংশ পর্যন্ত প্রায় ৬৭ চেইন বটতলি ছড়া সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এদিকে বটতলি ছড়ার সংস্কার কাজ আরম্ভ হওয়ায় টইটং ইউনিয়নের বিপুল জনগোষ্টির মাঝে প্রানচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। শত বছরের পাহাড়ি প্রবাহমান এ ছড়া মরা ছড়ায় পরিনত হয়। পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকায় টইটং ইউনিয়নের পশ্চিম ও উত্তর অংশের বিপুল জনগোষ্টির দুর্ভোগ ছিল চরমে। বর্ষা মৌসুমে পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানি দ্রুত লোকালয়ে প্রবেশ করে প্লাবিত হয় এলাকা। ছড়ার দু’পাশ স্থানীয়রা জবর দখল করে শ্রেনী পরিবর্তন করে উৎপাদন করছিল ফসল। চেয়ারম্যান ওই ছড়া সংস্কারের উদ্যেগ নেয়। গ্রামবাসিরা জানায় এ ছড়াটি মরা ছড়ায় পরিনত হয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। বর্ষাকালে ঢলের পানিতে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যেতে। ছড়ার পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকায় বটতলি, পন্ডিতপাড়া, খুইন্নাভিটা, জুম পাড়া, ফজুর মুড়াসহ তিনটি ওয়ার্ড়ের বিপুল এলাকায় শুস্ক মৌসুমে বোরো আবাদ উৎপাদনে দেখা দিয়েছিল বিপর্যয়। ছড়া টইটংয়ের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ। সেটি সংস্কার হওয়ায় সবুজের সমারহ হবে টইটংয়ে। এ এলাকার ফসল ও সবজি উৎপাদন হবে আরো দ্বিগুন। ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানায় এ ছড়ার উপর টইটংয়ের আর্তসামাজিক পরিবর্তন সহ অনেক কিছু নির্ভর করে। এলাকাবাসির প্রানের দাবি ছিল এ ছড়াটি সংস্কার করা। আমরা উদ্যেগ নিয়েছি ছড়াটি সংস্কার করে এলাকাবাসির দাবি পুরন করতে। স্থানীয় সাংসদ সহযোগিতা করেছেন। তার প্রেরনায় কাজ আরম্ভ করেছি।
N
পাঠকের মতামত: